উন্মাদের ভাষা
কবি হয়ে ওঠার অপচেষ্টাগুলো
ত্রিফলা বাতিকে উৎসর্গ করেছি
হে পাঠক
যশের সিঁড়িতে পা রেখে বুঝেছি কবি আর কবিতার কোনো
উত্তরসূরী হয় না
আজকের ছয় বাই আটের ঘর ষাট ওয়াটের হলুদ আলো
উবু হয়ে থাকা আমি
ধরে নিন, এটাই এক্স
এটাই
এ উন্মাদের ভাষা
ইউ টার্ন
বদলে গেছে শহরের মলাট
ভেতরের পৃষ্ঠাগুলো খুলে খুলে আসে
প্রতি পাড়ার মোড়ে ভিন্ন রঙের পতাকা, শিবির
বালিতে মুখ থুবড়ে থাকা
আলান কুর্দির কান্না ড্রয়িং রুম থেকে শোনা যায়
বৃদ্ধ শকুন কার্নিশে বসে থাকে
জঙ্গলে ফিরি
মানুষের কড়া গন্ধ ডিঙিয়ে
প্রসিদ্ধ পল্লীতে, রাতে
মাঝে মাঝে মর্গের ষোলো ওয়াটের আলো–কে
তারা বলে মনে হয়
অপারেশন থিয়েটার থেকে পুবে ঢলে পড়ে চাঁদ
ধূমকেতুর মত পথ পেরোয় প্রেম
নিরাপদে, জেব্রাক্রসিং দিয়ে
বিছানা জুড়ে তারাখসা গন্ধ
শুনশান রাস্তায় দ্রুতবেগে চলে যায় স্বপ্ন
শেকড়, মাটি, আমি ইত্যাদি
ক
গাছগুলো পাশাপাশি, খুব পাশাপাশি
ছুঁয়ে রেখেছে নিজেদের
আমরা শিখিনি তবু গাছেদের ভাষা
খ
জন্মঋণে বেঁধে রাখে যে গাছ
মানুষ কোনো ভাবেই
তার চেয়ে বড় নয়