জাতক
আজ ০৪ নভেম্বর কথাসাহিত্যিক মানস সরকারের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।

চেম্বার থেকে বেড়িয়ে আসতেই বৃষ্টি। প্রথমে দু’চার ফোঁটা। তারপর অগুনতি। আশেপাশে কোনও রিক্সা নেই। সুচেতার বাঁ-হাতটা বেশ শক্ত করে ধরে কার্তিকদার রেঁস্তোরাটায় ঢুকে পড়তে হয়। বেশ কিছু লোক খেতে ব্যস্ত। এ রকম ফুড সেন্টারে ঢুকে বিশ্বাস হয় না, এখন খাদ্যসংকট চলছে। জিনিষ-পত্রের দাম আগুন। বরঞ্চ পরিপুষ্ট পরিবেশ। দু’একটা টেবিলে ফেলে ছড়িয়ে সুখী, মোটাসোটা পরিবাররা খাওয়া সারছে। বাঁদিকের কোণের টেবিলটা ফাঁকা দেখে দু’জন বসে পড়ল। একজনের খাওয়া শেষ। দাঁত খড়কে দিয়ে দাঁত খোঁচানোয় মগ্ন। অন্যজনের সামনে প্রায় শেষ হয়ে আসা চিকেন বিরিয়ানির প্লেট। মাংস চিবোতে চিবোতে চোখ প্রায় বুজে এসেছে। টেবিলে পড়ে থাকা মেনুকার্ডটা তুলে নিয়ে চোখ বোলাতেই মার্টনের আইটেমে চোখ আটকে যায় দীপনের। সুচেতাকে ডাঃ চ্যাটার্জি একটু করে রেডমিট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রেডমিট ওরও অবশ্য পছন্দের তালিকায় পড়ে। মেনুকার্ডটা এগিয়ে দেয় সুচেতার দিকে দীপন, কী খাবে?(৬) – যা হোক একটা কিছু। – তবু বলো কিছু …. – বিরিয়ানি। মার্টন্। অর্ডার টুকে নেয় কার্তিকদার আপ্তসহায়ক। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে দু’একজন সুচেতার শরীরের নিচের দিকটায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। প্রশান্তদাকে ফোন করার জন্য প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইলটা বের করল দীপন। প্রশান্তদা এখন সহকারী হাসপাতালের রক্তবিভাগে খুব গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে। তিনবার রিং হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ও প্রান্তে প্রশান্তদা। – বল। – একটা ব্যাপারে একটু দরকার ছিল। ব্যস্ত? – বল না -। নিচু হয় দীপনের স্বর, বলছি, বৌমা তো এক্সপেক্টিং। সামনের সোমবারই ডাক্তার ভর্তি করতে বলছে। – কোথায়? – মাদার’স হাউস নার্সিংহোমে। – কে দেখছে? – ডাঃ সদানন্দ চ্যাটার্জি। কিন্তু একটা প্রব্লেম আছে। – কী! – একটা বি-নেগেটিভ ব্যাগ একটু অ্যারেঞ্জ করে দিতে হবে। – সোমবারই? – হ্যাঁ। চিন্তা করছে প্রশান্তদা কিছু। ফোন থেকে গাড়ির ঘন ঘন হর্ণ শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় আছে, বোঝাই যাচ্ছে। – শোন, তুই বৌ’কে ভর্তি কর রোববার। সেদিন অনেক ব্লাড ক্যাম্প আছে। দু’একটা বি নেগেটিভ ব্যাগ নিশ্চয় জমা পড়বে। সোমবার সকালে ডাঃ চ্যাটার্জি অপারেট করবে। তুই প্রথম স্লটটা নেবার চেষ্টা করবি। ব্লাড ব্যাঙ্ক খুলবে সকাল সাড়ে দশটা। যদি সাড়ে দশটার মধ্যেও রিকুইজিশনটা ওভার ফোন আমায় দিতে পারিস, আমি একটা ব্যাগ ঠিক অ্যারেঞ্জ করে রাখব। কিন্তু তারপর বললে হওয়া (৭) শক্ত। বুঝলি? – হ্যাঁ, কিন্তু বি-নেগেটিভ জমা পড়ছে কি না, জানব কী করে! – রোববার রাতে একটা ফোন কর। – তাই করব। সব ঠিক হয়ে যাবে তো? – হ্যাঁ রে বাবা। – ছাড়ছি তাহলে? – ছাড়। – থ্যাঙ্কু। ফোনটা ছেড়ে, নিশ্চিত লাগার বদলে কেমন যেন অনিশ্চিত লাগল। যদি না হয়! হীরকদাকে একটা ফোন লাগালে হয়। পার্টির অতবড় নেতা। ডাইরেক্ট ডোনারের অ্যাড্রেস কি আর কাছে থাকবে না। টেবিলে দিয়ে যাওয়া গরম বিরিয়ানি থেকে জিভে জল আনা গন্ধ বেরচ্ছে। সুচেতাকে খেতে ইশারা করে দীপন। এই মুহূর্তে ফোন করলে গরম উত্তেজক খাবারটা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। যাক। ফোনটা খাওয়ার থেকে অনেক বেশি ইমপর্টন্যান্ট …… চার নার্সিংহোমের ওয়েটিং রুমে ঝোলান দেওয়াল ঘড়িটায় চোখ বুলিয়ে নিল দীপন। দশটা দশ। যে-কোনও ঘড়ির বিজ্ঞাপনে এই সময়টাই দেখান থাকে। কোথায় যেন শুনেছিল, ঘড়ি আবিস্কারের সঙ্গে সময়টার সম্পর্কের কথা। আশেপাশের মুখগুলো বেশ উদ্বেগে ভরা। শ্বশুরমশাই বেশ শক্তপোক্ত। ভেতরে কী চলছে, বোঝা যাচ্ছে না। শাশুড়ির আবেগের বহিঃপ্রকাশ দু’টো লাল চোখ। সুচেতার দাদা উঠে চলে গেল ওয়েটিং রুমের বাইরে। একটু ঘন ঘনই সিগারেট খাচ্ছে। সত্যিই কি টেনশন কমায়। দীপনের মনে হল, একটা সিগারেট টানলে মন্দ হত না। ওরা ছাড়াও আরও তিনজন এ ঘরে। অন্য পেশেন্ট পার্টি। একজন দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে, চোখ বুজে কী যেন বিড় বিড় করছেন। প্রার্থনা! হতেও পারে। ভদ্রলোকের স্ত্রী’র অনেকটা ব্লিডিং হয়েছে পরশু রাতে। ভদ্রলোকের সঙ্গে কালকে কথা বলেই মনে হচ্ছিল কেসটা ক্রিটিক্যাল। সপ্তম মাসে ব্লিডিং মেডিক্যাল সাইন্স (৮) বোধহয় খুব একটা ভাল চোখে দ্যাখে না। দীপন অবশ্য এ ঝক্কির মুখোমুখি হয়নি। বমি বাদ দিলে সুচেতার মাতৃত্ব এগিয়ে গেছে বাধাহীনভাবেই। শুধু রক্তটাই যা প্রবলেম। আবার ঘড়ি দেখল দীপন। একটু বেশিই সময় লাগছে। দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় লাগা উচিত বলে মন্তব্য করেছিল ফ্লোর মেট্রন। সব ঠিকঠাক চলছে তো! বন্ড সই করার সময় হাত কেঁপে গিয়েছিল। যেন কিছু হারানোর ভয়। নীল একটা ড্রেসে আগাগোড়া সুচেতাকে মুড়ে ওটিতে নিয়ে চলে গিয়েছিল স্বাস্থ্যবতী কয়েকজন নার্স। ‘ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসুন। যথাসময়ে ডেকে নেওয়া হবে’, মেট্রন সামনে খুলে রাখা ঢাউস খাতাটা থেকে চোখ না তুলেই নির্দেশ শুনিয়েছিলেন। তখন থেকে এক একটা মিনিট এক একটা বছর মনে হচ্ছে। দশটা কুড়ি। শেষ চব্বিশ ঘন্টায় অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে দীপন। প্রত্যেকেই একমত। ডাঃ চ্যাটার্জির ব্লাড লেগেছে বলে তারা কখনও শোনেনি। শুনে সাহস পাচ্ছিল। তবুও এখন বুকের ভেতর হাতুড়ির শব্দ। প্রশান্তদা ফোন করতে বলেছিল সাড়ে দশটার মধ্যে। হীরকদার ডোনার রেডি। শুধু একটা ফোন ….। সুচেতার কি অনেকটা রক্ত বয়ে যাচ্ছে! কতটা রক্ত বয়ে গেলে একজন মাতৃত্বের স্বাদ পায়। – ই-ফোর’এর বাড়ির লোক? একজন যুবতী নার্সের উদয় হয়েছে। – ই-ফোর! ই-ফোর! চেঁচিয়ে উঠে শাশুড়ি নার্সের সঙ্গে। পেছনে শ্বশুড়। তার পেছনে দীপন। সুচেতার দাদা সিগারেট খেতে বাইরে বেড়িয়েছিল। এখনও ফেরেনি। ও.টি.’র সামনের ফ্লোরে দাঁড়াতেই ডেটল আর ঔষধের তীব্র গন্ধ নাকে আঘাত করে। ইনজেকশন্, স্যালাইন-বটল, কাঁচি, লিউকোপ্লাস্ট্, অক্সিজেন সিলিন্ডারের দিকে চোখ পড়তেই ভেতরটা যেন ঘুলিয়ে ওঠে। বুকের বিচিত্র ধুকপুকুনি নিয়ে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা। ককিয়ে ওঠা শিশুর কান্না। ও’টির দরজা খুলে বেড়িয়ে এলেন এক সিনিয়র নার্স। নার্সের বাঁ-হাতে সাদা কাপড়ের ওপর এক শিশু। সাদা, ফ্যাকাশে ধরনের। জরায়ুর তরলে দীর্ঘদিন থাকার জন্য বোধহয়। নির্বিকারভাবে নার্স সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, ছেলে হয়েছে। ভাল করে দেখে নিন। ভাল করে দেখল দীপন। (৯) ভেতরে মিশ্র অনুভূতি। শরীরের কয়েক ফোঁটা তরল থেকে একটা শিশুর সৃষ্টি। এবার ও যাকে দেখতে চায় বের করে আনা হচ্ছে স্ট্রেচারে। স্যালাইনের চ্যানেল, বিভিন্ন জায়গায় লেগে থাকা রক্ত – মাথা আর বুকের ভেতর মোচড় অনুভব করল। পুরো অজ্ঞান না করলেও কথা বলার ক্ষমতা সদ্য মা হওয়া সুচেতার নেই। কথা বলার পারমিশনও নেই। কাল সকাল থেকে ভিজিটের পারমিশন মিলতে পারে। ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা যাবে না এখন। পরের সিজারের প্রস্তুতি চরমে। সামনে বসে থাকা মেট্রনকে জিজ্ঞাসা করল দীপন, এক্সকিউজ মি ম্যাম, ই-ফোর’এর কি রক্ত লাগতে পারে? মানে একটা প্রস্তুতি -। চশমার ওপর দিয়ে চোখ তুললেন মেট্রন, লাগলে ঠিকই জানিয়ে দেওয়া হত। – ও, আচ্ছা। থ্যাঙ্কু। গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে আসে দীপন। রক্ত এই মুহূর্তে লাগছে না। প্রশান্তদা, হীরকদাকে একবার জানিয়ে দেওয়া উচিত। বাড়িতে মা মুখিয়ে আছে। কী হল জানতে চেয়ে মামা সকাল থেকে দু’বার ফোন করে ফেলেছে। মোবাইল বের করে পটাপট সুইচ টিপতে লাগল ও। পাঁচ ওয়েটিং রুমের কাঠের বেঞ্চে হেলান দিয়ে নিজেকে একটু সহজ করে নিচ্ছিল দীপন। শ্বশুর, শাশুড়ি আর সুচেতার দাদাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে দুপুরেই। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, পেশেন্ট স্টেবেল। বিকেল অবধি একজন কেউ থেকে গেলেই হবে। সুচেতার ব্যাপারে উদ্বেগের মধ্যিখানেই ছুঁয়ে যাচ্ছিল ক্ষিদের হালকা যন্ত্রণা। নার্সিংহোম থেকে কয়েক গজ দূরে শ্রী চন্ডী হোটেল। সবাইকে রিক্সায় তুলে দেওয়ার পর ঢুকেছিল হোটেলটায় দীপন। ভাত শেষ। বিকেল চারটের সময় না থাকাই স্বাভাবিক। হোটেলের মালিক উত্সাহী হয়ে প্রস্তাব ছুঁড়েছিল, গরম তরকা-রুটি খেয়ে যান। রুটি খেতে ভাল লাগছিল না। অল্প চা পানের পর আবার এই ওয়েটিং রুমেই। সুচেতাকে রিলিজ করতে এখনও সাতদিন। বাড়ি ফিরলেও সেভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে না। অন্ততপক্ষে দু’মাস রেস্টে থাকতেই হবে। একজন আয়ার (১০) বন্দোবস্ত করতে হবে। পার ডে দুশো টাকা। মাসে ছ’হাজার। এর থেকে কমে যাদের পাবে তারা কেউ ট্রেনড্ নয়। সুচেতার বাড়ি থেকে পুরো ব্যাপারটার খরচ বহন করার প্রস্তাব এসেছিল। দীপনই না করে দিয়েছে। – ই-ফোর’এর কেউ আছেন নাকি? ওয়েটিংরুমে হঠাত্ই আবির্ভাব হয়েছে এক রোগা মতো আয়ার। মেরুদন্ড টান দীপনের। উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আছি, ওনার হাজব্যান্ড্। – একটু উপরে আসুন তাহলে। স্যর ডাকছেন। বুকে কাঁপন লাগল। আবার কী হল! এই তো বলল, স্টেবল্। মেয়েটিকে অনুসরণ করে উপরে উঠে এল দীপন। অপারেশন আর রাউন্ড দেওয়া – দু’টোই বোধহয় শেষ। মেট্রনের চেয়ারে এখন ডাঃ চ্যাটার্জি। চারপাশে বেশ কয়েকজন নার্স। কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াতেই একটা ফাইল টেনে নিয়ে মৃদু হাসেন, টেনসড্ হবার কিছু নেই। আসলে বাচ্ছার ব্লাড টেস্ট হয়েছে। চুপ দীপন। মনে হচ্ছে, আরও কিছু ওনি বলবেন। বললেনও। – আসলে, বাচ্ছার ব্লাড গ্রুপ পজিটিভ বেড়িয়েছে। এক্ষেত্রে বি-নেগেটিভ মায়েদের আমরা ‘অ্যান্টি ডি’ ইঞ্জেক্শন্ দিতে বলি। পরবর্তী ইস্যু এলে যাতে তা নষ্ট না হয়। ইঞ্জেক্শন্টা একটু কষ্টলি কিন্তু ভাইটাল। এ জন্য এটা বাইরে থেকে কিনতে বলি। আর দেওয়ার সময় বাড়ির কাউকে প্রেসেন্ট থাকতে হবে। – কীরকম দাম হওয়া উচিত, ঢোঁক গেলে দীপন। – হাজার পাঁচেকের মতো। – আশেপাশের দোকানে পাবো? – হ্যাঁ, হ্যাঁ। – আর্জেন্ট কি? হ্যাঁ-সূচক ঘাড় নাড়ে এবার পাশে দাঁড়ানো নার্সরা। তলায় নেমে আসে দীপন। দশ হাজারের মতো সঙ্গে রেখে বাকি টাকাটা বাড়িতে আলমারিবন্দি করে এসেছে। এর মধ্যে ইন্জেক্শন্টা হয়ে যাবে। নার্সিংহোমের প্যাকেজ মূল্যটাও মিটে যাবে। কিন্তু আর কত সূচ ফোটাবে এরা সুচেতাকে। মা হওয়া সত্যিই সহজ নয়। উপরের ফ্লোর থেকে বাচ্ছার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। দীপন বুঝতে (১১) পারে না, কান্নাটা ওর ছেলের কি না। দু’পায়ে আর শরীরে ক্লান্তির মেঘ। নিজেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় বের করে এক সদ্যজাত পিতা ….

কথাসাহিত্যিক
স্কুলজীবনথেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করে শূণ্য দশকের গোড়ায় পাকাপাকিভাবে সাহিত্যে চলে আসা। ইংরাজি সাহিত্যের ছাত্র। একটি দৈনিকে বেশ কিছু বছর সম্পাদকীয় বিভাগে থাকার পর এখন প্রকাশনা সংস্থায়। আনন্দবাজার, এইসময়, বর্তমান, প্রতিদিন, তথ্যকেন্দ্র, একদিন, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, দৈনিক স্টেটসম্যান, গৃহশোভা, অদ্বিতীয়া প্রভৃতি বাণিজ্যিক পত্রিকার পাশাপাশি অসংখ্য প্রথম সারির লিটিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে লেখা। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ তিনটি – ‘তুলির শেষ টান’, ‘বর্ষাপুরুষ’, ‘সামাজিক’। লিখেছেন চারটি উপন্যাসও। গল্প থেকে তৈরি হয়েছে চারটি সিনেমা। তুলি-রং এবং বই পড়ায় অবসর যাপন। বিশ্বাস করেন, যতদিন মানুষ, ততদিন গল্প। যতদিন গল্প, ততদিন স্বপ্ন। এবং সব স্বপ্ন আগামীর নির্মাণ ও উত্তরণে।