| 29 মার্চ 2024
Categories
ইতিহাস নারী

 নূরজাহান

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

 

আজকাল যতবার শুনি নারী নির্যাতনের কথা। নারীর পরাধীনতা নিয়ে কত লেখা পড়ি। তখন তার কথা মনে পড়ে। মোঘল ইতিহাসের বিস্ময়কর এক নারী চরিত্র নূরজাহান। তখন নিশ্চয় আরো কঠিন ছিলো নারীর জীবন। আরো অনেক বেশি শাসিত হতো নারী কিন্তু সেইসময় নূরজাহান হয়ে উঠেছিলেন নারীমুক্তির অনন্য দৃষ্টান্ত।


সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্মৃতিকথায় ১৬১৪ সালের পর থেকে তার সঙ্গে নূর জাহানের বিশেষ সম্পর্কের উল্লেখ আছে বারবার। তিনি নূর জাহানের এক অনুরাগময় চিত্রই একেঁছেন তাতে। নূর জাহান সেখানে বর্ণিত হয়েছেন একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী, চমৎকার সেবাদাত্রী, বিজ্ঞ পরামর্শদাতা, দক্ষ শিকারি, বিচক্ষণ কূটনীতিক এবং শিল্পবোদ্ধা হিসেবে।কে এই নূরজাহান?


সংগৃহীত

নুরজাহান নিয়ে গান আছে, বই আছে। মানুষ নুরজাহান নামের একজন নারীর কথা জানে। নিশ্চয় আপনিও শুনেছেন এই নাম। কিন্তু কে ছিলেন নুরজাহান? এই নারী জন্ম নেন ১৫৭৭ সালে। মেহেরের বাবা ছিলেন গিয়াস বেগ। তার বাবা গিয়াস বেগ ও মা যখন তেহেরান থেকে ভাগ্যের সন্ধানে হিন্দুস্তান আসছিলেন তখন পথের মধ্যেই নির্জন মরু প্রান্তে এক বাবলা গাছের তলায় জন্ম হয় মেহেরুন্নিসার। যিনি পরবর্তীকালেই হয়ে উঠেছেন জগতের আলো অর্থাথ নুরজাহান।নুরজাহান ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মানুষ। সম্রাট তাই হয়ত বলেছিলেন-আমার রাজ্য আমি এক পেয়ালা মদ আর এক বাটি সুরুয়ার বিনিময়ে আমার প্রিয় রানীর কাছে বেচে দিয়েছি। 

গল্প শোনা যায় যে, এই সময় গিয়াস বেগ ও তার পত্নী এমন দুর্দশায় পড়েছিলেন যে মেয়েকে বাঁচাবার কোনো উপায় না পেয়ে তারা পথের মাঝেই মেয়েকে শুইয়ে রেখে রওনা হন। আশা ছিল কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি তাকে পায় নিয়ে আশ্রয় দেবে। কিন্তু কিছুদূর যাবার পরই শিশু কন্যার কান্না শুনে তারা আর থাকতে পারলেন না। ফিরে এসে মেয়েকে বুকে চেপে নিঃসহায়, নিঃসম্বল গিয়াস বেগ এসে পৌঁছালেন লাহোরে। এবার তার ভাগ্য পরিবর্তন হল। আকবর বাদশার সুনজরে পড়েন তিনি, আর ছোট মেয়ে মেহেরের স্থান হলো মুঘল হেরেমে।

জাহাঙ্গীর তখনও সম্রাট হননি। তিনি খুব পছন্দ করে ফেলেন মেহেরুন্নিসাকে।নূরজাহান ও সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রণয়ঘটিত নানা কাহিনী ছড়িয়ে আছে উপমহাদেশ জুড়ে। জানা যায়, তরুণী নূরজাহান বা মেহের-উন-নিসাকে দেখেই তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন শাহজাদা সেলিম বা জাহাঙ্গীর। কিন্তু সম্রাট আকবর এ সম্পর্ক মেনে নেননি। তিনি তড়িঘড়ি করে নিজের বাহিনীতে কর্মরত ইরানী সমরনায়ক শের আফগান আলী কুলি খান ইসতাজলুর সাথে ১৭ বছর বয়সে মেহের-উন-নিসার বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয় সুদূর বর্ধমানে।

জাহাঙ্গীর সম্রাট হবার কিছুদিন পরেই শের আফগান রাষ্ট্রবিরোধী ও বিদ্রোহমূলক কর্মকান্ডের সাথ জড়িত হয়ে পড়লে সম্রাটের বাহিনীর হাতে নিহত হন তিনি। আবার অনেকে বলে থাকে,জাহাঙ্গীর প্রচণ্ড চেষ্টা করেন শের আফগানকে মেরে ফেলার। কয়েকবার চেষ্টা করেও অবশ্য সফল হননি তিনি। শের আফগান ছিলেন অসম্ভব শক্তিশালী। ফলে শের আফগানের কাছের মানুষদের সাহায্য নেন জাহাঙ্গীর এ সময়। আর এভাবে তিনি সফলও হন শের আফগানকে মারতে।তবে ঘটনা যা-ই হোক, নূরজাহানের প্রথম স্বামীর বিয়োগ ঘটে। শের আফগানের ঔরসে লাডলী বেগম নামে এক কন্যারও জননী হন তিনি।


ছবিঃ সংগৃহীত

১৬০৭ সালে শের আফগানের মৃত্যুর পর নূরজাহান ও তার মেয়ে লাডলী বেগমকে আগ্রায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে মুঘল হেরেমের কর্ত্রী সম্রাট জাহাঙ্গীরের সৎ মা এবং সম্রাট আকবরের প্রধান স্ত্রী রুকাইয়া বেগমের সেবায় তিনি নিয়োজিত হন। মরহুম স্বামীর জীবদ্দশায় তৈরি রাজনৈতিক শত্রুদের থেকে নিরাপত্তার জন্য নূরজাহান নিজেই মুঘল দরবারের আশ্রয় প্রয়োজন মনে করেছিলেন। তার স্বামী রাজদ্রোহী হওয়া সত্ত্বেও তিনি এবং তার কন্যা মুঘল দরবারে যথেষ্ট সম্মান জনক অবস্থান লাভ করেন। রানী রুকাইয়া বেগমের সাথে বিচক্ষণ নূরজাহানের গড়ে তোলা সুসম্পর্ক এর পেছনে বিশাল ভূমিকা রাখে।

নূরজাহানের প্রতি জাহাঙ্গীরের আকর্ষণ যে অনেক আগে থেকেই ছিল, এটা সব সূত্রেই জানা যায়। তখন জাহাঙ্গীরের রাজত্বের ছয় বছর চলছে। ১৬১১ সালের ২১ মে সন্ধ্যায় শাহী মহলের মীনা বাজারে নওরোজের উৎসব দেখতে বের হন সম্রাট। ইরানী সংস্কৃতি অনুযায়ী নওরোজ হলো নববর্ষ বরণ উৎসব। এখানেই এক পোষাকের দোকানে এসে চমকে যান জাহাঙ্গীর। দোকানী রুপসী এক ইরানী কন্যা। এত বছর পরেও মেহের-উন-নিসাকে চিনতে একটুও অসুবিধা হয়নি তার। তৎক্ষনাৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন জাহাঙ্গীর। সেই মাসেরই ২৫ তারিখে, আরবী ১২ রবিউল আউয়াল ১০২০ হিজরী তারিখে মেহের-উন-নিসাকে বিয়ে করে মহলে নিয়ে আসেন জাহাঙ্গীর। নতুন স্ত্রীর রুপে মুগ্ধ হয়েই হয়তো তাঁর নাম দেন ‘নূর মহল’ (মহলের আলো)। বিয়ের পাঁচ বছর পর, ১৬১৬ সালে এই নাম পরিবর্তন করে সম্রাট স্ত্রীর নাম দেন ‘নূর জাহান’ (জগতের আলো)।সম্রাট জাহাঙ্গীরের ৩০ জন মুখ্য পত্নীর মধ্যে তার সবচেয়ে প্রিয় এবং ২৫ তম পত্নী নূরজাহান। শুধু একটি মহলই নয়, মেহের-উন-নিসার কীর্তি ও মহিমা মহল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র মুঘল সাম্রাজ্যে। তাই ‘নূর মহল’ নামটিতে তাঁকে সীমাবদ্ধ করা যায়নি। এই উক্তি থেকেই বোঝা যায় সম্রাটের উপর তার কতখানি প্রভাব ছিল। সম্ভবত তিনিই একমাত্র নারী যার কোনো মুঘল সম্রাটের উপর এতখানি প্রভাব বিদ্যমান ছিল। নূরজাহান ছিলেন একইসাথে মার্জিত, শিক্ষিত, বুদ্ধিমতি ও কর্তৃত্বপরায়ণ সম্রাজ্ঞী। তার সাথে যোগ হয়েছিল তাঁর নিগুঢ় রাজনৈতিক বিচক্ষণতা। স্বামীর সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল নূরজাহানের। তিনি জানতেন কী করে কাজ আদায় করতে হয়। দৃঢ় ব্যক্তিত্বের সাথে রুপের উৎকর্ষতা ও তুখোড় কূটনৈতিক বিচক্ষণতা নূরজাহানকে এক স্মরণীয় নামে পরিণত করেছে। তাছাড়াও নূর জাহান ছিলেন কবি, এদক্ষ শিকারি এবং খুবই সৃজনশীল এক স্থপতি। আগ্রায় তার তৈরি করা নকশাতেই নির্মাণ করা হয়েছিল তার বাবা-মার সমাধি সৌধ। পরে এই স্থাপত্য রীতিই নাকি তাজ মহলের স্থাপত্য নকশার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

মোগলদের পুরুষ শাসিত জগতে নূর জাহান ছিলেন এক অসাধারণ নারী। কোনো রাজকীয় পরিবার থেকে তিনি আসেননি। কিন্তু তারপরও সম্রাটের হারেমে তার উত্থান ঘটে এক দূরদর্শী রাজনীতিক হিসেবে। তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের সবচেয়ে প্রিয়তম স্ত্রীতে পরিণত হন। বিশাল মোগল সাম্রাজ্য আসলে তিনি এবং সম্রাট জাহাঙ্গীর মিলে একসঙ্গেই শাসন করতেন।


ছবিঃ সংগৃহীত

কিন্তু যে যুগে অন্দর মহলের বাইরে নারীর কোনো স্থান ছিল না, সেই যুগে তিনি কিভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন?

অনেক ইতিহাসবিদের মতে জাহাঙ্গীর ছিলেন এক মদমত্ত সম্রাট, যার সাম্রাজ্য পরিচালনায় কোনো মনোযোগ ছিল না। আর সে কারণেই নাকি তিনি এর ভার ছেড়ে দিয়েছিলেন স্ত্রীর হাতে। কিন্তু এটি পুরোপুরি সত্য নয়।

এটি সত্য যে জাহাঙ্গীর পানাসক্ত ছিলেন, তিনি আফিমও গ্রহণ করতেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে তার স্ত্রী নূর জাহানকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। কিন্তু সেটার কারণেই নুর জাহান মোগল সাম্রাজ্য শাসনের সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাপারটা তা নয়। কার্যত নূর জাহান এবং জাহাঙ্গীর ছিলেন পরস্পরের পরিপূরক। স্ত্রী যে সাম্রাজ্য শাসনে তার পাশে আসন নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে জাহাঙ্গীরের কোনো অস্বস্তি ছিল না।

তাদের বিয়ের পরপরই নূরজাহান প্রথম যে রাজকীয় ফরমান জারি করেছিলেন তা ছিল এক রাজকর্মচারীর জমির অধিকার রক্ষায়। সেখানে তিনি স্বাক্ষর করেন নূর জাহান পাদশাহ বেগম নামে, যার অর্থ নূর জাহান, সাম্রাজ্ঞী। তিনি যে সার্বভৌম এবং তার ক্ষমতা যে বাড়ছে, এটি ছিল তারই ইঙ্গিত।

১৬১৭ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং তার নাম লেখা মূদ্রা স্বর্ণ এবং রৌপ্য ছাড়া হয়। সে সময়ের মোগল রাজদরবারের লেখক, বিদেশি কূটনীতিক, বণিক এবং পর্যটকরা উপলব্ধি করতে শুরু করেন যে মোগল সাম্রাজ্য পরিচালনায় তার একটা বিরাট প্রভাব আছে। ঘটনাবহুল মুঘল বংশের ইতিহাসে নূরজাহানের কীর্তিও কম নয়। সবাই জানতেন যে নিজ মেয়ের জামাই শাহরিয়ারকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার করতে নূরজাহান সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ১৬২২ সালে কান্দাহার দুর্গ পারস্যের শাসক অবরোধ করলে খুররমকে (শাহজাহান) দুর্গ পুনর্দখলের জন্য যেতে বলা হয়। কিন্তু তার অনুপস্থিতির সুযোগে নূরজাহান নিজ জামাতা শাহরিয়ারকে সিংহাসনের জন্য পাকাপোক্ত করে ফেলবেন এই ভয়ে খুররম দুর্গ দখলে না গিয়ে উল্টো বিদ্রোহ করে বসেন। জাহাঙ্গীর তার দক্ষ সেনানায়ক মহব্বত খানকে পাঠিয়ে এই বিদ্রোহ দমন করেন। কিন্তু এই বিশৃঙ্খলায় কান্দাহার দুর্গ একেবারেই মুঘলদের হাতছাড়া হয়ে যায়। মুঘল রাজনীতিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ছিলেন এই নারী।


ছবিঃ সংগৃহীত

সম্রাটের উপর নূরজাহানের অনেক সুপ্রভাবও ছিল। অত্যাধিক মদ্যপানের জন্য সবসময় সমালোচিত সম্রাট জাহাঙ্গীর নূরজাহানের প্রভাবেই মদ খাওয়া কমিয়ে দেন। গরীব-দুঃখী, এতীম ও বিধবাদের প্রতি নূরজাহান সবসময়ই সংবেদনশীল ছিলেন। নূরজাহান অনেক সমৃদ্ধ সাহিত্যবোধ সম্পন্ন পারসিক পরিবারের মেয়ে ছিলেন বিধায় নিজেও কাব্যচর্চায় অনন্য ছিলেন। একইসাথে তার চর্চা করা ঐতিহ্যবাহী পারসিক আতর তৈরির শিল্প, অতি উন্নত অলঙ্কার ও বুনন শিল্প ভারতবর্ষে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুঘল অবদান।

একজন রাজকর্মচারী একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন তার লেখায়। নূর জাহান একদিন রাজপ্রাসাদের বারান্দায় দেখা দিয়েছিলেন। এটি এর আগে পর্যন্ত কেবল পুরুষদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল।

তবে পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে নূর জাহানের এটিই একমাত্র বিদ্রোহ ছিল না।

শিকারে বের হওয়া থেকে শুরু করে নিজের নামে রাজকীয় মূদ্রা এবং রাজকীয় ফরমান জারি, বড় বড় রাজকীয় ভবনের নকশা তৈরি, দরিদ্র নারীদের কল্যাণে ব্যবস্থা গ্রহণ, এরকম নানা কাজে নুর জাহান তার স্বাক্ষর রেখেছেন। যা ছিল সেকালের নারীদের মধ্যে ব্যতিক্রম।

তার স্বামীকে যখন জিম্মি করা হয়, তখন নুর জাহান তাকে রক্ষায় সেনাবাহিনীর অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন, যা তাকে ইতিহাসের পাতায় আর জনমানস চিরদিনের জন্য স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে।

১৬২৭ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পরে নূরজাহান তড়িঘড়ি করে জামাতা শাহরিয়ারকে সম্রাট ঘোষণা করতে চান। কিন্তু তার ভাই আসফ খান নিজ জামাতা খুররমকে সিংহাসনে বসাতে কৌশলে নূরজাহানকে কারাবন্দী করেন। খুররম পথের কাঁটা, নিজ ভাই শাহরিয়ারকে হত্যা করে ‘শাহজাহান’ নাম নিয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন। জীবনের শেষ ১৮টি বছর নূরজাহানের বন্দীদশাতেই কাটে। এই পুরো সময় তিনি রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হয়ে, তার পিতার সমাধিতে দরগাহ তৈরির তদারকি করে ও কাব্যচর্চা করে দিনাতিপাত করেন। এই সমাধিটি বর্তমানে ইতমাদ-উদ-দৌলার সমাধি নামে পরিচিত। যে পারসিক কাব্যটি এ সময় তিনি লিখেন, তার নাম হলো ‘মাখফি’ (গুপ্ত)।

১৬৪৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৬৮ বছর বয়সে নূরজাহান পরপারে পাড়ি জমান। লাহোরের শাহদারা বাগে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সমাধির অদূরেই নূরজাহানের সমাধি। তার কবরের উপরে খচিত আছে,

গরিব গোরে দ্বীপ জেলো না,

ফুল দিও না কেউ ভুলে,

শ্যামা পোকার না পোড়ে পাখ,

দাগা না পায় বুলবুলে।”” (অনুবাদঃ সতেন্দ্র নাথ দত্ত)

কী গভীর দার্শনিক উক্তি! সমাধিক্ষেত্রটি তারই তৈরি করানো ছিল, পঙ্কতিটিও সম্ভবত তারই কাব্য থেকে নেয়া। কাব্য ও দর্শনের কোমলতা ও কাঠিন্যের জটিল সংমিশ্রণ, সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারিনী, সুগভীর কূটনৈতিক জ্ঞানসম্পন্না এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুঘল ইতিহাসে তো বটেই, সমগ্র ভারতবর্ষের ইতিহাসেই স্মরণীয় এক নারী।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত