যে মন্দিরে মূর্তি নয় পূজিত হয় মানচিত্র

Reading Time: < 1 minute

বারাণসীর কাশী বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাসেই রয়েছে এই আশ্চর্য মন্দিরটি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত বারাণসীর এক জমিদার পরিবারের সদস্য, শিবপ্রসাদ গুপ্ত, ১৯২১ সালে নির্মাণ করেন কাশী বিদ্যাপীঠ।

দেশই যেখানে মাতৃতুল্য, সেখানে তাঁর আরাধনা করা হবে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই! স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ভারতমাতা’র মূর্তি অনেক জায়গাতেই দেখা যায়। কিন্তু ভারতের মানচিত্রের মন্দির! এমনটা খুব একটা শোনা যায় না।

বারাণসীর কাশী বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাসেই রয়েছে এই আশ্চর্য মন্দিরটি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত বারাণসীর এক জমিদার পরিবারের সদস্য, শিবপ্রসাদ গুপ্ত, ১৯২১ সালে নির্মাণ করেন কাশী বিদ্যাপীঠ। ১৯৩৬ সালে তা উদ্বোধন করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। যে কারণে ১৯৯৫ সালে এই বিদ্যাপীঠের নাম পরিবর্তীত হয়ে হয় ‘মহাত্মা গাঁধী কাশী বিদ্যাপীঠ’।

বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাসের মধ্যের ভারতমাতা মন্দিরটি সম্ভবত একই সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এবং মন্দিরটিরও উদ্বোধন করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী।

তবে ভারতমাতা মন্দিরে কোনও মূর্তি পূজিত হয় না। মন্দিরের মেঝেতে রয়েছে ভারতের এক বিশাল মানচিত্র। তবে তা অবিভক্ত ভারতের। কারণ দেশ ভাগ হওয়ার অনেক আগেই তৈরি হয় এই মন্দির। প্রসঙ্গত, ভারতের ম্যাপটি তৈরি করা হয় সাদা মার্বেল দিয়ে, যা নিয়ে আসা হয়েছিল মারকানা থেকে।


অবিভক্ত ভারতের মানচিত্র। ছবি— উইকিপিডিয়া


মন্দিরের আরও এক আশ্চর্য ব্যাপার হলো তার পাঁচটি স্তম্ভ। জানা যায়, সৃষ্টির পাঁচ উপাদানের (অগ্নি, পৃথিবী, বায়ু, জল, অন্তরীক্ষ) প্রতীক হিসেবেই তৈরি করা হয় এই স্তম্ভগুলি

১৫ অগস্ট ও ২৬ জানুয়ারি বিশেষভাবে পালন করা হয় বারাণসীর ভারতমাতা মন্দিরে। এ ছাড়া, পর্যটকদের জন্য মন্দির খোলা সারা বছরই, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>