| 20 এপ্রিল 2024
Categories
গীতরঙ্গ

গীতরঙ্গ: কলকাতার কুটির শিল্প । পারমিতা চক্রবর্ত্তী

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
কলকাতা শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে আছে ইতিহাস৷ কলকাতার রাস্তা, কলকাতার পুরানো পাড়ার গন্ধ , কলকাতার খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে একটা দারুণ বৈচিত্র্য। একটি গ্রাম ধীরে ধীরে শহর হয়ে ওঠা এবং সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র স্বাপনে অনেক ইতিহাস একত্রিত হয়ে আছে। গ্রাম ,শহরের মেলবন্ধন যে মূলত বাণিজ্যকেন্দ্রিক ছিল না তার প্রকৃত নিদর্শন কলকাতা।আর এই মিলকরণের পিছনে ছিল কিছুটা বিলাসিতাও I এক সময় গ্রাম থেকে শহরে আসতে মানুষ চাই না৷ শহুরে আদব-কায়দাকে  এক শ্রেণীর মানুষ ঘৃণা করত ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল  বহু কুটির শিল্প৷ তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ শহর হল কলকাতা৷ এই শহরের গোড়াপত্তনের সময় থেকেই বেশ কিছু কুটিরশিল্প গড়ে উঠেছিল যেমন – কাঠ – খোদাই শিল্প ,মৃৎ শিল্প ,পট চিত্র তৈরীকে ঘিরে শিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি ৷ 
সাহেবদের কলকাতা তখন বসবাস করার যোগ্য ছিল না ৷ চারিদিকে ঘন বন জঙ্গল, জলা বনভূমি, অর্ধনগ্ন মানুষজন, উভয়ে উভয়ের ভাষা জানত না৷ তাদের রোগে ধরলে চিকিৎসার ভাষা বোঝার কেউ নেই ৷ এমন পরিস্থিতিতে সাহেবরা নিজেদের স্বার্থে কলকাতার গোটা বনজঙ্গল সাফ করে গড়ে তুলল শহর৷ আর এই শহরকে ঘিরে বেড়ে চলল ব্যবসা ও বিলাস। কিছু মানুষ আবার ব্যবসা করতে করতেই নেটিভদের  শিক্ষিত করে তোলার তাগিদ বোধ করে ঘর বানিয়ে  শিক্ষালয় গড়ে তুলল৷ স্বভাবতই প্রয়োজনীয়তা দেখা গেল অনেক কিছু৷ সভ্যতা চায় অগ্রগতি Iএইভাবে সুতানুটি ছাড়িয়ে কলকাতা বিস্তৃত হয়ে গোবিন্দপুর হল৷  মুঘল শাসনের সময় এত সবকিছু কারো মাথায় ছিল না ৷  সাহেবরা একদিকে  নীলকুঠি চালায়, যুদ্ধ করে আবার নেটিভদের  ভালো মন্দ চিন্তাও  করে ৷ কাঁচা ছাউনি বাড়ি বাঁচাবার জন্য আনন্দ , উৎসবে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল।

সাহেব শিল্পীদের দিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা শহরের ছবি আঁকা তাগিদ বোধ করলেন এই নতুন শহুরে প্রভুরা৷ আবার কেউ কেউ নিজে থেকেই কৌতুহলী হলেন এই বৈপরীত্য  ভরা শহরটার বিবরণ  লেখা আঁকাতে  ধরে রাখার জন্যI এর থেকেই ধীরে ধীরে কলকাতার মানুষদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ল  পটচিত্র আঁকার। দৈনন্দিন জীবনে তারা যা দেখতো এঁকে রাখতো খুব সুন্দর ভাবে পটের মধ্যে৷ কলকাতায় সাহেব এবং স্থানীয় মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠল এক মিশ্র সংস্কৃতি I তখন সবথেকে উল্লেখযোগ্য শিল্প পটশিল্প ৷


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com


পট শিল্প
মুঘল মুঘল শাসনের সময় থেকে মিনিয়েচার ছবির যে বিস্তার তখন ছিল তার প্রভাব এবং শিল্পীদের মধ্যে ও লক্ষ্য করা গেছে ৷ কিন্তু এই বঙ্গের নিজস্ব জলবায়ু ও মানসিক গঠনে যে শিল্প এসেছিল স্বতস্ফুর্ত ভাবে তা  আলপনা এবং পটচিত্র থেকে৷ স্বভাবতই যারা এই সমস্ত শিল্পের রচয়িতা তাদের মনের মধ্যে ছিল ধর্মীয় ভক্তি বা মহাজাগতিক বর্ণনা৷ রামায়ণ-মহাভারত এইসব শিল্পের  জন্য আদর্শ বিষয়বস্তু ছিল৷ বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে এসেছিল নদীয়ার নিমাই এর আগমনে৷ বৈষ্ণব, শাক্ত বিভাজনে সবাই মেতেছিল৷
গ্রাম থেকে পটুয়ার পটে এঁকে  কলকাতা গ্রামে কালীঘাটে এনে বিক্রি করত৷ গ্রামের পট  তখন ছিল আখ্যানধর্মী৷ এদের রেখার রং সবই ছিল দেশীয়৷ একজন পটুয়া শিল্পী অল্প সময়ের মধ্যে অনেক পট করে দিতে পারত এবং সে পারার মধ্যে ছিল অসম্ভব  পেশাদারিত্ব ও সৌন্দর্য্য৷ একজন শিল্পী দ্রুত তুলির টানে যেসব পট তৈরি করত তার মধ্যে ছিল সম্পূর্ণ স্বকীয়তা৷ এরা অল্পস্বল্প হলেও  মিনিয়েচার ছবির সাথে পরিচিত ছিল কিন্তু ইউরোপিয়ান ছবির সঙ্গে একেবারেই পরিচিত ছিল না৷ এমনকি ড্যানিয়েল, সলভিনস বা ডয়লিদের করা কাজ দেখার সুযোগ  এরা পায়নি৷ কিন্তু এদের করা পটচিত্র আঁকা দেখে দেখলে কতটা প্রভাব পড়ত তাদের শিল্পের মধ্যে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছেI এইসব পটুয়াদের কারিগরি দক্ষতা সবটাই ছিল সহজাত৷ ওরা ছবিতে যে তুলির টান ফুটিয়ে তুলত  এবং  ছবির যা বিষয়বস্তু  ছিল তা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ৷ 

একদিকে শিক্ষিত বিদেশী শিল্পীদের হাতে কলকাতার অক্ষয় হতে থাকলো অন্যদিকে গ্রামীণ মানুষের সহজাত দক্ষতা কলকাতা প্রত্যক্ষ করতে থাকলো ‘কালীঘাট পট’ ৷ কলকাতার ঘরে ঘরে কদর পেল এইসব পট ৷ সাহেবরা দেখল তারা কোনভাবেই  এই শিল্পের  মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না ৷  ওদের এর মধ্যে  প্রবেশ করতে আরো কয়েকটা দশক লেগে যাবে৷ কলকাতায় পট শিল্পের সাথে সাথে আর এক শিল্পের বিস্তার দেখা দিয়েছিল তা হল মৃৎ শিল্প ও গয়না বানানো ৷


