| 7 সেপ্টেম্বর 2024
Categories
এই দিনে কবিতা সাহিত্য

নীলিমা দেবের কবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিট

আজ ৩১ মে কবি নীলিমা দেবের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।


 

রাত

একশো সেতারের সুর নিয়ে
পিওর অন্ধকার
কমলা গাছের ঘ্রাণের মতো
চুপচাপ নদী
কেবল কুড়িয়ে যাচ্ছে জল
তাও যদি সহজ হতো রাত…….
এভাবেই খুচরো পরিচয়
ততটাই ফ্রী যতটা পূর্বাভাস
আলোয় টোকা দিতে দিতে
শুকিয়ে যায় বেলা
রাতের বিপরীত……
আগুনের কুয়াশায় ছড়িয়ে  যাচ্ছে ক্ষত
ঘর ভর্তি বারান্দা
আলো ভাঙছে
                       আলো গড়ছে
                                       যতদূর চাঁদের লাইব্রেরী
শেষ পর্যন্ত রাত হতে হতে
আয়ুর আঁধার…
এক টুকরো ঘর
 
পথেই খুলে পরে আছে ছায়ার বিস্ময়
উবু বন
সূর্যটা চুপসে যেতেই বন্য হয়ে উঠছে ঘর ঘেঁষা নদী
আমি তাকে সাঁতার দিলাম…
 
 
ঘরটা রোজ অর্ধেক হয়ে যায়
জানালা ডবল
যত বার তুমি শীত দিয়ে মুড়ে দিতে চাও আগুনের শেপ
ততবার উষ্ণ হয় আমার অন্ধকার
এই বুঝি আলো মা হতে চলেছে …
 
 
তোমার চাইতেও সাফ তোমার প্রসারিত আগুনের ছাপ
আলোফল তুলে আনে চৌরাশি হাজার তারার শোক
তুমি তাতেই বুনে যাও নিওনের থিম
 
খোলা রাত
ঘরেই লুকিয়ে ফেলে একমুঠো চাঁদ
শুধু জলচিহ্ন রেখে যায় হিম …
 
রাত রঙ
 
রঙথেকে খুলে পরছে
মৌ-বন
সাথে বিস্ময়
যদি, তদি, ইত্যাদি…
সাইলেন্ট আলোর–হাত বাজিয়ে যায় মোমের জন্মদাগ
সাড়া নাই, সাড়া দিতেও নাই এসময় …
নীলে নীলে ভিজে গ্যাছে সব খেয়ালাত
 
অ-জানা না-জানা
অণুশব্দরাও বুঝে নেয়
বেড আর বেডশীটের ফিলিংস
 
চাঁদ কোলে নিয়ে বসে থাকে
কবিতার শরীর
 
সেয়ানা মেঘ কপি করে
নিঃশব্দ রাতের
এ-টু-জেড
 
আ-শরীরে বৃষ্টি-যাপন……
 
 
এভাবেই দহন শেষে স্মার্ট হয়ে যায়
সাইকো আলোর ভ্রূণ
বধির রাত
টিপটপ আঁধারে গ্রো করছে
যতটা জল তারও বেশি ঢেউ
খেলাঘরে বাড়ন্ত নীল
 
চোখ মেলে যা দেখি তার অনেকটাই সেলাইমেশিন …

গুমসুদা  

একটা হিমালয়  হেঁটে যায় রোজ
ত্রি  কোয়ার্টারে
চুপ চুপ নীল  আওয়াজ
গুমসুদা পরছাই
রাত  ছেড়ে বেড়িয়ে গ্যাছে   চাঁদের ভাইরাস
থোকা থোকা শীত
রিপু  করে যায়  ফোঁটা ফোঁটা অন্ধকার ..
ঘুম হতে হতে
ইনভ্যালিড হয়ে গ্যালো যে নেটিভ আলো
তাকে রাত ভাবার আগেই
সব এলোমেলো

অন্ধকার

প্রতিটি ঘুমের ভিতর
চিড়িয়া  আঁকে  যে হলুদ ছায়া
তাকে ছুঁতেই দৃশ্য হয়ে ওঠে
একটা অন্যমনস্ক  আঁধারের চাঁদঘরানা
যেন রোশনি হবার আগে
এক মুঠো আলোর বিজ্ঞাপন
খোলসা করে আন ইজি  রাতের
নিরিবিলি সন্ত্রাস…

রং-বসন্ত-১

রুট থেকে সরে গেছে  যে বসন্ত
তাকে  নাম ধরে  ডাকতেই
ফির হল্লাবোল
বদলে যাওয়া ঢেউয়ের উচ্চারণে
অনাগত শব্দের ফ্লটিং রঙ্গোলী
কথা নেই
ম্যাচুর হতে হতে  এডাল্ট
হয়ে গেছে যে রঙ
তার জঠরে বৈধ নীলের হাঁ
জড়িয়ে আসছে হাওয়ার আর্ট অফ ফিলজফি
বিন বোলায়ে বরসাত …

রং-বসন্ত-২

অনাদরে ফেক হয়ে গেছে যে সম্ভাবনা
তাকে ইম্প্রেস করার প্যাশন
অনেকটা জলের মধ্যে শুয়ে থাকা উষ্ণতার ডাবিং এর মত
সে আমার অক্ষমতা
পাখি গান হল, সুরও
তবুও বসন্ত বাজে না আগের মত
সব অহেতুক …
গাছে গাছে  শুনতে পাই জলের কান্না …
লুজ মোশন …

রং-বসন্ত-৩

যতটা কালোর গভীরে একফোঁটা অন্ধকার স্বচ্ছ হয়
ততটাই আলোর সমজ
বাদবাকি অভিনয় …
প্রতিদিন শিক্ষিত হয় যে রঙ
তার স্নায়ুতে আমি বসন্ত আঁকি
প্রায় আলোর শকল
যার পর আর রঙের ব্যাখ্যা নাই…

রং-বসন্ত-৪

জানা নেই
মেহেফিল  কতটা বেকরার হলে ভালোবাসা সেঁতার হয়
আঙুলেই উঠানামা করছে
আত্মহত্যার সংলাপ
তার চেয়ে বেশ ছিল সেসমস্ত মেদ হীন
বসন্তের ইমোশন
আর তার মিথ্যে আপোষ …

রং-বসন্ত-৫

খামোশ বসন্ত
আর তোমার ইউটার্ন
না হয়ে ওঠা লাভ এর লং -স্কারট এ
কথা হয়ে আছে সমস্ত ইন্তেজার
হাফলং বিকেল
সন্ধ্যাটার শুরু ও শেষের গ্যাপ এ
কাহানীর টুইস্ট
কে যে সারাবে কার অন্ধকার…

রং-বসন্ত-৬

সুতরাং
সব ফিরে আসায়
মোহাব্বত থাকেনা
কিংবা জশন
তবুও তো ফিরে আসতেই হয়
কৈসী নিকসী চাঁদনী
আর আমি আগুনে শোক পোড়াই..
বসন্ত-পরব

রং-বসন্ত-৭

শুনশান রাত
আর সেই একলা নদীর বিবসন জল
ছুঁয়ে দেখলাম তার রক্তের বিশেষণ
রং-বসন্ত
কে যেন বাজিয়ে যায় বেহাগ

বিন্দু বিন্দু আস্ফালন
হলেও হতে পারে নাম না জানা
হলুদ বৃষ্টির অভিমান

রং-বসন্ত-৮

দরজায় প্রমিসড বসন্ত
অউর গলিয়ো কা  মাসুমিয়ত
যেটুকু  মিসিং
উরুউরু ব্রিজ আর তার সুস্তানি ফিলিংস
অজানা নয় বিকল্প পথের ম্যাপ
তাও যে পথে এসেছি সে পথেই ফিরে যেতে চাই
পুরানো পথের খাতিরে
ধুলো হয়ে যাওয়া গুলাল কি কসম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত