ইস্তানবুলে লেখা তিনটি ই-কবিতা

Reading Time: 2 minutes

 

 

এস্ট্রোনমির ক্লাসে ২০১৭

 

দিয়াশলাইয়ের মতো ফস্ করে জ্বলে ওঠে এয়েরোপ্লেনের জানালা।

রক্ত রোদের ফেরার সময় হলে ওথেলোই আলতোভাবে ডোর খুলে দেয়।

যিশুর কান থেকে নেমে আসে রক্তাভ সান্ত্বনা, ফের।
অথচ আমাদের সান্ত্বনা বোঝার ডোর বন্ধ হয়ে গেছে।

দেরি নেই, দেরি নেই ধূসর গ্রহণেই ডুবে যাবে নাসা
আমাদের এস্ট্রোনমির স্নাতকের শ্রেণিকক্ষের প্রথম বেঞ্চে মুছে যাওয়া নক্ষত্রে কারা কারা থাকতো আমাদের আর জানা হবে না তা।

 

 

 

বিমানবোহেমলগ ২০১৭

 

ইস্তানবুল এর নদীজল পেড়িয়ে উড়ে যাও ইটার্নিটিমুখিন একটা তুরস্কবিমান হয়ে।

শহুরে সাদারঙ হর্ম্য টোটেমনারীর মিমিক্রি আটকে আছে বায়ুবীতগতিবেগে, আমার অন্তর্বর্তী বিমানযানে।

স্মার্টফোনের লাস্যময়তায় ডায়নামোচিত্ত থেকে ছিটকে আমার আওতার অনেক নিচে পড়ে যাও তুমিও, প্রেমোমত্ত মেঘমেয়ের যৌবন।

আমি তাও ভেবে ভেবে আকাশের বিমানকে সাবমেরিন, লিকুইড চেঞ্জ পরিহার করি আকাশবিছানায়।

তবু হু হু করে আমাদের বিমানপথ আগলে দাঁড়ালো ভূমধ্যসাগর আর নীলাভ অরেঞ্জের আত্মপেলবতা।

এভাবেই কিছুকাল বিমানে, নভোবিজ্ঞানে, সসারে বোহেমীয়ায় নেতিয়ে থাকাকালে মানচিত্র তুরকিনাচন সয়ে এলো।

গাল্ফের জল এই এই এই ডেকে ডেকে হেসেখেলে জানালো সেও বাড়িতে কেককাটার অপারেশনাল অপেক্ষায় আছে তুষারাদ্রি মেঘঅন্তে।

আর বিমানমাদকতা ভেঙে গেলে বেএক্তিয়ার ভাবা যাক আকাশছোঁয়া অত্যুঙ্গ ইরেকশন, বায়ুমিলন, কেশাগ্রস্পর্শ, সুবাস ওহো!

 

 

 

আনএপ্রুভড ডেটিং ২০১৭

 

একটা কোনো দিন যেনতেন আমি গাছের মাথায় মাথা রেখে ঘুম জাগবো।

তোমার মাথার উপর স্বচ্ছ একটা ছাতা আর আরো আরো তুষারপাত,ভয়া ভয়া চাহনী।

আকাশে কোথাও গথিক বেহাগরাগ
আকাশে গান করছে কে বা কারা, কান্নাকান্নাকান্না!

এহেন একাডেমিয়া ভেস্তে দিয়ে উন্মাদাগার খুলে তিয়ান আমেন ভায়া হয়ে তাস্মানিয়ায় নিতাম রাত সাড়ে আটটার ডেটিং ট্রিপ 
আমিও ইশ্ যদি

দিগবিলীন হতে প্রিয়তমা
তোমার প্রাইওর অনুমোদন লাগেনা আর আজকাল।

তাসমানিয়ায় ডেটিং নিয়ে যাবে, চলো!

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>