এই ছবিগুলো ভারতীয় চলচ্চিত্রকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। সমাজ-চেতনা থেকে বাস্তব জীবনের সমস্যাকে তুলে ধরতে এই সিনেমাগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এমন সব ছবিকে নিষেধের বেড়াজালেই আটকে রেখেছে সেন্সর বোর্ড। একনজরে এমনই ৭টি ছবি।
১. আন-ফ্রিডম : লেসবিয়ানদের কাহিনী নিয়ে এই ছবি। মেয়ে লেসবিয়ান জেনে বাবা থানার দারাগোকে দিয়েই মেয়েকে ধর্ষণ করান। জ্বলন্ত এক সামাজিক সমস্যা নিয়ে এই ছবি। ছবির পরিচালক রাজ অমিত কুমার। অভিনয় করেছিলেন ভিক্টর ব্যানার্জি, আদিল হুসেন এবং প্রীতি গুপ্ত।
২. মোল্লা আসি : বারানসি শহরে কীভাবে বিদেশি পর্যটকদের ঠকানো হয়। সেই নিয়ে এই ছবি। একাধিক দৃশ্যে অত্যন্ত স্ল্যাং ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি মুক্তির আগে এর প্রোমেো লিক হয়ে যায়। যার জেরে এফআইআর। গত এপ্রিলে ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মূল চরিত্রের অভিনেতা ও অভিনেত্রী সানি দেওল এবং সাক্ষী তানোয়ার।
৩. গান্ডু : বাংলা এই ছবিটি ২০১০ সাল থেকে মুক্তির প্রতীক্ষায় দিন গুনছে। নারীবাদীদের এই ছবির গল্প। ছবিটি সংলাপ থেকে দৃশ্যায়নে এতটাই সাহসী যে ছবি তৈরির সময় থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়।
৪. দ্য পেইন্টেড হাউস : মালায়ম এই ছবিতে মূল চরিত্রের অভিনেত্রীর বেশকিছু নগ্ন দৃশ্য আছে। সেই কারণে এই ছবিটির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আছে।
৫. দ্য পিঙ্ক মিরর : জেন্ডার ইস্যু এবং ট্র্যান্সসেক্সুয়ালিটি নিয়ে এই ছবি। ৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি প্রদর্শিত হলেও বাণিজ্যিক মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
৬. হাওয়া এনে দে : পরিচালক পার্থ সেনগুপ্তর এই ছবির প্রেক্ষাপট পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। সে সময় এক কিশোর মুম্বাইয়ে জীবন সংগ্রামে লেগে রয়েছে। ছবিটিতে ২১ দৃশ্য বাদ দিতে বলে সেন্সর বোর্ড। কিন্তু, পরিচালক তা নাকচ করে দেন।
৭. ছত্রাক : পাওলি দাম, অনুব্রত বসু-র এই ছবিটি নিয়ে বিপুল বিতর্ক তৈরি হয়। ছবিটিতে যে ভাবে যৌন দৃশ্য দেখানো হয়েছে তাতে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড। পাওলি দামের নগ্ন দৃশ্য ইন্টারনেটে লিক-ও হয়ে যায়।