শব্দের অঙ্গার
কাঠের বাক্সে সে গুছিয়ে রাখছে কৃষ্ণচূড়া, বিড়বিড় করে বলছে,
আ হর্স! আ হর্স! মাই কিংডম ফর আ হর্স…
গ্রহণ করো আমার এই রক্তবসন্ত, আর যত ট্র্যাজেডি,
তুমি হে কোন্ খাঁচাপলাতক পাখি দেখা দিচ্ছ হাওয়ায়,
রাজা সিমুর্গ তোমাকে চেনে? পাখিদের ভিড়ে তোমার
নৌটংকিবাজি মুছে যায়। ময়দানে, সারি সারি কবর,
ধরে নাও এরাই কোনো শিল্পের চূড়ান্তে পৌঁছেছে। তোমার মুখ থেকে
সরে যাচ্ছে ক্রমে হ্যালোজেন ফগ, জ্বলে উঠছে শব্দের অঙ্গার।
তবু কেন আজ কৃষ্ণচূড়ার মধ্যে ফিরে গেলে তুমি,
আজ কেন আমার কবিতার পাশে বসে থাকে জল্লাদ!
শরের জঙ্গল
যেতে হবে আরেক উদয়ে।
কামীনিগাছের নিজস্ব ভূত চলে গেছে যেভাবে।
মধুর তোমার অন্ত না পেয়ে পৌঁছলাম শরের জঙ্গলে।
আবার রাত হলে, প্যাঁদাবে তিমির! শূন্য থেকে উঠে আসে
একটি মূর্চ্ছনা। হোরেসিও, এসো আমার সঙ্গে,
দেখো, রাত্রির ভ্রমণক্লান্ত মেঘ
কিভাবে ছিঁড়ে ফালাফালা হয় আর
শূন্যে মিলায়।
দাস
আমি নেমে এসেছি দাস–ভর্তি জাহাজ থেকে।
তপ্ত দোলবিছানা থেকে। এখন সমুদ্রের কুহক বইবে
আমার মধ্যে। এখনই এসে পড়বে ড্রপসিন।
ফানা ও বাকার মধ্যে সেই শ্যামলবরণ শিশুটিকে
দেখতে পাচ্ছি, যার হাতে দাস বেঁধে রাখার শেকল,
তারও গন্তব্য শূন্যের মর্মার্থের দিকে।
চলো হে ময়ূর
চলো হে ময়ুর, এবার অলঙ্কারশাস্ত্র অবধি ঘুরে আসি।
এই অতিপ্রাকৃত ময়দান, অন্ধকার,
বিস্তীর্ণ জলপাইবাগান পেরিয়ে যাই।
বাক–পৃথিবী, অর্থাৎ অনেক উঁচু এই লৌহময়ূরের ছায়া
পার হয়ে যাই।
রুটিগাছের গল্প
কবিতা কোন্খানে? রুটিগাছের গল্প শুনি, সেটাই–বা কোথায়?
তারপর ধরো, বন্ধুত্ব। যে–কোনো মদ। অগ্নিময় আঙরাখা।
প্রেতিনীর আসা–যাওয়া শুরু হলে আমরা বিষয়ান্তরে যাব।
উপমাই কবিত্ব হলে গুবরে পোকার মতো ঘুরছ কেন?
তবু উপমা রেখে মাখো অলিভ। ইতরের মানদণ্ড, মেপে নিতে
আসছে তোমাকে। পার্পল রঙের পোশাক পরে
কেউ হয়ত খতম করতেই আসছে তোমাকে। কেন পার্পল,
জিজ্ঞেস করো না। কবিতা অন্তর্হিত যদি, বেকার–পাঠক
হিরামন পাখি খুঁজতে বেরিয়েছে, আপাতত জঙ্গলের পাশে
তাকে মুততে দেখা যাচ্ছে।
নগ্ন রুটিগাছ কোনোকিছুর সাক্ষী নয় আর।

কবি