| 17 এপ্রিল 2024
Categories
গদ্য সাহিত্য

বিজয় দিবস: বিজয়ের স্মৃতি ও বঙ্গবন্ধু । তোফায়েল আহমেদ

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের অনেক স্মৃতি আমার মানসপটে ভেসে ওঠে। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর প্রিয় মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করে ত্রিশ লক্ষাধিক প্রাণ আর চার লক্ষাধিক মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মহত্তর বিজয় আমরা অর্জন করি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন সামনে নিয়ে দীর্ঘ চব্বিশটি বছর জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনা করে, নিজের জীবন উত্সর্গ করে, ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মানুষের হূদয়ে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী গৌরবগাথা অম্লান থাকবে। কেন যেন এবার আরো বেশি করে বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ছে! বিশ্বখ্যাত নেতা বঙ্গবন্ধুর তুলনা পৃথিবীতে কারো সঙ্গে হয় না। তিনি এমন একজন মহামানব, যার হূদয় ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। বাংলার মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকে আমি তা দেখেছি। বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়ে যাইনি। হূদয়ের গভীরতা থেকে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে যখন ডাক দিতেন, মানুষের হূদয় প্রবলভাবে আলোড়িত হতো। রাস্তার পাশে গভীর রাতে আধো-অন্ধকারে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকত তাকে একনজর দেখার জন্য। তিনি গাড়ি থামাতেন। মানুষটিকে বুকে টেনে নিতেন। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন, তাকে মনে রাখতেন। সেই মানুষটিও বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করতেন। তিনি ছিলেন এমন নেতা, যিনি কখনোই কাউকে ছোটো মনে করতেন না। কাউকে কখনোই তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা হেয় প্রতিপন্ন করতেন না। তিনি পরকে আপন করতে জানতেন। যে তার নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী নয়, সেও তার সান্নিধ্যে আপন হয়ে উঠত। ব্যক্তিত্বের অমোঘ এক মানবিক আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধুর। বারবার ভাবি—ভারত, আটলান্টিক বা প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা মাপা যাবে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, এটি কোনো দিনই পরিমাপ বা উপলব্ধি করা যাবে না। তিনি ছোটোকে বড়ো করতেন, বড়কে করতেন আরো বড়ো। এমন একজন মহান নেতার নেতৃত্বেই ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশকে আমরা পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করেছি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালিদেরই হতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়ে প্রথমে নিজকে, পরে দলকে এবং বাংলার মানুষকে প্রস্তুত করে তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য জেল-জুলুম-হুলিয়া-অত্যাচার-নির্যাতন এমনকি ফাঁসির মঞ্চও বেছে নিয়েছেন। কোনো দিন লক্ষ্যচ্যুত হননি। দলীয় প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার যেমন কাঁধে তুলে নিয়েছেন, আবার জাতীয় প্রয়োজনে দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন, আসবেন; কিন্তু মানবদরদি এমন নেতা অতুলনীয়। আজ বিজয়ের এই দিনে হূদয়ের সবটুকু অর্ঘ্য ঢেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে—যার স্নেহে আমার জীবন ধন্য; যার আদরে আমি বড়ো হয়েছি; যার সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছি-বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।

’৭১-এর ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ অর্জন করে। আমরা তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী গেরিলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তানি বাহিনী এদিন উপায়ান্তর না দেখে একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তান বিমানবাহিনী পশ্চিম ভারতের বিমানঘাঁটিগুলো এমনকি দিল্লির কাছে আগ্রার বিমানক্ষেত্র এবং পূর্ব ফ্রন্টের আগরতলা বিমানঘাঁটিতে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী রাত ১০-৩০ মিনিটে সারা ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। রাত ১২-২০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী এক বেতার ভাষণে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সাফ জানিয়ে দেন, ‘আজ এই যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করল।’ পরদিন ৪ ডিসেম্বর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যৌথভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জনে চিঠি লেখেন। চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, ‘যদি আমরা পরস্পর আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রবেশ করি, তবে পাকিস্তান সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ অবস্থান অধিকতর সহজতর হয়। অবিলম্বে ভারত সরকার আমাদের দেশ এবং আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করুক।’ এর পরপরই ভারত পালটা আক্রমণ চালায় এবং ৬ ডিসেম্বর, সোমবার, ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ভারত সরকার স্বাধীন ও সার্বভৌম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’কে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ’৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে গৃহীত রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ উদ্ধৃত করে লোকসভার অধিবেশনে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশ “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে অভিহিত হবে।’ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতার পর লোকসভার সকল সদস্য দাঁড়িয়ে তুমুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে এই ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার ও জনসাধারণের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও মুজিব বাহিনীর জন্য ৭ ডিসেম্বর ছিল এক বিশেষ দিন। এদিন মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল যশোর হানাদারমুক্ত হয়। যশোরের সর্বত্র উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন সরকারের নেতৃবৃন্দ ও মুজিব বাহিনীর কমান্ডারগণসহ আমরা বিজয়ীর বেশে স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত প্রথম মুক্তাঞ্চল যশোরে প্রবেশ করি। জনসাধারণ আমাদের বিজয়মাল্যে ভূষিত করে। সে আনন্দ-অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মনে পড়ে, জেনারেল ওবানের কথা। তিনি দেরাদুনে আমাদের ট্রেনিং দিতেন। জেনারেল সরকার ও শ্রী ডি পি ধর, যারা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে কো-অর্ডিনেট করতেন। মুজিব বাহিনীর হেডকোয়ার্টার্স ছিল কলকাতায়। আমরা মুজিব বাহিনীর চার প্রধান প্রতি মাসেই মিলিত হতাম। দেরাদুনের ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়ে আমরা বক্তৃতা করতাম। তারপর যার যার স্থানে চলে যেতাম।

’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪-৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় সূচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলাম কলকাতাস্থ থিয়েটার রোডে অবস্থিত প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে। সেখানে অবস্থান করছিলেন শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য সর্বজনাব মনসুর আলী, কামারুজ্জামান এবং অন্য নেতৃবৃন্দ। সকলেই আনন্দে আত্মহারা! নেতৃবৃন্দ আমাদের বুকে টেনে নিয়ে আদর করেন। প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা হানাদারমুক্ত করেছি, মনের গভীরে যে কী উচ্ছ্বাস কী আনন্দ; সে আনন্দ-অনূভূতি অনির্বচনীয়! স্বাধীন বাংলার যে ছবি জাতির পিতা হূদয় দিয়ে অঙ্কন করে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র করে বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অদম্য বাঙালি জাতি নেতার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সমগ্র বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিল জাতীয় মুক্তির ন্যায্য দাবির প্রশ্নে কেউ আমাদের ‘দমাতে’ পারে না। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর যেদিন দেশ শত্রুমুক্ত হয়, তার দুদিন পর ১৮ ডিসেম্বর আমি ও আবদুর রাজ্জাক-আমরা দুই ভাই হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসি। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করি। বিজয়ীর বেশে মায়ের কোলে ফিরে আসি। চারদিকে সে কী আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! আজ আমরা হানাদারমুক্ত, স্বাধীন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোতে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল দেশমাতৃকার স্বাধীনতার সূত্রে। জাতীয় ঐক্যের অভূতপূর্ব নিদর্শন ছিল সেই দিনগুলো। ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-কৃষক-শ্রমিক-যুবক সকলেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণে সফল জনযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি সুমহান বিজয়। আর এখানেই নিহিত আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের ঐতিহাসিক সাফল্য। স্বাধীনতার ডাক দিয়ে একটি নিরস্ত্র জাতিকে তিনি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। আমাদের পরিচয় ছিল ‘আমরা সবাই বাঙালি’। অথচ ভাবতে অবাক লাগে, যে পাকিস্তানের কারাগার বঙ্গবন্ধুকে আটকে রাখতে পারেনি; মৃত্যুদণ্ড দিয়েও কার্যকর করতে পারেনি-প্রধানমন্ত্রী হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে যখন তিনি স্বাভাবিক করলেন, যখন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পরাজিত শক্তির দোসর খুনি মোশতাক-রশীদ-ফারুক-ডালিম চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করল! যে স্বাধীনতাবিরোধীরা মাকে ছেলেহারা, পিতাকে পুত্রহারা, বোনকে স্বামীহারা করেছিল; জেনারেল জিয়া তাদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সংবিধান থেকে উত্পাটিত করেছিল। পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ও দীর্ঘকাল রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি মুহূর্তে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি-তাতে কেবলই মনে হয়েছে, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী, আর পরাজয়ের গ্লানি দীর্ঘস্থায়ী!

দুটি লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন। একটি, স্বাধীনতা-যেই স্বাধীনতার ডাক তিনি দিয়েছিলেন ’৭১-এর ছাব্বিশে মার্চ, যা পূর্ণতা লাভ করেছে ১৬ ডিসেম্বর। আরেকটি, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। সেই লক্ষ্যেই তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। আর কোনো দিন আসবেন না। কিন্তু তার রক্তের ও চেতনার উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা­-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা যার হাতে ’৮১ সালে আমরা তুলে দিয়েছিলাম; সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সঙ্গে দল পরিচালনা করে চার বার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন; তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সুতরাং, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সেই দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি-শোষণমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। আজকের বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের শপথ।

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত