ফুল, অশ্রু, প্রেম-৩১ নারীর কবিতা (পর্ব-৩০) । মুম রহমান
লেবোগাং মাসিল [lebogang-mashile]
লেবোগাং মাসিল [lebogang-mashile] (৭ ফেব্রুয়ারি,১৯৭৯-) দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ কবি, অভিনেত্রী এবং পরিবেশন শিল্পী। ইপার্টেড বা প্রবল বর্ণবিদ্বেষের কালে (১৯৪৮-১৯৯১) তার বাবা-মা আমেরিকাতে নির্বাসিত হন। সেখানেই তার জন্ম হয়। ইপার্টেড কাল শেষ হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। জোহান্সবার্গের ইউনিভার্সিটি অফ ভিটভাটার্সরান্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আর আইন নিয়ে পড়ালেখা করলেও তিনি ক্রমশ শিল্পসাহিত্যে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মেইশা জেনকিন্স, নৎসিকি মাযোয়াই, নাপো মাসেআনেকে সঙ্গে তিনি তিনি কবিতার দলা ফেলা সিস্তা খোলেন। একাধিক ক্যাডাগরিতে অস্কার পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র হোটেল রোয়ান্ডাতেও তিনি অভিনয় করেছেন। তিনি থিয়েটারেও কাজ করেন। তার নাট্যপ্রযোজনায় নাচ-গান-কবিতার সম্মিলন দেখা যায়। তার লাইভ পাফর্মেন্স এ্যালবামে সঙ্গীত ও কবিতা মিলিত পরিবেশনা আছে। ২০০৫ সালে কসমোপলিটন তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে অসাধারণ নারী বলে উল্লেখ করে। বহু পুরস্কারের অধিকারী মাসিল আফ্রিকার সেরা শত তরুণদের একজন বলে বিবেচিত হন।
তুমি আর আমি
তুমি আর আমি
আমরা ছিলাম স্বপ্নের সুরক্ষাকারী তাই
আমরা তাদের গেথেছি আলোকচ্ছটায়
আর বুনেছি তাদের জীবনের নানা সীমায়
তুমি আর আমি
জীবন যেমন দেখায় তেমন নয় সে কথা জেনেছি
অস্থিচর্মসারের কাছ থেকেও আমরা চর্বি খুলে নিয়েছি
আর মধ্যবর্তী সব ঘটনাই খুঁজে নিয়েছি
আমাদের দর্শনশক্তিকে মুক্ত করেছি
আর ছিলো পছন্দের ক্লেশ
তোমার স্রেফ মন
আর আমার স্রেফ একটি কণ্ঠস্বর
কিন্তু আমরা ভালোবেসেছি যখন
আমরা সেই উত্তাপে ভালো বেসেছি যা জেগে উঠে উড়ক্কু গান
আমাদের পেশীর পেছনে
যদি ভালোবাসার কমতি হয়েছে
তবে আমরা হেঁটে গেছি বেদনায় যা দেখেছি
ভালোবাসা বদলে গেছে বিদ্বেষে
যখন আমরা দ্বিধায় হেঁটে গেলাম ভয়ে তা মিলিয়ে গেলো যে
আমরা সজ্ঞার চূড়ায় উঠেছি এই জীবনের ভ্রমণগুলোতে
আর অসীমের হাতে আমরা শুনেছিলাম বাকীদের ক্রন্দন
তাদের বুদ্ধির ভারে নত হয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে গিয়ে তখন
কিন্তু তুমি আর আমি
সরিয়ে দিয়েছি যুক্তির সীমানা
তুমি আর আমি
করেছি সময়ের রহস্যের পরিকল্পনা
তুমি আর আমি
মুক্ত মানুষের ইতিহাস এঁকেছি
কোন কিছুই থামাতে পারবে না তোমার আর আমার মতোকে
তুমি আর আমি
আমরা ছিলাম স্বপ্নের সুরক্ষকারী তাই
আমরা তাদের গেথেছি আলোকচ্ছটায়
আর বুনেছি তাদের জীবনের নানা সীমায়
আরো পড়ুন: ফুল, অশ্রু, প্রেম-৩১ নারীর কবিতা (পর্ব-২৯)
আমি তোমাকে পরিধাণ করি
আমি তোমাকে পরিধান করেছিলাম
একটা জীর্ণ কোটের মতো
কেমন উষ্ণ ছিলো সেই অনুভূতির জন্য
আমি তোমাকে পরিধাণ করেছিলাম
রাত্রির ছিন্নজীর্ণ পর্দার আড়ালে
নক্ষত্র ও আঁখির ঝলক থেকে দূরে
আমি তোমাকে পরিধাণ করেছিলাম
যতক্ষণ স্পর্শের আর্দ্রতা হ্রাস পায়
কুঞ্চিত চিরকুটে
আমার বা হাতে পরে থেকে
আমি পরিধাণ করে ছিলাম তোমার সুগন্ধ
কিন্তু আমি কখনো
তোমার চুম্বনের স্বাদ পাইনি।
জন্ম ২৭ মার্চ, ময়মনসিংহ। এমফিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা লেখালেখি।