মোদির শপথঃ পাকিস্তান আমন্ত্রণ পায়নি
বিমসটেক এর অন্যসব দেশ যেখানে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত, সেখানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে কি তাদের তিরস্কার করা হলো?
এটা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জাল বিস্তার করলেও এখন পর্যন্ত মূল বিষয় হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ৩০ তারিখের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি নরেন্দ্র মোদি।
ইকোনমিকটাইমস জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে বরাবরই বিশ্ববাসীর বিশেষ দৃষ্টি থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায় তা আরও গুরুত্ব বহন করে।
জাকজমকপূর্ণ সেই সপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান বাদে বিমসটেক এর বাকী সব দেশকে (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘প্রতিবেশীই প্রথম নীতির” কথা বলতে গেলে এই তালিকাতেই সরকারের মনোযোগ থাকে।
কিরগিজস্তান এবং মরিসাসের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবারের শপথ অনুষ্ঠানে।
নরেন্দ্র মোদির গতবারের শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অংশগ্রহণও করেছিলেন সেই শপথ অনুষ্ঠানে। তবে এবারের আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই পাকিস্তান।
এ বিষয়ে দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ না জানানোকে অনেকেই মনে করছেন তাদের তিরস্কার করা হলো। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি সূত্র জানায়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দেশের সম্পর্কে এত তাড়াতাড়ি উষ্ণতা ফিরবে বলে মনে করা ঠিক হবে না।
কয়েকমাস আগে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বৈরিতা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়ায় পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশ। আরও একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয় তিনবার যুদ্ধে জড়ানো দেশ দুটির মধ্যে।
তবে আপতাত সেই অবস্থা থেকে সরে এসেছে তারা। দ্বিতীয়বার বিজয়ী হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মোদিকে নিয়েই এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রঃ ইকোনমিকটাইমস
.