| 25 এপ্রিল 2024
Categories
দেহ স্বাস্থ্য

ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

সারা দিন ঝিমুনি, অবসন্নভাব, কাজে অনিহা ইত্যাদি ক্লান্ত থাকার লক্ষণ। পুষ্টির ঘাটতি, ব্যায়াম না করা, পানিশূন্যতা ইত্যাদি এ সমস্যার কিছু কারণ। ক্লান্ত লাগার পাঁচ কারণ ও এর সমাধান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমিডি।

১. ব্যায়াম না করা

নিয়মিত ব্যায়াম না করা ক্লান্ত লাগার একটি অন্যতম কারণ। তবে ২০০৮ সালে সাইকোথেরাপি ও সাইকোমেটিকসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, অন্তত ৬৫ ভাগ ক্লান্তি দূর করতে কাজ করে ব্যায়াম। তাই ক্লান্তি দূর করতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

২. পানিশূন্যতা

পানিশূন্যতা ক্লান্তি ও অবসন্নভাব বাড়ায়। সামান্য পরিমাণ পানিস্বল্পতা হলেও শরীরে ক্লান্তিভাব হয়। তাই ক্লান্তিভাব কমাতে দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি খেতে পারেন ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি।

৩. ঘুমের সমস্যা

ঘুমের গুণগত মান খারাপ হলে ক্লান্তিভাব হয়। এমনকি ঘুম একটু কম হলেও এটি মেজাজ ও স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, ঘুমের অসুবিধা হলে মেজাজ ওঠা-নামা করে। এটি যোগাযোগ কার্যক্রমকে ব্যহত করে।

৪. স্থূলতা

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক পরিশ্রম না করে সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকা ক্লান্তি ও অবসন্নভাব তৈরির জন্য দায়ী। এমনকি স্থূলতার কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া, ঘুমের সমস্যা হয়। তাই ক্লান্তিভাব কাটাতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।

৫. পুষ্টির ঘাটতি

শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলেও কিন্তু ক্লান্তিভাব হয়। আপনি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে না চললে পুষ্টির ঘাটতি হবে। ক্লান্তিভাব কমাতে খাদ্যতালিকায় আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ ও ম্যাগনেসিয়াম রাখুন। তবে শরীরের অনেক জটিল সমস্যাতেও কিন্তু ক্লান্তিভাব হয়। তাই উপরের পরামর্শগুলো পালন করার পরও ক্লান্তিভাব নিয়মিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম জরুরি। আর প্রবীণ বয়সে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ব্যায়ামের তো বিকল্প নেই। প্রবীণ বয়সে শরীরের জন্য উপকারী, এমন তিনটি ব্যায়ামের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

হাঁটা

প্রবীণ বয়সে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হাঁটা হতে পারে ভালো ব্যায়াম। অধিকাংশ প্রবীণই এটি করতে পারবেন। মধ্যমমানের হাঁটা খুব উপকারী।
হাঁটা হৃদস্পন্দন বাড়াতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ায়, হাড় ক্ষয় কমায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ঘুম ভালো করে, জয়েন্টের ব্যথা কমায় এবং বিষণ্নতা কমাতে কাজ করে।

সাঁতার

সাঁতার মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্যালরি ঝরায়, পেশি শক্ত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বাড়ায়। সাঁতার মানসিক চাপ কমায় এবং জয়েন্ট ভালো রাখে। সুস্থ থাকতে ফিটনেস ট্রেইনারের পরামর্শ নিয়ে সাঁতারও রাখতে পারেন ব্যায়ামের তালিকায়।

নাচ

ব্যায়ামের তালিকায় নাচও রাখতে পারেন। বুড়ো বয়সে নাচের কথা শুনে নিশ্চয়ই হাসি পাচ্ছে। তবে জানেন কি নাচ শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে? এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষন্নতা কাটাতে সাহায্য করে। তাই যদি শরীর ও মন সায় দেয়, তাহলে আধঘণ্টা নাচতেও পারেন। এটি শিশুতোষ আনন্দেও ভরে তুলবে আপনাকে।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত