যুগল কবিতা
আজ আত্ম যখন নেই
সময়ের অচেতন গহীনে
বনের প্রাণীরাও সচেতন দৃষ্টি দেয়,
অথচ মানুষ কেন একক সমূহে?
বন্য ডালপালায় জীবিকা পাই যখন,
প্রকৃতির উদারতায় কয় জনই বা,
“ধন্যবাদ” নামক কয়েকটা ব্যাঞ্জন ও স্বরের
সম্মিলনে শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করেছি?
শিক্ষিত আত্মাকে প্রশ্ন করার মানে
নতুনকে আরো পূর্ণতায় পাওয়া,
অথচ সেই শিক্ষিত আত্মা,
নিজ আত্মাকে পুড়িয়ে মারে,
নিজ আত্নাকে বেচে দেয়
ভ্রাম্যমান চরিত্র ও অন্ধবিশ্বাস এর মাঝে।
অদ্ভুত এ সময়ে,নীরবতা ঘায়েল করে।
অবশেষে,
প্রকৃতির স্বচ্ছ আলো বাতাসে
তবুও সত্যতার সুঘ্রাণ স্থায়ী সর্বকাল।

বা তারা নয় তাদের
চলতে চেয়েছি বলে
গভীর কিছু বার বার আটকায়,
ভাবতে গিয়েও
পাচ্ছি আটকে থাকার সীমানা।
আসলেই কি ভাবনাকে সীমানায় আটকানো যায় ?
পড়ে গিয়েও
যাচ্ছি থমকে থাকার সীমানায়,
আসলেই কি থমকে থাকা স্থির হয়েই রয় ?
পারব বলে গভীরতার সীমানা অসীম জানি,
পারব না বলে গভীরতার সীমানা সসীম এটাও মানি,
তবুও দ্বিধা দন্দ্ব ও চলা
সব কিছু যেন গড়িয়ে চলা পানি,
একলা কিছুই চলছি বলে,
সংগ্রামের বৈপরীত্য হাসে ও ওড়ে,
পাখনা মেলে চলতে চাইলেই পারে,
সব কিছু উগ্রে দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে রয়,
গভীর মনের শান্ত কথা মালার গঠন।

কবি