ধারাবাহিক: নানা রঙে বাংলার লোকগান (পর্ব -৩) । তপশ্রী পাল
৩
নানা রঙে বাংলার লোকগানে, আজ ভাওয়াইয়া গানের কথা। চলে যাবো উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গ মানেই হিমালয়ের পাদদেশে তরাইয়ের ঘন জঙ্গল, ছোট ছোট টিলা পাহাড় আর ঢেউ খেলানো সবুজ ঘাসের খোলা মাঠ! কিন্তু শুধুই কি উত্তরবঙ্গ? আবারও বলতে হয়, লোকগান কোন দেশের সীমানার বন্ধন মানে না। পাশাপাশি দুটি দেশের বা রাজ্যের একই ধরণের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট এবং আর্থসামাজিক অবস্থানের মানুষের কন্ঠে উঠে আসে একই ধরণের লোকগান।
ইতিহাস বলে, হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ আসামের গোয়ালপাড়া ও ধুবরি এবং বর্তমান বাংলাদেশের উত্তর–পশ্চিম অংশে দিনাজপুর ও রংপুর মিলে যে অঞ্চল সেখানে আবহাওয়া, মানুষজন ও তাদের কাজকর্মের ধরণ ছিলো একেবারেই এক। এমনকি একই ধরণের বাংলা ডায়লেক্ট বা উপভাষায় কথা বলতো তারা। আজ বলবো এই অঞ্চলের মানুষের লোকগান ভাওয়াইয়া নিয়ে।
কথিত আছে উপরিউক্ত অঞ্চলে, ষোড়শ শতাব্দীতে রাজা বিশ্ব সিনহা, কুচবিহার রাজ্যের স্থাপনা করেন। সেই সময় থেকেই ঐ অঞ্চলে ভাওয়াইয়া গানের প্রচলন।
হিমালয়ের পাদদেশে এই অঞ্চলটিতে বয়ে চলেছে অজস্র নদী, যেমন তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, জলঢাকা, ! সরাসরি হিমালয় থেকে সমতলে নেমে এসে এই অঞ্চলে নদীগুলির গতি অত্যন্ত চঞ্চল এবং প্রবল স্রোত তাতে। এই অঞ্চলে বাস করেন রাজবংশী, কোচ, মেচ, রাভা, খেন ও যুগী সম্প্রদায়ের আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষজন। এদের প্রধাণ জীবিকা তরাইয়ের জঙ্গলে কাঠ কাটা, হাতি চড়ানো, সবুজ ঢেউ খেলানো উপত্যকা ভূমিতে মোষ ও অন্যান্য গৃহপালিত পশুপালন, গোরু বা মোষে টানা গাড়ি চালানো এবং চঞ্চল নদীগুলিতে নৌকা বাওয়া ও মাছ ধরা। এই মানুষগুলো অত্যন্ত দরিদ্র এবং জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তু ও সাপের সঙ্গে লড়াই করে অনেক কষ্টে গ্রাসাচ্ছাদন করে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। এই কঠিন জীবনে তাদের রক্ষা করার জন্য তাদের বিশ্বাস কিছু স্থানীয় দেবদেবীর ওপরে, যেমন বিষহরা (মনসা), শৈতল (শীতলা), তিস্তাবুড়ি (তিস্তানদীকে দেবী রূপে কল্পনা করে), হুদুমদেও (নারীর উর্বরতা ও বংশরক্ষার দেবতা), সুবচনী। ভাওয়াইয়া গানে উঠে আসে এই দেবদেবীদের কথা, হাতি ও মোষের গাড়ি চালানো মানুষদের কথা, মাঝিদের কথা।
বলা হয় যে ভাওয়াইয়া গান মূলতঃ এই অঞ্চলের নারীদের মনের কথা। গানগুলি সাধারণতঃ নারীদের মুখে বসানো হয়। অনেক সময়েই হয় যে এই অঞ্চলের ছেলেরা বা লোকেরা জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে বা হাতি চড়াতে গিয়ে আর ফেরেন না। এইসব মাহুত (যারা হাতি চড়ায়) বা মোষাইল (যারা মোষ চড়ায়) মানুষের, সাপের বা বাঘের কামড়ে মৃত্যু হয়। যারা মোষ চড়ায় তারা এবং মাঝিরা দূর দুরান্তরে চলে যায় মোষ বা তাদের মোষে টানা গাড়ি নিয়ে অথবা নৌকা নিয়ে। তারা নিজেও জানে না কতদিনে ফিরতে পারবে। তাই এই অঞ্চলের নারীদের জীবনে স্থিরতা বলে কিছু নেই। অনেকেরই প্রেম হয় কিন্তু বিয়ে হয় না। তার আগেই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দূরে চলে যায় প্রেমিক পুরুষটি। অনেক নারী বালবিধবা। তারা হয়তো সংসার করার আগেই হারিয়েছে প্রিয় মানুষটিকে। তাদের মনে এক অদম্য আকাঙ্খা প্রিয় মানুষ বা প্রিয় পুরুষের জন্য যে দূরে চলে গেছে অথবা মারা গেছে। সেই কান্না, মনের দুরন্ত ব্যথা, বিরহ এবং তীব্র মিলনেচ্ছা ও আকাঙ্খা গান হয়ে উঠে আসে ভাওয়াইয়াতে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো গানগুলি কিন্তু প্রায় সবই পুরুষের রচনা। দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া পুরুষেরা কল্পনা করে যে তাদের মনে যে বাড়ি ফেরার আকাঙ্খা এবং প্রিয়ার সঙ্গে মিলনের আকাঙ্খা, তার বহুগুণ দুঃখ ও আকাঙ্খা নিয়ে ঘরে অপেক্ষা করছে তার প্রিয়া এবং গাইছে এইসব গান তাকেই ভেবে।
এই উপজাতিদের মধ্যেও ভাওয়াইয়া প্রধাণতঃ রাজবংশীদের গান। এই রাজবংশী সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। তাই গানগুলিও মূলতঃ মেয়েদের মনের দুঃখের প্রকাশ এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজে পূজিত হন এমন দেবদেবীদের কাছে প্রার্থনা, প্রিয় মানুষটিকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। দেখা যায় যে ষোড়শ শতাব্দীর পর ক্রমে এই অঞ্চলে ব্রাহ্মণ প্রধাণ হিন্দু ধর্ম, বৈষ্ণব ধর্ম এবং সুলতানী ও মুঘল শাসণকালে ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়লেও তার প্রায় কোন প্রভাব পড়েনি এই উপজাতিদের মধ্যে এবং তাদের গানে। ফলে গানগুলি তার প্রাচীন রস ধরে রেখেছে।
একটু দেখে নেওয়া যাক, ভাওয়াইয়া কথাটির উৎস কোথায়। এ সম্বন্ধে মতভেদ আছে। বলা হয় এক ধরণের নাট্যগীতি বা পালাসঙ্গীত, যা প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে গ্রামের মানুষের একমাত্র বিনোদনের উৎস ছিলো, তার নাম ছিলো ভাও বা ভাব। সেই নাট্যগীতিতে নারীদের দুঃখ এবং মনের ভাব, অভিমান ফুটিয়ে তোলা হতো। সেখান থেকেই ভাওয়াইয়া কথার উৎপত্তি। আবার মতান্তরে বলা হয়, এই অঞ্চলের নদীগুলি অত্যন্ত চঞ্চল এবং গতিপথ পরিবর্তন করে দ্রুত। নদী যখন সরে যায়, তখন সেই অঞ্চলে অত্যন্ত উর্বর সবুজ ঘাসে ছাওয়া উপত্যকা ভূমি উঠে আসে। এই স্থানকে বলা হয় ভাওয়া। এই ভাওয়া থেকেই ভাওয়াইয়া কথাটি আসে। তৃতীয় মত অনুযায়ী প্রিয়ের জন্য ভাবা বা চিন্তা করা থেকেই ভাওয়াইয়া কথাটির উৎপত্তি। এমনও বলা হয় যে ‘বাওদিয়া’ বা ভবঘুরে মানুষেরা যেমন গাড়িয়াল (যারা গোরুর বা মোষের গাড়ি চালান) বা মইষাল (যারা মোষ প্রতিপালন করেন) যে গান করেন, সেই বাওদিয়া কথাটির থেকেই ভাওয়াইয়া কথাটি এসেছে।
আরো পড়ুন: ধারাবাহিক: নানা রঙে বাংলার লোকগান (পর্ব -২) । তপশ্রী পাল
ভাওয়াইয়া গায়ক এবং গবেষক ডক্টর সুখবিলাস বর্মার মতে, বাংলার বিভিন্ন লোকগানে প্রকৃতি রূপক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চন্দ্র, সূর্য, আকাশ, বাতাস, নদী, জঙ্গল, শিকার, মাছ ধরাকে রূপক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অনেক গানে। কিন্তু ভাওয়াইয়া গানে কিন্তু প্রকৃতি শুধু রূপকমাত্র নয়, গানের প্রধাণ উপজীব্য হিসাবেই উঠে আসে। নদী ছলছল শব্দ এখানে যেন শুধু এক নারীর দুঃখ এবং আকাঙ্খা বোঝায় না, বরং রাক্ষসী নদী যেন তার ঘরের মানুষ, মাঝিটি নৌকা বেয়ে চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে উঠে আসে এবং তার বিরহে এবং তাকে পাওয়ার আকাঙ্খায় মেয়েটির মনের অবস্থা বর্ণিত হয় গানে। যেমন এই গানটিতেঃ
তোর্সা নদী উথাল পাথাল
কার বা চলে নাও
সোনা বন্ধুর বাদে (অভাবে) রে মোর
কেমন করে গাও (শরীর)
ভাওয়াইয়া গানে মেয়েটির এই সোনা বন্ধু, যে বারবার উঠে আসে, সে মাহুত(হাতি চড়ায় যে), গাড়িয়াল (গরু বা মোষের গাড়ি চালায়) অথবা মইষাল (মোষ পালন করে) অথবা মাঝি। কিছু ভাওয়াইয়া গানে আবার সরাসরি এইসব মানুষের দুরবস্থার কথাও উঠে আসে এদেরই রচিত গানে। এই পুরুষেরা সারাক্ষণ ঘুরে মরছে। কোথাও একদন্ড বিশ্রাম নিতে পারে না। যেমন আব্বাসুদ্দিনের কন্ঠে বিখ্যাত একটি ভাওয়াইয়া গানঃ
বাওকুমতা বাতাস যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে
ঐ মতো মোর গাড়ির চাকা পন্থে পন্থে ঘোরে রে
ভাওয়াইয়া গান গাওয়ার ধরণের সঙ্গে, উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলের ভৌগোলিক যোগাযোগ আছে এবং এই অঞ্চলের মানুষের কাজের ধরণের সঙ্গেও তা মেলে। যদি উত্তরবঙ্গের নদীগুলির কথা ভাবা যায়, তারা পাহাড় থেকে সবে নেমেছে। তারা স্রোতস্বিনী চঞ্চলা! দক্ষিণবঙ্গের নদীর মতো ধীর বিশাল ও শান্ত নয়। এই নদীতে নৌকা চালাতে চালাতে গান গায় যে মাঝি, সেই ভাওয়াইয়া গানগুলিও তাই ভাটিয়ালির চেয়ে দ্রুত গাওয়া হয়।
আবার দেখা যায় ভাওয়াইয়া গান একই সুরের ওপর দাঁড়িয়ে গলা ভেঙ্গে ভেঙ্গে কেটে কেটে গাওয়া হয়, ঠিক যেমন গাড়িয়াল বা মাহুত বা মইষাল জন্তুর পিঠে চড়ে যেতে যেতে গাইলে গাড়ির নড়াচড়ায় তার গলা ভেঙ্গে বা কেটে যায়। ভাওয়াইয়া গান টেনে টেনে উঁচু স্বরে গাওয়া হয়, যার মধ্যে এক ধরণের বিলাপ মিশে থাকে! এ বিলাপ হলো প্রিয় মানুষটির বিরহে তার স্ত্রী বা প্রেমিকার বিলাপ।
ও মোর মইষাল বন্ধু রে
না বাজান তোমান খুটা রে দোতরা
নারীর মোর মন করিলো রে ঘরছাড়া
অথবা গাড়িয়াল বন্ধুর অভাবে তার প্রেমিকার দুঃখ ও কান্না প্রকাশ পায় এই গানেঃ
ও কি গাড়িয়াল ভাই
কতো রবো আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে
কী কবো আর দুকশের জ্বালা
গাঁথিয়া চিকন মালা রে
ও কি গাড়িয়াল ভাই
কতো কান্দি মুই নিদুয়া পাথারে রে
আসুন আব্বাসউদ্দিন আহমেদের গলায় শুনে নেওয়া যাক এই বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গানটির দু এক লাইন
ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গে বাজে এক ধরণের দোতারা, যা বাউলের দোতারার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দোতারার তারগুলি স্টিলের না হয়ে দড়ি দিয়ে তৈরী হয়। এর ফলে বাজনার টোন একেবারে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ ছাড়া আড়বাঁশি ব্যবহার হয় প্রায় সব গানেই।
হাতি উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের এক অচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই হাতিকে ব্যবহার করা হয় গাছ কেটে গুঁড়িগুলি টেনে আনার কাজে অথবা মাল বহনের কাজে। পর্যটনের ক্ষেত্রেও হাতির ব্যবহার প্রচুর। পর্যটকরা হাতির পিঠে চেপে জঙ্গলে ঘুরতে যান। হাতির এই বিপুল ব্যবহার থেকেই আসে মাহুত বন্ধুর কথা। হয়তো অনেকদিনের জন্য একটি মেয়ের স্বামী এক মাহুত চলে গেছেন হাতিতে চেপে জঙ্গলের কোন গভীরে অথবা ভিন রাজ্যে মাল পৌঁছতে। অনেক সময়েই সে হয়তো কথা দিয়েও ফিরতে পারে না ঘরে। অনেক সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুও হতে পারে। তার বালিকা স্ত্রী হয়তো কম বয়সে বিধবা হন। তাই মাহুত চলে যাওয়ার আগে মেয়েটি ভয় পায় যে একবার মাহুত চলে গেলে আর ঘরে ফিরবেন কি না।
শুনুন বিখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী প্রতিমা বড়ুয়ার কন্ঠে এই গানটি –
গেলে কি আসিবেন
মোর মাহুত বন্ধু রে
ভাওয়াইয়া গানে উঠে আসে নারীর অসহায়তা, একাকীত্ব, দারিদ্র! দরিদ্র একলা একটি গ্রামের মেয়েটিকে সাহায্য করে এক মইষাল। মেয়েটি তাকেই অনুরোধ করে খড়ের আঁটি কেটে দেবার জন্য, খড়ের বোঝা মাথায় তুলে দেওয়ার জন্য। কখন যেন মইষাল তার বন্ধু হয়ে যায়, সেই হয় মনের মানুষ।
আজি খড়ি কাটিবার দে রে মইষাল–
বোঝা বান্ধিবার দে
হাত ধরণ মিনতি করণ রে মইষাল
মাথাত তুলিয়া দে
ঠিক এমনি এক মাঝির অপেক্ষায় ঘাটে বসে আছে একটি মেয়ে। কবে কোনদিন ফিরবে তার কাজল ভোমরা । শুনুন একটি কবি জসীমুদ্দিনের লেখা একটি বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গান আমার স্বকন্ঠে –
ও কী ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে
কোনদিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে
যুদি বন্ধু যাইবার চাও ঘাড়ের ঘামছে থুইয়া যাও রে
বন্ধু কাজল ভোমরা রে
বটবৃক্ষের ছায়া যেমন রে মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে
ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে, কোনদিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে
শেষ করবো ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গেই যুক্ত এই অঞ্চলের আর একটি ধরণের গান চটকা সম্বন্ধে দু এক কথা বলে। ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে এক ধরণের বিলাপ বা বিষণ্ণতা আছে, যা এই অঞ্চলের নারীর মনের অবস্থা তুলে ধরে মূলতঃ। কিন্তু সব সময় তো দুঃখের গান ভালো লাগে না। তাই চটকা ভাওয়াইয়া গানেরই অপেক্ষাকৃত চঞ্চল, হালকা এবং জনপ্রিয় আরেক ধরণ। গ্রামে গঞ্জে বিনোদনের একমাত্র উপায় ছিলো পালাগান। সেই গানে মূল গায়েনের সাথে সাথে দ্রুত তালে ধুয়া বা খোসা দিতো একটি গানের দল। সেই ধরণের গান থেকেই চটকার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। যে কোন পৌরানিক বা সামাজিক পালার মাঝখানের ছোট বিরতিতে, বৈচিত্র নিয়ে আসতো দলগত এই চটকা গান। শ্যামাপদ বর্মনের এমনি একটি চটকা গান –
কাঁচা খড়ি ভিজা চুলা – ফোঁকাইতে না ধরে
ওরে ভাত আন্ধিতে হইছে দেরী সেও দোষো কি মোরে
গোলাম ডাঙ্গালু রে
চটকা গান মূলতঃ কোচ ও রাজবংশীরা গেয়ে থাকেন। আসুন শুনে নেওয়া যাক অতি দ্রুত লয়ে একটি চটকা গানের টুকরো –
পরে এই অঞ্চলের গান নিয়ে গবেষনা করেন কিছু লোকশিল্পী এবং গানগুলিকে শহরের আঙ্গিনায় তুলে আনেন ও বিখ্যাত করেন।