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com


মৃৎ শিল্প ও গয়না
এই সময় সাহেবদের আনুকূল্যে নব্যধনী  কলকাতাবাসীরা সাহেব স্থাপত্যবিদদের  ধরে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন এবং ঘরে-বাইরে বিদেশী মূর্তি ছবি, আসবারপত্র দিয়ে সাজাচ্ছেন৷ জাহাজ ভর্তি শিল্পসামগ্রী আসছে শুধুমাত্র সাহেব ও নব্যধনী কলকাতাবাসীদের জন্য। কলকাতা গ্রামের নেটিভদের শিল্পভাবনা প্রকাশ পাওয়ার সুযোগ সেভাবে পাওয়া যেত না তখন ৷কুমোরটুলিতে ছোট ছোট বসতি গড়ে তুলল ব্ল্যাক জমিদারেরা৷ তাদের বাড়ির পুজোর মূর্তি গড়ার জন্য এই নেটিভ শিল্পীরা ছাড়া আর কেউ করতে পারত না৷ আবার মাঝে মাঝে এই শিল্পীদের ডাক পড়ত সাহেব শিল্পীদের কাজে হাত লাগানোর জন্য৷ কলকাতার ধনীদের ঘরে ছোট-খাটো মূর্তি ,ছবি যা মূলত ধর্মীয় তা গড়ে  দেওয়ার জন্য  ডাকা হত ৷ দেবদেবীদের সাথে তো সাহেবদের কখনো  এক আসনে বসানো যায় না তাই সে ক্ষেত্রে এই নেটিভ শিল্পীদেরকেই এই কাজে লাগানো হত৷ ‘ম্লেচ্ছোরা’ ছুঁয়ে দিলে সবকিছু রসাতলে যাবে এই ভাবনা কাজ করত কলকাতাবাসীদের মনে ৷ধর্মের রাস্তা দিয়েই এইসব  শিল্পীদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে শুরু করল এবং একই সঙ্গে গড়ে উঠল মৃৎ শিল্প ৷
নতুন করে গড়ে ওঠা শহুরে শিল্পী শব্দটার সঙ্গে কলকাতাবাসীর পরিচয় সামান্যই ধরে নেওয়া যায় ৷কাপড়ে নকশা তোলা ,কাপড়ে কাঠের ব্লকে ছাপা, সুতি কাপড়ে নকশা তোলা, কাপড়ে রঙের করা এসব তো ছিলই অনেকদিন ধরে ৷ সুতানুটি  বাজারের দৌলতে সারা বাংলা জুড়ে তখন ছিল এই সব শিল্পীদের কদর আর গরান গাছের দৌলতে গরানহাটার সঙ্গে কুমোরটুলি একটা শিল্পের আভাস উঁকি দিচ্ছিল ৷ অলংকার  তৈরীর জন্য কারিগর বা শিল্পী যোগানে কলকাতায় বাঙালিদের সাথে সাথে  অবাঙালি কারিগর শিল্পীদের একটা প্রচেষ্টা তখন দেখা যায় ৷সাহেরা বিদেশ থেকে জন্য অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে সেসময় কার্পণ্য করেনি ৷সেসময় একশ্রেণীর হাতে এত অর্থ ছিল যে তা কীভাবে শেষ করবে বুঝতে পারত না lআর এক শ্রেণীর বেঁচে থাকার জন্য শুধু ছুটে বেড়াচ্ছে দিন রাত Iএই বৈষম্য খুব প্রকট ছিল ৷তবে বৈষম্য কলকাতায় নয় ভারতবর্ষে  আবহমানকাল ধরে চলে আসছিল৷ আর একটি শিল্প বৃহৎ আকারে কলকাতায় দেখা যায় তা খোদাই শিল্প ৷
খোদাই শিল্প
সলভিনস সাহেব বা মাদাম বেলেনোস এর আঁকাতে   অনেকের পেশা রূপ পেয়েছে৷ কিন্তু নেটিভ শিল্পীদের পেশা নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই ৷বিশেষ করে খোদাই শিল্পী বা কারিগরদের সম্পর্কে   এখানে তেমন কিছু জানাই যায়নি ৷ এমনও হতে পারে এসব শিল্পী ও কারিগরদের সংখ্যা এতটাই কম ছিল যে তাদের খুঁজে পাওয়া হয়তো কষ্টসাধ্য ছিল ৷বাংলা বইয়ের ছবি ছেপে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছিলেন ১৮১৬ সালে৷ মাত্র ৬ টি ছবি কাঠ ও ধাতুতে খোদাই করে  রামচাঁদ রায়  বিখ্যাত হয়েছিলেন। বাংলায় অন্নদামঙ্গলকে প্রথম সচিত্র বাংলা বই হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও কিছু কিছু খোদাই  শিল্পীরা সাহেবদের কাছে তালিম নিয়ে অন্যান্য বইয়ের জন্য  কাজ করে গেছেন৷ Mildred Archer কলকাতার কয়েকজন বিদেশী খোদাই শিল্পীর কথা বলেছেন Cabel Garlend, John Alefounder, Richard Brittridge, John Brown ,Aron Upjohn ও James Moffat ( Archer Mildred , ৷ndian popular painting (London 1977) p- 159) এদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে কলকাতা ছাপাখানা শুরুর গোড়ার দিকের খোদাই শিল্পী হিসেবে ৷ অর্থাৎ ছাপাখানা বাড়বাড়ন্ত সঙ্গে এই শিল্পীদেরও কারিগরের একটা চাহিদা ছিল৷ সাহেবরা গল্পের আখ্যান ভাবে কল্পনা বাস্তব চেহারা দিয়েছিলেন। সেই দক্ষতা তারা  দেশ থেকে নিয়ে এসেছিলেন৷ কিন্তু আমাদের স্থানীয় শিল্পীরা কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ক্ষমতা তখনো অনুসরণ করতে পারিনি৷ কোম্পানি আমলের শিল্পীদের অনুকরণে কিছু তেলরঙে আঁকা দেবদেবী চল শুরু হয়েছে হয়েছিল  ১৮শতক থেকে ৷ ঐ সমস্ত দেব দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে তাদের শুনে আসা কাহিনী থেকেই ৷ এর মধ্যে বাঙালি ঘরাণার পোশাক আশাক ও চরিত্র বর্ণনা হয়েছে বেশি করে আর ইউরোপিয়ান ঘরানার ব্যাকগ্রাউন্ড ভরাট হয়েছে৷ পুঁথির ছবি ও মিনিয়েচারের ছবি এই সব শিল্পীদের কল্পনাকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করেছে৷ যে সময় কোম্পানি প্রভাবিত ছবি হচ্ছে সে সময় রামচাঁদ রায়ের ৬টি  ছবি কিছুটা বেমানান মনে হতেই পারে৷
কালীঘাটের পটুয়ারা  ডৌল গঠন প্রকৃতির পট  আঁকা শুরু করে দিয়েছে৷ কব্জির থেকে কনুই ঘুরিয়ে রেখা আর তার ধারে ধারে রঙের টানে  চেহারার ডৌল  ফুটিয়ে ওদের ওস্তাদি মানুষের মন কেড়ে নিতে পেরেছে ৷ রামচন্দ্র রায় চেষ্টা করেছেন কিছু কিছু আলো ছায়া দিয়ে একটা ত্রৈমাত্রিক চেহারা আনতে ৷ তুলি  ও রং সে কাজটা  সফল ভাবে করতে পেরেছে। এই সময় যে সমস্ত কাঠখোদাই শিল্পীর আবির্ভাব ঘটেছিল  তারা হলেন কাশীনাথ মিস্ত্রি (তিনি তামার পাতে এনগ্রেভ করতেন) জোড়াসাঁকোর হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর এক একটা খোদাই প্লেটের দাম পড়ত এক মহোর) এই ভাবে কেউ কেউ এই মাধ্যমটিকে উৎসাহ দিয়েছিলেন ৷ 

