| 20 এপ্রিল 2024
Categories
ধারাবাহিক লোকসংস্কৃতি

ধারাবাহিক: কৃষ্ণকথা ষষ্ঠ তরঙ্গ। দিলীপ মজুমদার

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

[আমাদের পুরাণগুলিতে, মহাভারতে, কৃষ্ণকথা আছে। রাধাকথা এসেছে আরও অনেক পরে। তবে কী কৃষ্ণ নিছক পৌরাণিক চরিত্র? সম্পূর্ণ কাল্পনিক? আমার তা মনে হয় না। রামায়ণের উপর কাজ করতে গিয়ে আমার সে কথা মনে হয়েছে। ময়মনসিংহের গৌরব, ‘সৌরভ’ পত্রিকা সম্পাদক কেদারনাথ মজুমদারের ‘রামায়ণের সমাজ’ বইটি সম্পাদনা করতে গিয়ে সে দিকে আমার দৃষ্টি পড়ে। কলকাতার এডুকেশন ফোরাম আমার সে বই প্রকাশ করেছেন। কেদারনাথই বলেছেন, তিন/চার হাজার বছর আগে মানুষের মৌলিক কল্পনাশক্তি এত প্রখর ছিল না, যাতে পূর্ণাঙ্গ রামকাহিনি লেখা যায়। অন্যদিকে প্রত্নতাত্ত্বিক শ্লীম্যান প্রমাণ করেছেন যে হোমারের লেখা মহাকাব্যের বস্তুভিত্তি আছে, যখন ট্রয়ের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেল। নিরপেক্ষ প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা হলে রামকথা ও কৃষ্ণকথারও বস্তুভিত্তি পাওয়া যেত বলে আমাদের ধারণা। দুঃখের বিষয়, আমাদের গবেষণাক্ষেত্রেও ঢুকে গেল রাজনীতি; বাল্মীকির ‘পুরুষোত্তম রাম’ হয়ে গেলেন বিষ্ণুর অবতার, তারপর তিনি হয়ে গেলেন হিন্দুত্ব প্রচারের হাতিয়ার। কৃষ্ণকথাও একদিন রাজনীতির হাতিয়ার হবে। আমরা শুনেছি সমুদ্রগর্ভ থেকে দ্বারাবতীর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। তারপরের কাজ আর এগোয় নি। যাঁরা রামচন্দ্রকে মানুষ হিসেবে দেখতে দেবেন না, তাঁরাই এরপরে কৃষ্ণকে নিয়ে পড়বেন, তাঁর মানবত্বকে আড়াল করে দেবত্ব প্রচার করবেন।

আমাদের এই কৃষ্ণকথায় আমরা মানুষ কৃষ্ণকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। তাই পরে পরে গড়ে ওঠা নানা অলোকিক প্রসঙ্গের লৌকিক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ‘ইরাবতী’র পাঠকরা লেখাটি পড়ে মতামত দিলে খুব ভালো লাগবে। নিন্দা বা প্রশংসা নয়, আমি সমালোচনার ভক্ত বরাবর।]


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,krishna

 

লোভ আর ঈর্ষা অন্ধ করে দেয় মানুষকে। দুর্যোধনেরাও লোভ আর ঈর্ষায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ধৃতরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পাণ্ডবরা ইন্দ্রপ্রস্থে ফিরে যাবার পরে একটু হতাশ হয়ে পড়েছিলেন দুর্যোধনেরা। সর্বনাশের দূত হয়ে দেখা দিলেন মাতুল শকুনি। পুনর্বার দ্যূতক্রীড়ার ব্যাপারে ইন্ধন দিলেন তিনি দুর্যোধনকে। পিতা ধৃতরাষ্ট্র অসম্মত হলে তাঁর দুর্বলকেন্দ্রে আঘাত দেবার কৌশলও শিখিয়ে দিলেন।

শয়তান হলেও বুদ্ধিমান ছিলেন শকুনি। তিনি বলে দিলেন দুর্যোধন যেন পিতাকে বলেন এবার দ্যূতক্রীড়ার শর্ত হবে নিরীহ : দ্বাদশ বৎসর বনবাস আর এক বৎসর অজ্ঞাতবাস। পিতা যদি দুর্যোধনের প্রস্তাবে সম্মত না হন, তাহলে আত্মহননের ভীতি প্রদর্শন করতে হবে

অন্তরে বাহিরে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র সম্মত হলেন। তাঁর বার্তাবহ হয়ে প্রাতিকামী এলেন ইন্দ্রপ্রস্থে। ধৃতরাষ্ট্র যেমন পুত্রস্নেহে অন্ধ, তেমনি যুধিষ্ঠিরও ধর্মরক্ষার ব্যাপারে অন্ধআবার একটা সর্বনাশ হতে চলেছে, এ কথা অনুধাবন করেও তিনি পুনর্বার দ্যূতক্রীড়ায় সম্মত হলেন। ধৃতরাষ্ট্র তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, তাঁর নির্দেশ পালন করা তাঁর ধর্ম বলে বিবেচনা করেন তিনি।

দ্যুতক্রীড়ায় পরাজিত হলেন পাণ্ডবরা।

সুতরাং আয়োজন করতে হল বনবাসের। মাতা কুন্তীকে বিদূরের কাছে রেখে তাঁরা শুরু করলেন যাত্রা। হস্তিনাপুরের মানুষ তাঁদের বিদায় দিলেন চোখের জলেতাঁরা এলেন কাম্যক বনে। এতবড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ পাণ্ডববান্ধব কৃষ্ণের দেখা   নেই। এ ব্যাপারটা যুধিষ্ঠিরকে চিন্তিত করেছিল। একটু অভিমানও হচ্ছিল । তাঁরা কাম্যক বনে উপস্থিত হবার পরে অনতিবিলম্বে এলেন কৃষ্ণ।

কেন তিনি এতদিন পাণ্ডবদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন। যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে বিঘ্নসৃষ্টিকারী শিশুপালকে বাধ্য হয়ে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ। শিশুপালের সহযোগী শাল্ব কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহায় উদ্দীপিত হন। দ্বারকায় কৃষ্ণের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তিনি আক্রমণ করেন দ্বারকা। দ্বারকায় প্রত্যাবর্তন করে কৃষ্ণ শাল্বকে সমুচিত শাস্তি দেন। এ সব কারণে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল বলে তিনি পাণ্ডবদের খোঁজখবর নিতে পারেন নি


আরো পড়ুন: ধারাবাহিক: কৃষ্ণকথা প্রথম তরঙ্গ

কপট দ্যূতক্রীড়া ও বিশেষ করে দ্রৌপদীর লাঞ্ছনার কথা শুনে কৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে বললেন যে দুর্যোধনদের শাস্তি হবেই। কারণ সামাজিক বিধান ও ন্যায়নীতিকে পদদলিত করেছেন তাঁরা। যুদ্ধ তিনি চান না, কিন্তু তাঁদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোধনেরা যুদ্ধকেই অনিবার্য করে তুলেছেন। 

কাম্যক বনের অন্তর্গত সরস্বতী নদীতীরস্থ দ্বৈত বনে কুটির নির্মাণ করে বসবাস শুরু করলেন তাঁরা। যুধিষ্ঠির তাঁর ভ্রাতাদের ও দ্রৌপদীর মুখাবয়ব লক্ষ্য করে বুঝেছিলেন যে এই বনবাসের দুঃখকে তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা তো কোন অন্যায় করেন নি। যুধিষ্ঠির শান্ত ভাবে তাঁদের বোঝাবার চেষ্টা করেন। ধর্মাচরণের পথে যে বহুবিধ দুঃখ থাকে সে কথা বলেন। কৃষ্ণ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এলে তাঁদের চিত্ত প্রসন্ন হয়।

কাম্যক বন ত্যাগ করে তাঁরা যখন প্রভাসতীর্থের সন্নিকটে বসবাস করছিলেন, সে সময়ে একদিন দেখা গেল রাজকীয় বৈভব নিয়ে দুর্যোধন সদলে প্রভাসতীর্থের দিকে অগ্রসরমান। দুর্ষোধনের আসল উদ্দেশ্য ছিল পাণ্ডবদের মনে ঈর্ষাবহ্নি প্রজ্বলিত করে তোলা। পাণ্ডবরা ভেবেছিলেন দুর্যোধনরা তাঁদের আক্রমণ করতে আসছেন। তাই তাঁরা যুধিষ্ঠিরের কাছে কৌরবদের আক্রমণ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। যুধিষ্ঠির তাঁদের নিরস্ত করলেন। শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত কৌরবদেরই সাহায্য করতে হল পাণ্ডবদের।

দুর্যোধনরা প্রভাসতীর্থে এসে গন্ধর্বরাজ চিত্রসেনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধিয়ে বসলেন। গন্ধর্বসেন তাঁদের পরাজিত করে বন্দি করলেন। দুর্যোধনপত্নী ভানুমতীর কাতর আবেদনে যুধিষ্ঠির পাণ্ডবদের বললেন সাহায্য করতে। পাণ্ডবরা তাঁদের জ্যেষ্ঠভ্রাতার ক্ষমার মহিমা মেনে নিতে না পারলেও যুধিষ্ঠিরের কথা অমান্য করতে পারলেন না।

সেই একই ঘটনা ঘটল সিন্ধুরাজ জয়দ্রথের বেলায়।

জয়দ্রথ ধৃতরাষ্ট্রের একমাত্র কন্যা দুঃশলার স্বামী। তিনি বনমধ্যে দ্রৌপদীকে দেখে প্রলুব্ধ হয়ে তাঁকে তাঁর রথে তুলে নেন । ভীম আর অর্জুন তাঁকে প্রতিহত করে মৃত্যুদণ্ড দিতে চেয়েছিলেন। যুধিষ্ঠিরের আদেশে তাঁদের নিরস্ত হতে হল।

কাম্যক বনে দীর্ঘ এগারো বৎসর পূর্ণ হবার পরে কৃষ্ণ এলেন । কৃষ্ণ তাঁদের বললেন যে বনবাসপর্ব শেষ হবার পরে তাঁদের এক বৎসর অজ্ঞাতবাসে থাকতে হবে ছদ্মবেশে এবং তাঁরা যেন সে সময়ে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, কাশী, পাঞ্চাল, মৎস দেশের মধ্যে একটিকে বেছে নেন।

বনবাসপর্বের শেষদিকে আর একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল।

এক ব্রাহ্মণ তাঁর অরণি ও মন্থ উদ্ধার করে দেবার জন্য পাণ্ডবদের শরণাপন্ন হলে তারই সন্ধানে একে একে ভীম, অর্জুন, নকুল সহদেব নিষ্ক্রান্ত হলেন। কিন্তু কেউই আর প্রত্যাবর্তন করলেন না। শেষে যুধিষ্ঠির তাঁদের সন্ধানে অগ্রসর হয়ে দেখলেন এক সরোবরের তীরে তাঁর চারভ্রাতা অচৈতন্য, মৃতবৎ হয়ে পড়ে আছেন। তৃষ্ণা নিবারণের জন্য তিনি সরোবরে নামতে যেতেই একটি কণ্ঠস্বর শুনে থমকে দাঁড়ালেন নদীতীরে। প্রশ্নকর্তার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরে তিনি চার ভ্রাতাকে ফিরে পেলেন।

বনবাসপর্বের পরে পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের জন্য প্রস্তুত হলেন।

কৃষ্ণ অজ্ঞাতবাসে অতিবাহিত করার জন্য যে দেশগুলির কথা বলেছিলেন, যুধিষ্ঠির তার মধ্যে মৎসদেশকে নির্বাচন করলেন। কারণ সে দেশের নৃপতি বিরাট ধর্ম ও ন্যায়পরায়ণ।

যুধিষ্ঠির কঙ্কের ছদ্মবেশে, ভীম বল্লভের ছদ্মবেশে, অর্জুন বৃহন্নলার ছদ্মবেশে, নকুল গ্রন্থিকের ছদ্মবেশে, সহদেব তন্ত্রিপালের  ছদ্মবেশে এবং দ্রৌপদী সৈরিন্ধ্রীর ছদ্মবেশে প্রবেশ করলেন বিরাট রাজ্যে।

প্রথম কিছুদিন নিরুপদ্রবে অতিবাহিত হলেও পরে সৃষ্টি হল সমস্যার। সেই সমস্যার মূলে দ্রৌপদী। তাঁর প্রতি রাজশ্যালক কীচক আকৃষ্ট হলেন। ভীমের হাতে নিহত হলেন কীচক ও তাঁর সহকর্মীরা। অত্যন্ত গোপনে এসব করলেন ভীম।

এর পরে আরও এক গুরুতর সমস্যা দেখা দিল।

কীচক ইন্দ্রিয়পরবশ হলেও বীর ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে কৌরবদের প্ররোচনায় ত্রিগর্তরাজ সুশর্মা আক্রমণ করলেন মৎস্যরাজ্য। বিরাটরাজের বিশাল গোধনের প্রতি লোভার্ত দৃষ্টি ছিল সুশর্মার।

তখন বিরাটরাজের সহায়তায় অগ্রসর হলেন  ছদ্মবেশী পঞ্চপাণ্ডব। বিরাট ভেবেছিলেন তাঁর তরুণ পুত্র উত্তরের কৃতিত্ব এই জয়। পরে উত্তরই তাঁর ভ্রম সংশোধন করেন।

তখন হিসেব করে দেখা গেল পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের পর্ব শেষ হয়েছে। বিরাট রাজ ছদ্মবেশী পঞ্চপাণ্ডবের প্রকৃত পরিচয় অবগত হলেন। আনন্দিত হয়ে তিনি অর্জুনপুত্র অভিমন্যুর সঙ্গে আপন কন্যা উত্তরার বিবাহ দিলেন। 

বিবাহসভায় উপস্থিত হলেন কৃষ্ণ, বলদেব, দ্রুপদ প্রভৃতি আত্মীয়বর্গ। বিবাহের পরে পাণ্ডবরাজ্য পুনরুদ্ধারের প্রসঙ্গ উথ্থাপিত হল। সমদর্শী কৃষ্ণ তাঁদের বললেন যে যাতে কৌরব ও পাণ্ডব উভয়ের মঙ্গল হয়, সেই পথ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। কৃষ্ণ বললেন, ‘ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির অধর্মাগত সুরসাম্রাজ্যও কামনা করেন না, কিন্তু ধর্মার্থসংযুক্ত একটি গ্রামের আধিপত্যেও অধিকতর অভিলাষী হন।’

কৃষ্ণ ঠিক কী বলতে চান তা সমবেতরা অনুধাবন করতে পারছিলেন না। কৃষ্ণ বললেন, ‘যাতে দুর্যোধন যুধিষ্ঠিরকে অর্ধ রাজ্য প্রদান করেন—এ রকম সন্ধির নিমিত্ত কোন ধার্মিক পুরুষকে দূত হিসেবে কৌরবদের কাছে প্রেরণ করা হোক।’

কিন্তু মহারাজ দ্রুপদ একমত হলেন না। তাঁর মতে দুর্যোধন বিনা যুদ্ধে যুধিষ্ঠিরদের রাজ্যের দাবি মেনে নেবেন না।

ধৃষ্টদ্যুম্ন উগ্রভাবে বললেন যে সন্ধির প্রস্তাব বা দূত প্রেরণ বৃথা যাবে।  তাঁর মতে এখন কালক্ষেপ না করে হস্তিনাপুর আক্রমণ করা দরকার।

দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম তাঁকে সমর্থন করলেন। তিনি ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন যে দুর্যোধনের মতো দুরাত্মা ধর্মকথা বোঝেন না, বোঝেন হিংসা আর যুদ্ধ। এটাই তাঁদের ভাষা। তাঁদের ভাষাতেই তাঁদের জবাব দিতে হবে।

ভীমকে সমর্থন করলেন অর্জুন, নকুল আর সহদেব। পাঞ্চালবীরেরাও যুদ্ধের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন।

যুধিষ্ঠির এইসব উগ্র আলোচনায় বিচলিত হলেন। দুর্যোধনেরা একের পর এক যেসব অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে অপরপক্ষ যে তিক্ত-বিরক্ত হবেন, তা স্বাভাবিক। পাণ্ডব বা পাণ্ডববন্ধুদের প্রতিশোধস্পৃহাও অস্বাভাবিক নয়।

কিন্তু তাই বলে যুদ্ধ!

এ যুদ্ধ তো সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

তিনি সমাধানের জন্য কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে রইলেন। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের মতো কৃষ্ণ বললেন যে শেষ পর্যন্ত শান্তি আলোচনা করে যাওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত যদি সে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তখন যুদ্ধের দায় আর পাণ্ডবদের থাকবে না। কৌরবদের অনুগামীরাও দুর্যোধনদের দিকে আঙুল তুলবেন। তাঁদের মধ্যে স্পষ্ট হবে বিভাজনের রেখা।

যুধিষ্ঠির কৃষ্ণের প্রস্তাব সমর্থন করলেন।

একজন পাঞ্চাল পুরোহিত হস্তিনাপুরে দূত হিসাবে প্রেরিত হলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত