এবার বর্ষায় লাটপাঞ্চার ঘুরে আসুন
মহানন্দা নদী থেকে একেবারে উপরে প্রায় ৪৫০ ফুট উঁচুতে এক গ্রামের নাম লাটপাঞ্চার। শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে এই গ্রামটিকে আজও চিনে উঠতে পারেনি বাঙালি তথা ভারতবাসী। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়িতে মাত্র দেড় ঘন্টার পথ, তারপর আপনি সবুজ দ্বীপের রাজা। তফাত একটাই এখানে আপনি জলের পরিবর্তে পাহাড় পাবেন।
সকালের কুয়াশায় পাইন আর ধুপির জংলা পথ হাতরে পৌছে যান সানরাইস পয়েন্ট। সেখান থেকে উপভোগ করুন তিস্তার অন্তিম নীল জলরাশি। এছাড়াও রয়েছে সিঙ্কোনার চারনভূমি, পাবেন চা বাগান। যদি শীতের মরসুমে যান পেতে পারেন কমলা লেবুর চাষ। গ্রামের মাঝে দাঁড়িয়ে যেদিকেই তাকাবেন, সেদিকেই পাহাড়। খরচও সাধ্যের মধ্যেই। এখানে রয়েছে প্রায় দশটি হোম স্টে, যেখানে জনাপ্রতি একদিনের থাকা এবং খাওয়ার খরচ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
পাখী প্রেমিদের জন্য লাট পাঞ্চারের জুড়ি খুব কম স্থান রয়েছে এরাজ্যে। প্রায় ৩৬ রকমের প্রাণী ও আড়াইশোর উপর পাখির দেখা মেলে এই পাহাড়ি গ্রামে। হর্নবিল হল এখানকার বিশিষ্ট পাখী। এর খোঁজে বিদেশ থেকেও আসেন অনেক ফোটোগ্রাফার ও পরিযায়ী প্রেমীরা। বর্ষায় সবচেয়ে সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে লাটপাঞ্চার। এই সময়ে প্রচুর রঙবাহারী নাম না জানা ফুল ফোটে পাহাড়ের গায়ে।
পাখী ছাড়াও একটি অত্যন্ত বিরল প্রজাতির প্রাণী দেখতে পাওয়া যায় এখানে। ডাইনেসর যুগের একটি অতিব দুর্লভ প্রাণী সালমান্ডার। ভাগ্য সদয় হলে আপনিও পেতে পারেন এর দেখা। লাটপাঞ্চারের পাহাড় বেঁয়ে আপনাকে চলে যেতে হবে নামথিং পোখরি। এখানেই সালমান্ডারের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার অস্তিত্ব পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
কিভাবে যাবেন?
বাগডোগরা বিমানবন্দর কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ী বুক করুন কিংবা শেয়ার। শিলিগুড়ি থেকে সেবক রোড ধরে সোজা কালিংপঙ-কালিঝোর হয়ে ৪৪ কিলোমিটার দূরে লাটপাঞ্চার।
কোথায় থাকবেন?
এখানে অনেকগুলি হোম স্টে রয়েছে। সবগুলিরই খরচ প্রায় একই রকম।
লাটপাঞ্চার হোম স্টে সার্ভিস
যোগাযোগ: 094348 55447
হামরো হোম আহালদারা
যোগাযোগ: 095317 46136