এই শহরের  ভাগ্যে সরস্বতী আসার সুযোগ করে দেন এইসব ধর্মীয় যাজকরা ৷ তাদের প্রচেষ্টাতেই অনবরত প্রেস ,পত্রিকা ,বই হতে থাকে কলকাতায়  ৷ হলুদ পাতায় মোড়া পুঁথির যুগকে  বিদায় জানিয়ে লোহার যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আরও ছাপার অক্ষর সহ বই ছবি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য ওদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না ৷ এর সাথে সাথে গড়ে উঠল ছাপা শিল্প৷ কাঁসা ও পিতল শিল্প: এই শিল্প গড়ে ওঠে কাঁসা ও পিতলের থালাবাসন, কলসী, চামচ, ঘটিবাটি, ফুলদানি ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। এই কাঁসা, পিতল বাসনের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই শিল্পের সাথে  যুক্ত ছিল বহু মানুষ৷ মূলত গ্রামের মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে এই শিল্পের সাথে থাকতেন৷ কিন্তু এখন আর কাঁসা ও পিতলের এসব সামগ্রীর তেমন ব্যবহার নেই ৷ফলে এই  শিল্প ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে যেতে বসেছে৷


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com


 বাঁশ ও বেত শিল্প
একসময় শহুরে মানুষ রকমারি বেতের সোফা সেট, ঝুড়ি, কুলা, মোড়া, পাটি, দোলনা,মাছ ধরার বিভিন্ন সামগ্রী ইত্যাদি জিনিস ব্যবহার করতে শুরু করে৷ গ্রামের মেয়েরা  বাঁশ ও বেতের জিনিস  তৈরি করে হাটে এনে বিক্রি করত ৷ পরবর্তী কালে সেই সমস্ত জিনিস শোভা পেতে থাকে কলকাতার নব্যপরিচিত জমিদার বাড়িগুলোতে ৷ গ্রামের জিনিস ধীরে ধীরে শহরে  আসতে শুরু করে ৷ এই বাঁশ, বেতের জিনিস গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক শিল্প ৷ এছাড়াও শঙ্খ, ঝিনুক, হাতির দাঁত ও হাড় থেকে মালা, বোতাম, শাখা, চিরুনি, খেলনা ইত্যাদি জিনিসকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাংলার কুটির শিল্প গড়ে ওঠে  ক্রমশঃ৷ মূলত এই কুটির শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছিল মহিলারা ৷ তারা জীবন, জীবিকার প্রয়োজনে এই শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছিল ৷
ঋণ স্বীকার – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ( Art Manufacture of india p – 29)
পরিকথা পত্রিকা

One thought on “গীতরঙ্গ: কলকাতার কুটির শিল্প । পারমিতা চক্রবর্ত্তী

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত