ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে রবিচন্দন অশ্বিনকে নিয়ে। তিনি যে মানকাডিং করবেন, তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। শুধু সমর্থকরাই নন, প্রাক্তন তারকা ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও অশ্বিনের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সমালোচনায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াও। যেখানে অশ্বিনের পাশাপাশি আক্রমণ করা হয়েছে তার গোটা পরিবারকে। ছাড় দেয়া হয়নি তার সন্তানকেও।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ চলাকালীন। রাজস্থানের ইনিংসের সময় অশ্বিনের ওভারে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ছিলেন জস বাটলার। ঠিক তখনই বল ডেলিভারির আগে উইকেটে বল ঠেকিয়ে দেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক। সঙ্গে সঙ্গে থার্ড আম্পায়ারের ইশারা করেন ফিল্ড আম্পায়ার। তারপরই মাঠের একপ্রান্তের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে, বাটলার আউট। বল উইকেটে ঠেকানোর আগে একবারও সতর্ক করেননি অশ্বিন। তাই এমন অখেলোয়াড়োচিত আচরণের জন্য সেই মুহূর্তেই অশ্বিনের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বাটলার। তবে ক্রিকেটের নিয়ম মেনে তাকে প্যাভিলিয়নেই ফিরতে হয়। এই ঘটনাতেই দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেট মহল। তবে ভারতের খেলোয়াড় হলেও অশ্বিনের চেয়ে বেশি সমর্থন পাচ্ছেন বিদেশী বাটলারই। অশ্বিনের মধ্যে ক্রিকেটীয় স্পিরিটের অভাবই বোধ করছেন অনেকে। আর এই কারণেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অশ্বিনকে তো বটেই তার আচরণের জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে পরিবারকেও। ইনস্টাগ্রামে অশ্বিনের স্ত্রী পৃথীকেও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয়। তার ছবির নিচে অনেকেই কমেন্ট করেছেন, ‘আপনার স্বামী বিশ্বাসঘাতক।’ অন্য একজন লিখেছেন, যেভাবে অশ্বিন মানকাডিং করলেন, তারপর থেকে তার প্রতি আর কোনও সম্মান রইল না। তবে শুধু পৃথী নয়, অশ্বিনের দ্বিতীয় সন্তান আধ্যার ছবিতেও অশ্বিনকে তুলোধোনা করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা আধ্যার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমার বাবা বিশ্বাসঘাতক। তুমিও বড় হয়ে বাবার মতো হবে।’
তবে নিজের আচরণে একেবারেই অনুতপ্ত নন অশ্বিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি অনুতপ্ত কেন হতে যাব? ব্যাটিং ক্রিজের দিকটা যদি ব্যাটসম্যানের হয়, বোলিং ক্রিজের দিকটা আমার। সেখানে কাউকে আইনবিরোধী সুযোগ নিতে দেব না। আর ক্রিকেটের স্পিরিটের প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে তাও তো জানি না। যা করেছি। আইন মেনে করেছি। আইন যদি প্লেয়ার ব্যবহারই না করতে পারে, তাহলে সেটা তুলে দেওয়াই ভাল।’