ইরাবতী সাহিত্য: বিজয় সিংহের তিনটি কবিতা
শালিধান
দুই গুচ্ছ শালিধান বুকে রেখেছিলে
এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু
চারে বেদ পাঁচে পঞ্চবান নিয়ে
বিমুর্ত ছায়ারা ওগো পাশ ফিরে শোয়
কোমায় চুবিয়ে সমকাল
প্রশ্রয়ও আমাকে দিয়েছে
যা গেছে তা থেকে গেছে গোধূলির চরে
শালিধান বুকে নিয়ে মরেছে সময়
চাঁদ আশীর্বাদী নিয়ে যত ওড্রফুল
রেখেছে মাথায়
চাঁদগর্ভ থেকে দেখো কচি কচি সাপ সব
চন্দ্রমুখী যোনিদেশে গর্ভে অন্ত্রাশয়ে
কী অমর্ত্য বাসা বানিয়েছে
প্রত্যেকের সখা আমি ওড্রের বিষাদ নীল
ফণার মার্মিক হয়ে ঘুরি
খাদে করেছি আবাদ
দুটি বুকে ফুটেছিল শস্যবতী রাত
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের সমস্ত টরেন্টোতে
বাংলাদেশের সমস্ত মাত্রাতিরিক্ত সিনসিনাটির
বাংলাদেশের সমস্ত লিখিত টেমসে রি-রিভাইবেলে
ছ- আকাশ অন্তর্দেশি কিছুটা ঝুঁকেই
দেখেছে খালের জল জোছনায় কাঁপে আর
কীভাবে মেয়েরা জল-স্পর্শ নিয়ে দৈবী হয়ে যায়
তড়িতাহতেরা ফেরে অনিবার্য ভোরে
চুমুর তুমুল গন্ধে বাংলায় যে ইরানি গোলাপ
ফুটেছিল সেখানেই জখমি শেয়ালের ঘরদোর
সে-ই পুরনো পার্টনার লহু
শোষণের অধিকার শুধু তারই
সেসবও লিখিত হয় টরেন্টোয় মিশিগানে
টেমসের এপারে ওপারে
ওগো মোর গীতিময়
মেলোডির আর্তি তিনি পিত্তল প্রদীপও
বাতাসে ঘাসের বীজে ত্রিচরণ তাঁর
পায়ে পায়ে ওড়া যুবা-পতঙ্গের সমস্ত রঙিনে
স্পর্শাতীত তিনি অতৃপ্তির শ্বাসে সলিলকী
তিমি’র আঠালো পেটে এ শরীর
বেঁচেছিল, শ্যাওলায় সবুজ হয়ে গেছে
অন্ত্রের ফোকরে বাসা নিয়েছিল টুকটুকে লাল
কবুতর, গাঁ-গঞ্জে একদিন
আহত কান্নায় ভেঙে যাব
যে রাজনীতি লুপ্ত, যে রাজধানী শেয়ালের
শীৎকারকেই কলাবতী ভাবে
একদিন জুড়ুয়া ভাইকে ফিরে পাবো তার
খড়িওঠা স্তম্ভের ছায়ায়
অক্লান্ত মঞ্জরি তিনি আমাদের জন্য রেখেছেন
মাধুরীলতার ভাষা কাঙ্গনি বীজ সুসমাচার
লিখিত জলের
জলাক্ষর প্রতিবিম্বে ধরা ছিল না-বিশ্বাসীর
তৎসম গান

কবি
ধৃতিরূপা দাস says:
এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু…
ভালো থাকুন দাদা