| 16 এপ্রিল 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

স্কেচ ও রঙ সমাচার

আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিট

 

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

 

মুখোশ কিংবা মুখশ্রী নয় স্রেফ সারি সারি মুখের স্কেচ

ঝুলিয়ে রেখেছি দেয়াল জুড়ে।

কোনটা লাস্য কোনটা হাস্য আবার কোনটার মুখ পড়তে পারিনি

বলে অবিরত বকবক করছে কোন টিকা টিপ্পনী ছাড়া।

 

এমন কর্তিত মুখের স্কেচের সংখ্যাই বেশি।

এদের সাথে আমার হাটে বাজারে ঘামের গন্ধ মেখে

তুই তুকারি সম্পর্কের চেনাজানা মানুষ।

 

 

থ্যাতলানো গলার কাছে বাদামী চামড়া মোজার মতো কুঁকড়ে

লালে লালে ধুসর খয়েরি করে রেখেছি।

মাছি আঁকেনি—ভনভন শব্দ একেঁছি।

মাছের আঁশটে গন্ধ একেঁছি।

 

একটানে পেন্সিলে একেঁছি বলে গতর আঁকিনি

স্রেফ একটানে কতিপয় কর্তিত মুখ একেঁছি;

ইরেজার ব্যবহার করিনি—মানে ইরেজার ব্যবহার করতে চাইনি।

ইরেজার ছাড়া পেন্সিলে কর্তিত মুখে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি

ঘামের গন্ধমাখা তুই তুকারি।

 

 

 

শত রেখা থাকলেও কর্তিত মুখ স্রেফ স্কেচ— কোন রক্ত মাংসের নয়

আমার তুই তুকারি চেনাজানা কারো মুখ স্কেচ নয়

 

শতশত বলি রেখা নিয়ে রক্ত মাংসের মুখ

হোক মুখোশ

হোক মুখশ্রী

কিন্তু কোন ভাবেই অস্পষ্ট পেন্সিল স্কেচ নয়।

 

বরং চোখের কোনায়  দলা পাকানো

ফ্যাকাশে কেতুর পড়েও পড়ছে না।

ঝুলে আছে চোখের খুব কাছে

চোখের কোনায়।

 

নাকের  আর কানের বাঁকানো লালচে চুল

বড় হতে হতে খুব বিচ্ছিরি ভাবে বাতাসে দুলছে আর দুলছে।

 

আমার তুই তুকারি চেনাজানা  মানুষের  মুখে ভকভক গন্ধ

কোনটা মাড়ির পঁচা গন্ধ

কোনটা হাকিমপুরি জর্দার সুবাস

অথবা বাসি মুখের কটু বিচ্ছির পেট উগলানো গন্ধ।

 

পেন্সিল  আঁকা কর্তিত মুখ স্রেফ স্কেচের স্থীরচিত্র—

কোন রক্ত মাংসের মুখ নয়।

 

 

 

রঙ তুলির সুবিধা এই যে রঙের মেলায় রঙের খেলায়

পাঁচ আঙুল আর তুলির যৌথতায় স্কেচ জুড়ে রক্ত মাংসের

মুখ আঁকা যায়।

হোক না নকল রক্তমাংসের মুখ

তবুও সারি সারি ঝুলন্ত কর্তিত রক্তমাংসের মুখ।

 

ভাষা দিয়ে  এতো এতো সৌধ অখন্ডমণ্ডলাকার

ভাষা দিয়ে তুমি — আমার অপর;

তুমি ছাড়া আমি কবে আমি আমি করে বাঁশি বাজে?

 

 

রঙতুলি ভাষার সহোদরা

রঙে রঙে রঙ আনে ভাষিক বাস্তবতা।

রঙ তুমি  রক্ত হও

রঙ তুমি  মাংস হও

 

পাঁচ আঙুল আর তুলি দিয়ে রঙে রঙে একেঁছি আমার স্কেচ

আমার তুই তুকারির চেনাজানা গুদারা ঘাটের মানুষ।

 

 

বাহারী রঙের আলাপী রঙ এনেছি এবার

আমার কর্তিত স্কেচমুণ্ডু আমার মতো করে আঁকব

আমার আঁকা পেন্সিল স্কেচ হবে সুশীল সমাজ।

 

অথবা আদুরী রঙের আচঁড়ে আঁকব কতিপয় বাহাদুর

সবুজে সবুজ আর সাদা রঙের মিশ্রণে আঁকব গ্রোত্র।

 

কেমন হবে যদি প্রাকৃতিক রঙে আঁকি কোন জনজাতি

যে কালো সুতায় ভ্রুপ্ল্যাকে মগ্ন কোন বিউটি পার্লারে?

 

আচ্ছা রাজনৈতিক রঙে  পেন্সিল আঁকা স্কেচ যদি

সুতা যেমন রঙের জলে মেশায়

তেমন করে চোবাই—কেমন হবে?

 

এক ধরনের হাইব্রীড রঙ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়

অল্প জমি স্বপ্ল বীজে গোলাভরা

ধান থাকে বারোমাস।

তেমন রঙে পেন্সিল স্কেচের ফলন বৃদ্ধি কতটুকু হবে

তার কোন হিসেব আমার খতিয়ানে নেই।

 

দেয়ালের হুকে ঝুলে থাকা পেন্সিল স্কেচগুলো নিশ্চয় তখন

মোরগের গলাফোলা পেখম ছড়িয়ে স্লোগান দিবে ঠিকঠিক।

 

আমি বরং রাসায়নিক সার ও জলের মিশ্রণে কী পরিমাণ ঘন

রঙ উৎপাদিত হবে হাতে কলমে দেখে পরিবেশবাদীদের সাথে

মিটিঙে বসে বিকেলে প্রেস রিলিজ দিয়ে  সকলকে জানাবো

কোন কোন স্কেচ এবার জীবানু ধ্বংসের জন্য কতটুকু শক্তিশালী।

 

আমার বাহারী রঙ মূলত খাঁটি উপরন্ত বিশেষ যত্নে

এ্যাকোরিয়াম জলে জাগদেয়া।

 

বাজারি রঙের ভরসা করেছেন মরেছেন।

আমার রঙে পেন্সিলে আঁকা স্কেচ আমার চেনাজানা

গন্ধ লেগেথাকা ঝুলন্ত স্কেচ যখন বাহারী রঙে আঁকব

তখনই স্কেচগুলো রক্তমাংসের মানুষের হাস্য মুখের লাস্য মুখ হবে।

 

আর বাকী সব রঙ অপরিণত

অর্ধগলিত

পৌনে কাঁচা

অথবা আবাত্তি

উপরন্ত ফেইক– মোড়কে মূল্য ও প্রোডাশন ডেট থাকলেও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত