বিদায়ের বাঁশি গেইল বাজিয়ে দিয়েছেন আগেই। সেই কবেই বলে দিয়েছেন—এই বিশ্বকাপ খেলেই বিদায় বলব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। গেইল যে বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছেন, সেই সুর আজ তীব্রভাবে লাগবে তাঁর ভক্তদের কানে। এটাই যে শেষের শুরু গেইলের। আর এই শেষের শুরুর মঞ্চে একটি ছক্কা মারলেই রেকর্ড গড়বেন ‘ইউনিভার্স বস’l
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অপেক্ষা আরেকটু বাড়লো ক্রিকেট বিশ্বের।
গেইল আর ছক্কা যেন সমার্থক! সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৫১৭টি ছক্কা মারার রেকর্ডটা তাঁরই। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ছক্কা মারলেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক হবেন গেইল। আপাতত সমান ৩৭টি করে ছক্কা মেরেছেন গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। উইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার কারণে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত গেইলের টেস্ট খেলার সংখ্যা ১০৩, ওয়ানডে ২৮৯। এর মধ্যেই টেস্টে পেরিয়েছেন ৭ হাজার রানের মাইলফলক, ওয়ানডেতে ১০ হাজার। যে সংস্করণে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া, সেই টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ জিতেছেন দুটি।
গেইলের বিশ্বকাপ অভিষেক ২০০৩ সালে। সেই থেকে খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ। প্রথম দুটিতে তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নকআউট পর্বেই উঠতে পারেনি। পরের দুবার ছিটকে গেছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে গেইল বিশ্বকাপে খেলে ফেলেছেন ২৬টি ম্যাচ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৫টি সেঞ্চুরির ২টি বিশ্বমঞ্চে। তবে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এখানেই, গত বিশ্বকাপে ক্যানবেরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ডাবল সেঞ্চুরি দর্শন এটাই প্রথম।
এবার অবশ্য বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা দূর করতে চান গেইল। শেষটা রাঙাতে চান শিরোপার সোনালি রঙে। চিরকালীন বিনোদনদায়ী গেইল সেটা নিজের চেয়েও বেশি চাইছেন সমর্থকদের আনন্দে ভাসাতেই, ‘এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি মাথা উঁচু করে শেষ করতে চাই। নিজের সেরাটা দেব…আমরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসে) তৃতীয় বিশ্বকাপ জিততে চাই। যেখানেই যাই মানুষ আমাকে বলে, “ক্রিস গেইল, আমরা তোমাকে ভালোবাসি।” আমরা ভক্তদের বিনোদন দিতে চাই। আমি ভক্তদের জন্যই খেলি।’
.