শর্মিষ্ঠা ঘোষের গুচ্ছ কবিতা
রেসলিউসন
……………………….
আর কিছু না হোক টুয়েন্টি বাই টুয়েন্টি ভিশন চাইই চাই পলক ছাড়া আমাদের চোখের মাঝখানে আর কাউকে সইতে কষ্ট হয় রোদের পশমিনা না জুটুক তোমার তাওয়ায় সেঁকে নেব শীতজীবন ফর্মালিনে রাখা কামনা ফের নড়েচড়ে উঠেছে রক্তাক্ত তীব্রতায় দ্যাখো, আমি খুলে রাখছি সমস্ত জটিল পালক নির্দ্বিধায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসছি তোমার বাতিঘর তোমার নির্জন আর কিছু উদযাপন থাক না থাক ঠোঁটে ঠোঁটে বোলো , ‘চিয়ার্স’ আর কিছু পাই না পাই এই মিথোজীবিতা মরে যাক তোমায় চেয়ে
মানুষের ভালো থাকা
………………………………
হুঙ্কার টঙ্কার থেমে গেলে ঘর আর চারটে দেয়াল তাতে ঘন সর ত্যাগ ভরসা বিশ্বাস মায়ের ভালোবাসার জন্য হাঁকপাক মরে যেতে যেতে মেরে যেতে যেতে আসলেই এক থালা ভাত পেলে একটু একটু ইচ্ছে করে প্রেম হোক খুব কেউ ভালোবেসে বলুক , আহারে ! খুব বুঝি মনখারাপ আমায় ছাড়া ? কপাল থেকে সরিয়ে দেয় উড়ো চুল তারপর মুখোমুখি বসে দেশ কাল সময় সমাজ মানুষের ভালো থাকা
নিয়ে যাবে
…………………..
এইবারে যদি খুঁজেই না পাও বর্ণিত সব ল্যান্ডমার্কগুলি দ্বীপের ভেতরে আজব বৃক্ষ ফুলফল নেই সেই মনকাড়া ধরো তারা ভুয়ো পুরো ফ্যান্টাসি ছিলনা হবেনা হয় না কখনো অ্যাম্বার ধূপে ঢেকেঢুকে রাখা কামের মদের মাংসাশী ঘ্রাণ ঘুমভেঙে আসে নতুন সকাল রাত্রিকথন বিস্মৃত তারা ধরো এইবারে ঠোঁটের কিনারে ফুটে ওঠা হাসি ফর্মালিটির নেই কিছু নেই ঘেমো প্রেম ছাড়া বারোয়ারী ছোঁয়া অন্তঃস্থলে কার কথা ভেবে আদরে সোহাগে কাকে জপে চলে লুকনো আদর বল ফিরে যাবে বল নিয়ে যাবে এইসব সাথে হে প্রেম আমার !
লড়াই
………..
লড়াইটা আসলে একক লড়াইটা নিজের পিঠে হাত রাখার মত একা লড়াইটা দাঁতে দাঁত চেপে ঠোঁট কামড়ে রক্ত বের করে ফেলার উল্টোদিকে এক অদৃশ্য হাত টেনে ছড়িয়ে ফেলছে এতদিনের শান্তি বিশ্রাম উল্টোদিকে এক মেলা শক্তিধর দান চেলে অপেক্ষায় তোমার রাজা মন্ত্রী গজ নৌকো সব তার কব্জায় পা টেনে টেনে টেনে টেনে কষ বেয়ে ক্লান্তি ধুলো ঘাম চোখের নীচে কবেকার ঘুমের কাজল শুকনো জল হাতে এক রোগাক্রান্ত হাত তোমার জন্য নিষ্প্রভ চোখে অপেক্ষার ঝিলিক তার জন্য শুধু তুমি আছ তার কাছে তুমিই সব

কবি