Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল: আইনজীবী

Reading Time: 2 minutes

সম্প্রতি এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে খুন হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিককে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের পক্ষে কাজ করা এক আইনজীবী। মিনেসোটার মিনেপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে ওই কৃষ্ণাঙ্গের হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ চলছে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে মিনেপোলিশের সাবেক পুলিশকর্মী ডেরেক চভিনের বিরুদ্ধে ‘থার্ড ডিগ্রি’ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে সহ আরো আরো তিন পুলিশকর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। ফ্লয়েডের পরিবারের নিযুক্ত আইনজীবী বেনজানিম ক্রাম্প বলেছেন, চভিনের বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ফ্লয়েডের হত্যাটি ‘ফার্স্ট ডিগ্রি’ মামলার ঘটনা ছিল।

ক্রাম্প সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা মনে করি তার হত্যার উদ্দেশ্য ছিল। তিনি প্রায় নয় মিনিট ফ্লয়েডের ঘাড়ে নিজের হাঁটু চেপে ধরে রেখেছিলেন। ফ্লয়েড হাঁটু সরিয়ে নিতে আকুতি জানাচ্ছিলেন। শ্বাস নিতে দেয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাটু চেপে ধরে রেখেছেন চভিন। ফ্লয়েডকে শ্বাসকষ্টে ভুগতে দেখা যায়। তিনি বারবার নিজের শ্বাসকষ্টের কথা জানিয়ে আকুতি করলেও শোনেননি চভিন। এ সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল আরো তিন পুলিশকর্মী। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও পুলিশের হাতে নির্মমভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কে অনেকটা একইভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় এরিক গারনার নামে অপর এক কৃষ্ণাঙ্গকে। তিনিও ফ্লয়েডের মতো মৃত্যুর আগে বারবার বলছিলেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। তার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকারের দাবিতে শুরু হয়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। ফ্লয়েড পরিবারের আইনজীবী ক্রাম্প বলেন, ফ্লয়েড জ্ঞান হারানোর পরও প্রায় তিন মিনিট চভিন তার ঘাড়ে হাঁটু চেপে ধরে রাখেন। আমরা বুঝতে পারছি না এটা কিভাবে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার ঘটনা নয়। আমরা বুঝতে পারছিনা কেন এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পুলিশকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চলছে সহিংস বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালাচ্ছেন। ঘটেছে পুলিশ স্টেশন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাও। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জারি করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। তবে তাতেও থামেনি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রাম্প বলেন, আমাদের কাছে এখন পুলিশের ‘বডিক্যাম’ থেকে অডিও রয়েছে। তাতে একজনকে বলতে শোনা যায় যে, তার (ফ্লয়েড) কোনো পালস নেই, হয়তো তাকে ঘুরিয়ে দেয়া উচিৎ। কিন্তু তা সত্ত্বেও চভিন বলেন, না, আমরা তাকে এভাবেই রাখবো। এটা ইচ্ছা। ক্রাম্প আরো জানান, ফ্লয়েডকে হত্যার আগ থেকেই চভিন তাকে চিনতেন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>