ত্রিভূজ
দাঁড়িয়ে দারিদ্রসীমায়—গহনার গল্পে এক ত্রিকোণ
শরম—
তৃষ্ণার তর্জমা টুকে রাখে সৌখিন একা অতিভুজ!
শীর্ষ থেকে দেখা গেল শূণ্য এক সংখ্যার লাটিম—
জঙধরা জীবনের খোলাবুকে ঝিম ধরে আছে!
ক্ষত–দাগ দগদগে, ছেঁড়াফাটা বুকের সেলাই
বিষমবাহু স্বপ্নের প্রান্তে দাঁড়িয়ে শুধু হিসেব মেলাই!
…
ঘুমের ঘরানা
শুয়েছি শস্যের ভীড়ে—তীক্ষ্মতর শব্দের
আড়াল—
ধারালো চিৎকারগুলো লুটে নেয় টগরের ঘুম!
জহুরী জমজ চোখে খুলে দ্যাখে স্বর্ণের দিন
আমাদের জীবনেও জন্ম নেয় অসংখ্য ফড়িঙ।
বরং—ঘুড়ি হয়ে ওড়াউড়ি, নিমগ্ন নিদ্রার মধ্যে
তুমিও গলেছো গদ্যের টানে—কিছুটা শরীরি পদ্যে।
….
পবিত্রগাথা
আদিপিতা পছন্দ করতেন আপেলের রঙ–মা তাই বুক জুড়ে আপেল ফলালেন; শরীরের শব্দ, শীৎকার ও শিহরণ থেকে গান হয়ে জন্মেছি আমি…
ইত্যাদি দৃশ্যের পর–দীর্ঘতম চুমুটিই একমাত্র সাঁকো; মা তখন বীজতলা, চিত হয়ে শুয়ে থাকা পৃথিবী–সঙ্গীত ফলাতে প্রস্তুত!
মরনশীল গদ্যের নৈশব্দ ভেঙে–একশত আটাশতম রাত্রির শেষভাগে একটি শিশুর কান্না হয়ে পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিলো প্রথম সঙ্গীত।
এই আমার জন্ম–ইতিহাস; অমরত্ব নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি!
তোমাকে পেতেই হবে, পাবো
দূরে যেতে চাচ্ছ! গন্তব্যহীন। আমার সময়ে তুমি অনন্তজোৎস্নাকাল। ভীষন রঙিন! নদীটি তোমার দখলে। এবং বনও। আমি বানভাসি স্বপ্নের আয়ুষ্কাল।
অকালপ্লাবনও।
কতদূরে যেতে চাও? ভাবো। দু‘ চার জন্ম দূরত্ব হোক। পাবো।
…
পরিত্যক্ত গল্পের বাড়ি
একদিন—গল্পে গল্পে বেরিয়ে পড়েছিলো গোপন ফিনকি!
(খাঁটি প্রেমিকেরা মরে যাবার আগের দৃশ্য এটি)
একদিন—হাত পাতা শেষ করে ঘরে ফিরে হঠাৎ চৌচির!
(সেইরাতে খাঁটি প্রেমিকের জন্য জারি হয় মৃত্যু পরোয়ানা)
পরের—সমস্ত ক্যালেন্ডারে লেপ্টে ছিলো শীতকাল শুধু!
(যেহেতু—ফাটা ঠোঁটের প্রতিকারসহ গুম হয় খাঁটি প্রেমিকেরা)
শেষে—নীলখামে প্রেমের কবিতা পাঠালেন সিলভিয়া প্ল্যাথ!
(জানতেন—খাঁটি প্রেমিকের কন্ঠ না পেলে কোকিল ডাকেনা)