ফুল, অশ্রু, প্রেম-৩১ নারীর কবিতা (পর্ব-৭) । মুম রহমান
মারিনা ইভানোভনা সেতায়েভা (১৮৯২-১৯৪১) রুশ ভাষার অন্যতম সেরা কবি। বিশ শতকের অন্যতমে সেরা এই কবি রুশ বিপ্লব এবং মস্কোর আকালকে তুলে ধরেছেন তার লেখায়। ভয়াবহ বেদনার্ত আর দুঃসহ জীবন কাটিয়েছেন তিনি। ১৯১৯ সালে নিজের কন্যাকে ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচাতে তাকে রাষ্ট্রীয় এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও মেয়েটি মারা যায়। ১৯২২ সালে দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে তিনি প্যারিস চলে যান। ১৯৪১ সালে তার আরেক কন্যা এবং স্বামী (সের্গেই এফ্রোন)’র বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এবং স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে বছরই মারিনা আত্মহত্যা করেন।
আমি সরলভাবেই বেঁচে সুখি
আমি সরলভাবেই বেঁচে খুশি:
একটা ক্যালেন্ডারের মতো, একটা ঘড়ির মতো,
পার্থিব তীর্থযাত্রী, সামান্য,
প্রাজ্ঞ- অন্য যে কোন প্রাণীর চেয়ে। জানতে পারা
আত্মাটিকে সেই আমার ভালোবাসা। ফিরে আসা বস্তুর কাছে- দ্রুত
আলোর রশ্মির মতো, কিংবা একবার তাকানো।
যেমন লিখি তেমন বেঁচে থাকা: অনাবশ্যক – যেভাবে
ঈশ্বর আমাকে জিজ্ঞেস করেন- আর বন্ধুরা করে না।
আরো পড়ুন: ফুল, অশ্রু, প্রেম – ৩১ নারীর কবিতা (পর্ব – ৩) । মুম রহমান
‘ক্ষমা করো’ নীনার প্রতি
বিদায়! ঈশ্বর সাক্ষী, আমি তেমন ভেবেছিলাম যখন
আমরা দুজনই জীবিত ছিলাম, আমাদের আর সাক্ষাৎ হওয়া উচিত নয়!
আমাদের সাহসের অভাব আছে সেই নৈপূণ্যের
যা দিয়ে অংশীগ্রাহী হওয়া যায় শব্দের পূনর্মিলনের।
তোমার স্নিগ্ধ মুখ দয়ালু আর মধুর,
আর তবুও, ঈশ্বর সাক্ষী, আমি ভাবি সেই তখনই
যখন আমরা দুজনই জীবিত, আমাদের মিলিত হওয়া উচিত নয়।
জন্ম ২৭ মার্চ, ময়মনসিংহ। এমফিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা লেখালেখি।