Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,mohit-kamal golpo danga

পাঠপ্রতিক্রিয়া: মোহিত কামালের ডাঙ্গা । সালমা আক্তার

Reading Time: 5 minutes

(১) রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের সংজ্ঞানুযায়ী ‘ডাঙ্গা’ গল্পটি নিতান্তই সহজ,সরল ও সাবলীল ভাষায় রচিত। তবে কিছু শৈল্পিক শব্দ, উপমা আর চিত্রকল্পে গল্পটি উচ্চমার্গীয়। কাহিনির ধারাবাহিকতায় কোনো ছন্দপতন নেই, নেই অতি নাটকীয়তা। 

সমাজের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলের জন্য সমাজের শুভাশুভের কষ্টিপাথরে মানুষের সকল সাহিত্য,শিল্প ও দর্শনের মূল্য বিচার করা হয়। সাহিত্যের জগত এক অলৌকিক মায়ার জগত। কিন্তু সেই অলৌকিক জগত বস্তু জীবনকে বাদ দিয়ে গড়ে ওঠেনি। এই পরিদৃশ্যমান জগত ও বস্তুজীবন থেকে লেখক তাঁর কাজের উপাদান সংগ্রহ করে তাতে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকাশ করে থাকেন। তাই যুগ যুগ ধরে সাহিত্যকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘সমাজের দর্পণ’। সমাজ বহু জীবনকে বাইরের দিক থেকে একত্রিত করে আর সাহিত্য অন্তরের দিক থেকে বহু হৃদয়কে একই সুরে ভরিয়ে তোলে। কোন শিল্পীই আপন দেশ ও যুগের বিশেষ গণ্ডিকে সম্পূর্ণ অতিক্রম করতে পারেন না। তবে বিশেষের ওপর দাঁড়িয়েই তাঁকে শিল্প-নির্মিতির নির্বিশেষের ব্যঞ্জনা বিশ্বজনীন করে তুলতে হয়। কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি তাঁর ‘ডাঙ্গা’ গল্পটা একটি বিশেষ সময়ের পটভূমিকায় কতিপয় বিশেষ ঘটনাকে অবলম্বন করে রচনা করেছেন। পরিচিত জগত এ জীবনকে অতিক্রম করে এক সুদূর মায়ারাজ্যের সন্ধান এনে দিয়েছেন। যা বিশেষ মুহূর্ত, বিশেষ কাল, বিশেষ সামাজিক গণ্ডিকে ছাড়িয়ে সাহিত্যের মধ্যে সকল কালের সকল যুগের চিরন্তন মানব হৃদয়ের কাহিনি প্রতিভাত হয়ে ওঠে। তিনি মানবজীবনে শাশ্বত অনুভূতিকে সফলতার সঙ্গে রূপায়িত করতে সক্ষম হয়েছেন।

(২) প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এক একটি আত্মদর্শ থাকে। পৃথিবীতে বাহ্যিক গড়ন, ভেতরের অনুভব ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে পার্থক্য রয়েছে। অন্তরে মূল্যবোধ তথা প্রেম, সৌন্দর্য আর আনন্দ সৃষ্টি করায় তাদের একমাত্র লক্ষ্য। গল্পের স্বপন চরিত্রটি তেমনই এক বৈশিষ্ট্যের আধার। সে তার জীবনের কষ্টটাকে ভুলে থেকেছে মুগ্ধতার আবেশে। আর ঘৃণাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় । তার কাছে জীবনের উদ্দেশ্য শুধু ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা নয়। স্বপনের মনে এমন ভাবনাতত্ত্বের উদয় হয়। গ্রামে বেড়াতে এসে পড়ন্ত বিকালে গাছতলায় বসে আকাশের দিকে তাকাতে গিয়ে চমকে ওঠে সে। কিন্তু ভাবনারা পালিয়ে যায় না। প্রাগৈতিহাসিক মানুষ থেকে শুরু করে বর্তমানের মানুষের জীবনধারা আর সাংস্কৃতিক কাজকর্মে তার মৌলিক চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত গাছ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে। স্বপন যে গাছটার নিচে বসে ছিল তার ডাল আর শাখা-প্রশাখার কোথাও পাতা নেই। পাতাশূন্য ডালগুলোর একটার ভেতর আরেকটা প্রবেশ করে যেন এক জ্যামিতিক চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। ত্রিভুজ, যার তিন বাহুই সমান।আয়তের দুই জোড়া সমান্তরাল বাহু আছে, যার অর্থ আয়তক্ষেত্র একটি সামান্তরিক। আবার বর্গক্ষেত্র একটি বিশেষ ধরনের আয়তক্ষেত্র যার চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান; এর অর্থ বর্গ একই সাথে আয়তক্ষেত্র ও রম্বস। চল্লিশ বছরের অবিবাহিত জীবনে সেও যেন ঐ পাতাশূন্য গাছের মতোই আজ যৌবনের শেষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। অপরিপূর্ণ জীবনের তাৎপর্য  বা গুরুত্ব বোঝার জন্য স্বপন তার জীবনকে যেন এই জ্যামিতিক নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বা ভাবার চেষ্টা করছে। অসংখ্য ত্রিভুজ, কোথাও আছে আয়তক্ষেত্র, কোথাও বর্গক্ষেত্র কিন্তু জীবনকে সঠিক জ্যামিতিক রূপদান দিতে পারছে না সে কিছুতেই। ত্রিভুজ আর বর্গক্ষেত্রের মতোই হিজিবিজি লেগে যাচ্ছে, চোখে ধাঁধা লেগে যাচ্ছে, বিভ্রমেও ডুবে যাচ্ছে স্বপন। চোখের ধোঁয়াশা কাটাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠে সে! পুরো আকাশ দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্যামিতিক রেখার মধ্য দিয়ে! দেখার কষ্টের মধ্যেও স্বপন আবিষ্কার করল মুগ্ধতা! জীবন জ্যামিতিক রেখার মতোই পেচানো, দূরূহ, প্রতিকূল। তবু সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে পারলেই ঝলমলে নীল আকাশের মতোই জীবন সুন্দর,অনাবিল আর পরিপূর্ণ। জীবন যেখানে যেমন স্বপন তাকে সেভাবেই হাসিমুখে গ্রহণ করতে চায়।

(৩) মানবের সীমাবদ্ধ জীবনে বিপুলের আস্বাদ পাওয়া যায় প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে। প্রকৃতিকে আমরা দেখি, তাকে আমরা স্পর্শ করি, তার গন্ধ আমরা পাই কিন্তু তার স্বরূপটি আমরা ঠিক বুঝি না, তার রহস্য উদঘাটন করতে পারি না। তার অসীমতায় আমরা অভিভূত হই, বুদ্ধির দ্বারা যাকে সম্পূর্ণরূপে আপনার করতে পারি না কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল যেন সেই প্রকৃতির সঙ্গে  মানবমনের আত্মীয়তা স্থাপন করেছেন। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, প্রকৃতিপ্রেমী মোহিত কামালের অধিকাংশ লেখাতেই প্রকৃতির অনুষঙ্গ বিদ্যমান।

প্রকৃতি আমাদের জীবন নাট্যের নীরব সাক্ষী। সে শুধু সাক্ষী হয়েই নিরন্ত থাকে তা নয়। তার সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের সংযোগ আছে। প্রকৃতি ও আমাদের কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে। তাই লেখক প্রকৃতির গাছ, নদী,আকাশ প্রভৃতিকে বিশেষ মেজাজে গল্পের চরিত্রে সক্রিয় করে তাকে সাংকেতিকতায় পূর্ণতা দিয়েছেন। মানবিক সত্যের সঙ্গে প্রাকৃতিক সত্যের সংমিশ্রণে লেখক তাঁর গল্পকে কবিত্বরসে সমৃদ্ধতর করে তুলেছেন। তাঁর গল্পে গ্রামের প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের বর্ণনা সত্যিই মুগ্ধতা ছড়ায়!লেখকের বর্ণনাশক্তি এত প্রবল আর চমৎকার হয়! 

প্রকৃতির সংস্পর্শে স্বপনের ভেতরের অবচেতন মন সক্রিয় হয়। কথা বলে ওঠে,‘আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে? জীবনের দিকে তাকাতে হবে না?’

স্বপন বুঝতে পারে না,কে কথা বলে। তাই চারপাশটা অনুসন্ধানী চোখে দেখে নিয়ে কাউকেই খুঁজে পায় না সে। লোনা জলের খালের মতো একসময় তার যৌবনেও গতিশীল স্রোত বয়ে চলেছিল। কিন্তু এখন তা শুকিয়ে গেছে। যেন ভরাট খালে তির তির করে বয়ে চলা সরু জলের ধারার মতো তার যৌবনেও আজ ভাটা পড়েছে। খালের শুকনো ঢালের তটে বসে সে শুকনো বালির ঢেউ দেখছে । স্থির চোখে তাকানোর আগে একবার মনে হয়েছিল জলের স্রোতের সঙ্গে একই রকমভাবে বয়ে যাচ্ছে তার নিজ জীবনেরও বালু তটের ঢেউ। আর তখনই সে আবার শুনল, ‘তুমিও তো আগের মতো নাই গো!’

স্বপন বালির ঢেউ পেরিয়ে জলের কাছাকাছি এসে দেখে খালের তলদেশে ছোটাছুটি করছে নাম না-জানা অসংখ্য ছোট ছোট মাছ। স্বচ্ছ আয়নার মতো পুরো তলটা ভেসে উঠেছে! চোখ জুড়িয়ে গেল তার। এসময় রবীন্দ্রনাথকে মনে মনে স্মরণ করল স্বপন। রবীন্দ্রনাথ জমিদারী দেখার ভার নেওয়ার পর বৈষয়িক কর্মোপলক্ষে পদ্মার সুবিস্তীর্ণ সুপ্রসারিত বুকের উপর বা পদ্মারই শীর্ণ শাখানদীর উপর বোটে করে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে রবীন্দ্র ছোটগল্পের সুত্রপাত। তাঁর অধিকাংশ ছোটগল্পের ক্ষেত্র পল্লীজীবন। প্রধান-অপ্রধান সব চরিত্রই পল্লীবাসী। শিল্পীর গুণে বিশেষ পল্লীর বিশেষ মানুষেরা নির্বিশেষ হয়ে উঠেছে। মূলত পল্লীবঙ্গই তাঁর ছোটগল্পের যথার্থ ক্ষেত্র। পল্লীর মাটি, মানুষই তাঁর গল্পের মূল উপজীব্য। স্বপনও পল্লীর নানা রসে, বর্ণে, রূপে-বৈচিত্রে মুগ্ধ! স্বপন বসেই রইল একসময়ের যৌবনদীপ্ত খালের বর্তমান শীর্ণ স্রোতের সামনে। আর তখনই সে আবার শুনল, ‘তোমারও এমন হাল হয়েছে গো! যৌবন চলে গেছে, শীর্ণ হয়ে গেছে তোমার দেহ, মনও।’ আরও শুনল, ‘তোমার পূর্ণ জীবন শূন্য দিয়ে ভরা, খোলা আকাশের শূন্যতার চাইতেও বড় শূন্য সে-জীবন।’

সে বুঝতে পারে, বয়স বেড়েছে, সময় বয়ে গেছে তার আপন গতিতে। কিন্তু তার জীবন পূর্ণতা দিয়ে নয়, শূন্যতা দিয়ে পরিপূর্ণ হয়েছে। যা মূল্যহীন। পরক্ষণেই মায়ের ফোন পেয়ে বিয়ের কথা শুনে যেন অন্ধকারের গভীর থেকে গভীরতায় ডুবে যেতে লাগল ও। পরের প্রশ্নে যেন শূন্য জীবনে পরিপূর্ণতার আভাস পেল। ঘোরগ্রস্ত চোখে জ্যোতি ফিরে এল। মন-প্রাণ সঁপে চাইল জলের স্পর্শ পেতে। 

(৪) স্বপন বিয়ে করতে ভয় পায়। বিয়ে করতে ভয় পাওয়ার বিষয়টিকে ‘গ্যামোফোবিয়া’ বলে। বিয়ের কথা শুনে কিছুটা আতঙ্কিত বোধ করাটা স্বাভাবিক। তবে বিয়ের নাম শুনলেই যারা দৌড়ের ওপর থাকে, তারা গ্যামোফোবিয়ায় ভুগতে পারে। বোঝা যায় গল্পের স্বপনও এই গ্যামোফোবিয়াতে ভুগছে। তাইতো চল্লিশ বছর হলেও তার বিয়ের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু বিয়ে না করলে সে জলের স্পর্শ পাবে কী করে! পায়ের ক্লান্ত আঙুলে জুতো না-খুললে জলের স্পর্শ কি পাওয়া যায় !

একজন লেখক সমাজের মাঝে বসবাস করা জীবও বটে। পঞ্চ- ইন্দ্রিয় অনুভূত প্রাণী বলে তাকে সমাজের যাপিত ঘটনার নীরব সাক্ষ্য বহন করতেই হয়। প্রতিটি লেখকই পরীক্ষা- নিরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর গল্পকে নতুনভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চান। কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল তাঁর গল্পের প্রচলিত ফর্মের বাইরে গিয়ে গল্প সাজিয়েছেন। কখনো ফর্ম ভেঙেছেন, কখনো রক্ষা করেছেন। 

মানুষের রক্তের মধ্যে যে আদিম প্রাগৈতিহাসিকতা লুকায়িত তার অনুপুঙ্খ প্রকাশ ঘটেছে গল্পটিতে ধর্ষক চরিত্রটি উপস্থাপনের মাধ্যমে। একজন ধর্ষিতা কখনো দায়ী নয়। এ দায় বা লজ্জা তার নয়, সমাজের। কারণ সমাজ তার সতীত্ব রক্ষা করতে পারেনি। লেখক চেয়েছেন, এ ধরনের নারীদের যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে সমাজে গ্রহণ করি। ধর্ষিত নারীদের নিয়ে সমাজে একটা ট্যাবু প্রচলিত আছে। লেখক সেটা ভাঙতে চেয়েছেন। তাই তিনি আবেগময় ভাষায় গল্পের ধর্ষিতা চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন। যা মানব সভ্যতার ইতিহাসের চেতনার সঙ্গে অপরিচিত নয়। মানবসভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তন বিবেকের অনুশীলনে উজ্জ্বল। গল্পের স্বপন তারই নিদর্শন। সে কোনো আদিম অন্ধকারের প্রবৃত্তির শেকলে বাঁধা নয়। 

ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। বতর্মানে এটি আমাদের সমাজে ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। ধর্ষণে শিকার নারীরা সমাজে উপেক্ষিত হয়। তবুও সামাজিক বাধাসমূহ ঠেলে কোনো কোনো নারী কখনো কখনো স্বাধীন ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়। বিথী তেমনই একজন নারী। বিথী স্পষ্টবাদী এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। সে স্বপনকে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা অকপটে বলেছে। এখানে তার সততার, মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় সুস্পষ্ট।

(৫) বিথীর জীবনের মর্মান্তিক ঘটনা শুনে স্বপনের বিয়ে-ভীতি মুহূর্তে নিঃশেষ হয়ে যায়। সম্পাদ্য আর উপপাদ্যের জটিল গিট খুলে গেছে বিথীর সততায় নতুন আলোর পরশে। জীবনের পথ চলার নতুন বাঁকের দিশা খুঁজে পেয়েছে সে ।নদীর শুকনো তটে আসন গেড়ে বসে থাকা বালির ঢেউ ভেসে গেছে সেই জোয়ারে। পাতাহীন ডালে ডালে গজিয়ে গেছে নতুন কচি পাতা! স্বপনের শূন্য জীবন আজ কানায় কানায় পরিপূর্ণ পূর্ণতায়। তাই তো প্যাঁচখোলা জ্যামিতিক নতুন রেখাচিহ্ন বুকে নিয়ে শুদ্ধ হয়ে ধীরে ধীরে পরানের গহিন থেকে জেগে উঠে ও জবাব দিল, ‘ডাঙ্গায়’।

স্বপন শিক্ষিত ও মার্জিত। সে বিথীকে জীবনসঙ্গী কর‍তে চেয়েছে অপমান নয়, তাই তো অনায়াসেই সে বিথীকে গ্রহণ করতে পেরেছে। তাদের মিলন মাধুর্যে গল্পের আনন্দদায়ক পরিসমাপ্তি পাঠকের মনে স্বস্তির বারতা বয়ে আনে। পাঠক এ গল্প শেষে পেয়েছে এক ভিন্ন স্বাদ। একজন ধর্ষিতা নারীকে অবহেলার চোখে না দেখে, অপাঙতেয় না ভেবে, তার জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা লেখকের মূল উদ্দেশ্য ছিল। ফলে বিষয়বস্তু, মূল ভাবনা এবং পরিণতিতে সমস্যা সমাধানে ইঙ্গিতের দিকে দৃষ্টি দিলে স্পষ্ট হয় যে, গল্পের নামকরণ ‘ডাঙ্গা’ শিল্পসফল ও যুক্তিযুক্ত হয়েছে। 

‘ডাঙ্গা’ শুধু একটা গল্পের নাম নয়। ডাঙ্গা মানুষের জীবনে স্বপ্ন ও আশা পূরণেরও নাম। গল্পটা পড়ার সময় বারবার মনে হয়েছে,গল্পটা আসলে কার? কখনো মনে হয়েছে গল্পটা গ্রামবাংলার অপার সৌন্দর্য বর্ণনার।কখনো মনে হয়েছে স্বপনের বিয়ে ভীতির মানে গ্যামোফোবিয়ার । কখনো বা মনে হয়েছে গল্পটা স্বপনের উদারচিত্তের । কখনো আবার মনে হয়েছে গল্পটা বিথীর স্পষ্টবাদীতার ও মানসিক দৃঢ়তার ।  চমৎকার এক গল্প পড়লাম! এককথায় অসাধারণ এবং অনবদ্য। লেখকের কাছে এধরনের গল্প আরও পড়তে চাই।

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>