| 29 মার্চ 2024
Categories
গীতরঙ্গ

খুশবন্ত্ সিং ইজ্ কিং, নো ডাউট | জাহেদ আহমদ

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

“লেখকদের সঙ্গে পরিচয়-যে কাউকে লেখক হওয়ার জন্য আদৌ সাহায্য করে না তা উপলব্ধি করার পূর্বে লেখকদের প্রতি আমার কৈশোরসুলভ পূজা কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। লেখা পুরোপুরি নিঃসঙ্গ এক পেশা, যাতে অন্য কেউ কোনো সাহায্য করতে পারে না। লেখার জগতে গুরু-চ্যালা, মন্ত্রণাদাতা গুরুর মতো সম্পর্কের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। একজন লেখকই তার নিজের মন্ত্রণাদাতা এবং চূড়ান্ত বিচারক।”

খুব বেশি না, আবার একেবারে কমও নয়, সিংজির সঙ্গে আমার পুঞ্জিভূত স্মৃতির আয়তনিক কলেবর। কবেকার সেই কোনকালে মনে নেই, কিন্তু কোন জায়গায় সেইটা জরুর মনে আছে, পড়েছিলাম তার ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’ ও ‘দিল্লি’। দুইটাই উপন্যাস, অটোবায়োগ্র্যাফিক এলিমেন্ট চোলাই দিয়া বানানো তুখোড় বর্ণনাভঙ্গির আখ্যানপুঞ্জ, পড়েছিলাম অনুবাদে। কার অনুবাদ, মনে করতে পারছি না আজ আর ঠিকঠাক, খুব-সম্ভব আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু অথবা শিবব্রত বর্মণ দুইজনের একজন। না, আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুই হবেন। তখন ‘বাংলাবাজার’ নামে একটা দৈনিক পত্রিকা বার হইত, খুব উপকৃত হয়েছি ওই পত্রিকার লিটারারি সাপ্লিমেন্ট পাতাটা দিয়া। ফি-হপ্তায় এই পত্রিকা আরেকটা পাতা বার করত, রবিবারে, সমকালীন স্টলোয়ার্ট ফিগেরাদিগের সাক্ষাৎকারভিত্তিক পাতা। আমাদের বেড়ে-ওঠার দিনগুলিতে এই পাতা-দুইটা, ‘সংবাদ’ সাহিত্যসাময়িকীটাও, খোরাক যুগিয়েছে অনেক।

খুশবন্ত্ সিং পড়া হয়েছে অলমোস্ট সব, সমস্ত, অন্তত তার উপন্যাস-আত্মজীবনী ইত্যাদি। ইরোটিক জেশ্চার আর কন্টেম্পোরারি সেলেব্ পোলিটিশিয়্যান-ব্যুরোক্র্যাটদেরে নিয়া তার ফিকশনগুলো আবর্তিত হওয়ার কারণে, কিংবা তার ইম্প্রেসিভ গদ্যের কারণে, খুশবন্ত্জি একনিঃশ্বাসে পড়া হয়ে যেত। স্রোতের বাইরের অভিমত, কন্ট্রোভার্শ্যালিটি, বিতর্কসঞ্চারক উক্তিনিক্ষেপ ইত্যাদি নানাবিধ ছুঁতোনাতায় সিংজি নিত্য টপ-অফ-দি-টাওয়ার এবং টক্-অফ-দি-কন্টিনেন্ট রইতেন। স্পষ্টভাষী ছিলেন লেখায়, এবং যে-এলাকাটি ছিল তার লেখার উপজীব্য, সেখানে স্পষ্টভাষণা জরুরি ছিল বটে। যেই জিনিশটা আমরা বলি ট্যুয়িস্ট, এইসব কথিত কারিকুরি ছাড়াই তিনি ফিকশন টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। অন্তত আমার সবসময় তা-ই মনে হয়েছে। এই উপমহাদেশের আদিকালিক, তথা ভাগাভাগির সূচনাকালিক, খুপরি-খোঁড়লগুলো তো নখদর্পণেই ছিল তার, লেখায় সেসব এসেছেও, খুশবন্তী ইন্টার্প্রিটেশন সমেত। ফলে লেখা হয়ে উঠত পপকর্নের ন্যায় মুচমুচে, মুখরোচক, আবার আনহেল্দিও বলা যাবে না। তারিফ করতেই হবে তার হিউম্যরের, উইট মেইকিং ক্যাপাবিলিটির, এবং হার্ডকোর-সফ্টকোর মাঝামাঝি দিয়া একটা রাস্তা করে নিতে পেরেছে তার ফিকশন মূলত এই হিউম্যর কোয়ালিটির কারণে।

লেখায় ইরোটিক ইনগ্রেডিয়েন্টস্ এস্তেমাল করা তো মন্দ কিছু না, পাঠক টানতে পারাটা একটা বড় শক্তিরই দিক তো। খুশবন্ত্ শুধু ফিকশনে নয়, এমনকি ননফিকশন্যাল লেখালেখিতে এই ইরোটিকা হামেশা আমদানি করেছেন এবং উপভোগ্যই করতে পেরেছেন রচনা আখেরে। জিন্দেগিভর কলাম লিখেছেন, সেইসব কলাম পড়াও অভিজ্ঞতা একেকটা, পাঠক হিশেবে অ্যাডাল্ট হওয়ার মোক্ষম মওকা আমাদের সময়ে ছিল খুশবন্ত্ পড়া। আমরা একসময় নিয়মিত ‘ঢাকা ক্যুরিয়ার’ কিনেছি দিনের-পর-দিন শুধু খুশবন্ত্ পড়ার লোভে। খুশবন্তের কলাম পড়ে তার মতো আংরেজি লিখতে পারব একদিন, খোয়াব দেখেছি, লিখতে পারি না বলে হাত কামড়েছি। ঠিক সেই সময়েই আরেকজন, ফিকশনে যিনি ফার বেটার দ্যান খুশবন্ত্, আর.কে. নারায়ণ পড়ে এত রসাঢ্য সহজিয়া আংরেজি লিখতে পারার কব্জিকে ঈর্ষা করছি। কিন্তু খুশবন্ত্ পত্রিকাস্তম্ভ/কলামে ছিলেন হাত-খোলতাই। ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের পোলিটিশিয়্যান পরিবারগুলোর বহু হুল্লাবিল্লা-বাতকর্ম তিনি জানতেন এবং ফাঁসও করতেন অবলীলায়। বানাইতেনও নিশ্চয়। ইয়াব্বড় সব প্রতিকৃতিদিগেরে নিয়া রিডিকিউল করতেন অকুতোভয়, সরস, তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপ মিশিয়ে লক্ষ্যভেদী নিশানায়। দুনিয়ার সব জোক্স তো পকেটেই ছিল তার, জোক্স ডিকন্সট্রাক্ট করতেন, জোক্স বানাইতেন জীবন্ত সব ক্যারিকেচারেস্ক জাতীয়-ও-আন্তর্জাতিক-গুরুত্বপূর্ণ মহাক্ষ্যামতাধর ক্যারেক্টারদের নিয়ে। একটা ডার্টি জোক্সের বই আছে বাজারে, এডিটেড বাই খুশবন্ত্ সিং, সেইটা আমি ও আমার বন্ধুরা পাঠপূর্বক প্রভূত ‘উবগার’ পাইয়াছি।

স্বীকার করতেই হবে, খুশবন্তরচনায় একটু নয় বরং বহুল পরিমাণে স্থূল রসের ছড়াছড়ি। কিন্তু রচনায় স্থূলতা তো পঁচানব্বই ভাগ লেখকেরই কারবার। প্রকাশকমোহন স্থূলতার কারবারী কিন্তু কড়ে-গোনা। খুশবন্ত্ ছিলেন অসম্ভব প্রকাশকপ্রিয় লেখক, পাঠকপ্রিয় তো বটেই, ধিক্কৃতও। বহু মিথ চালু আছে বাজারে তার নামে, জোক্সপ্রতিম মিথ সব, একটা এখন মনে পড়ছে। সেইটা হচ্ছে, একবার ইন্ডিয়ান পোস্টাল সার্ভিসের দপ্তরে একটা চিঠি আসে, ওভারসিজ লেটার, অ্যানোনিমাস পত্রপ্রেরক অ্যাড্রেস করেছেন জনৈক ‘দ্য বাস্টার্ড’ মশাইকে এবং ঠিকানার স্থলে কেবল ইন্ডিয়া ভূখণ্ডের ডাকনাম রয়েছে। এই চিঠি তাহলে কার ঘরে যাবে! পোস্টাল সার্ভিসওয়ালারাও কম রসের বাইদা নন, তখন ইন্দিরা গভমেন্ট তখতে আসীন এবং খুশবন্তজির প্রাইম টাইম অফ ক্যারিয়ার অ্যাজ অ্যা প্রোফেশন্যাল নিউজপেপার-এডিটর, রহস্যরসাঢ্য পত্রখানা পাঠিয়ে দেয়া হলো খুশবন্তজির লেটারবক্সে এবং লেফাফা খুলে দেখা গেল পত্র তার ঈপ্সিত প্রাপক খুঁজিয়া পাইয়াছে! এহেন জমকালো সেলেব্রেটি হিশেবে শেষদিন তক কাটিয়েছেন খুশবন্ত্। স্কচ ভালোবাসতেন খুব, বলা বাহুল্য, ও নারীসঙ্গ। রয়্যাল্টি পেতেন প্রভূত, তাতে ভালো ওয়াইনের যোগান ব্যাহত হয় নাই কোনোদিন।

“একজন লেখক হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন? প্রথমত প্রয়োজন প্রবল আবেগ। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রেরণার গতি অর্থ হতে পারবে না (খাবার বা পানের দোকান দিয়ে, পেট্রোল পাম্প বসিয়ে অথবা আইনজীবী বা চিকিৎসকের পেশায় বরং অনেক অর্থ আছে), স্বীকৃতি লাভের বা খ্যাতির আশায়ও নয়; রাজনীতিতে বা চলচ্চিত্রে এটি সহজতর। আসল ব্যাপার হচ্ছে, অধিকাংশ লেখকের পরিষ্কার ধারণা নেই যে, ভিতর থেকে এক ধরনের চেতনা তাদেরকে বাধ্য করার ব্যাপারটি ছাড়া কেন তারা লেখাকে পেশা হিশেবে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে তারা যখন উপলব্ধিতে সক্ষম হয় যে, প্রকৃত লেখক হওয়ার চাইতে লেখক হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করা কঠিন ব্যাপার। বারবার এ-চেতনা সৃষ্টি হয়, কেউ কেউ চেতনায় সাড়া দিয়ে ছোটগল্প লেখে, পরাজয় বরণ করার আগে তাদের ছোটগল্প বা উপন্যাসের কিছুটা লিখা হয়ে যায় এবং শেষ-পর্যন্ত মেনে নেয় যে, লেখক হওয়ার যোগ্যতা তাদের নেই। অতি স্পর্শকাতর লোকজনের মধ্যে মোটামুটিভাবে কবিতার একটি তহবিল থাকে, যা তাদের বয়ঃসন্ধিকালের বছরগুলোতে বের হয়ে আসে। পরবর্তী বছরগুলোতে এগুলো বিলীন হয়ে যায়। গদ্য লেখা অনেক কঠিন। এজন্যে ক্ল্যাসিক্যাল এবং আধুনিক সাহিত্যের উপর প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। শব্দের উপর দখল থাকতে হয় এবং কাজটি শেষ হওয়া পর্যন্ত মানসিক শক্তি ঠিক রাখতে হয়। সংক্ষেপে, অবিচলিত থাকার সামর্থ্য, প্রয়োজনে শাদা কাগজ সামনে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ধৈর্য্য এবং কাগজটি লেখা দ্বারা পূর্ণ হওয়ার পূর্বে না-উঠার দৃঢ় সঙ্কল্প থাকা জরুরি। যা দিয়ে কাগজ পূর্ণ হবে তা সম্ভবত বাজে হবে, কিন্তু ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলা কার্যকর প্রমাণিত হবে। শিগগির লেখার মান উন্নত হবে। শিগগির একজন লেখকের উত্তম চিন্তাগুলো বের হয়ে আসতে থাকবে। আমার বিশ্বাস দিনপঞ্জী লিখা খুব উপকারী অভিজ্ঞতা। বন্ধুদের কাছে দীর্ঘ চিঠি লিখাও ভালো অভ্যাস। সংবাদপত্রের জন্যে নিয়মিত কলাম লিখা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করা ভালো শৃঙ্খলার শিক্ষা। কিছুদিনের জন্যে লেখা ছেড়ে দেওয়া এবং আবার শুরু করা কিছুটা বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়।”

শেষের দিকে লেখালেখি থেকে একেবারে ঘোষণা দিয়েই তো রিটায়ার করেছিলেন। সর্বশেষ পড়েছি তার ‘কোম্প্যানি অফ উওম্যান’, নাকি এই ‘ট্রুথ, ল্যভ অ্যান্ড্ অ্যা লিটল ম্যালিস্’, দুইটা প্রায় কাছাকাছি কালেই। সিংজি বেইড অ্যাডিয়্যু অ্যাট হিজ নাইন্টিনাইন। অঘটনঘটনপটু, অল্পের জন্য সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া হইল, মুচকি হাসবেন সিংজি নির্ঘাৎ এই নিয়া। বলা যায় না, প্রেডিক্ট করা মুশকিল উনারে, স্বর্গে কি নরকে যেয়ে এরই মধ্যে কি-না-কি মিচকি বদমায়েশী কমেন্ট করে দেবদূতীদেরে চটিয়ে সেরেছেন!

“লেখালেখির জগতে বিনয় ও নম্রতার স্থান কমই আছে। ভারতীয় লেখকরা যেহেতু ইউরোপীয়দের চাইতে কম মার্জিত, সেজন্যে তারা আত্মপ্রশংসাকে নোংরামি বলে বিবেচনা করে না। আঞ্চলিক ভাষার লেখকরা তাদের কৃতিত্ব সম্পর্কে যেচে আত্মপ্রশংসায় অবতীর্ণ হন। উর্দু ভাষার সেরা কবি গালিব অন্য কবিদের প্রশংসা করতেন, কিন্তু তার বাক্যরীতি ও চিন্তার গভীরতা তাকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী রেখেছিল।”

তো, সিং ইজ্ কিং, নো ডাউট, খুশবন্ত্ সিং আমাকে অনেক-অনেকদিন সঙ্গ দিয়েছেন। দারুণ উপভোগও করেছি তাকে একটা সময় পর্যন্ত। সদগতি হোক তার রচনারাজির। এইখানে ব্যবহৃত কোটেশনত্রয় আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু বঙ্গানুবাদিত খুশবন্তজির ‘ট্রুথ, ল্যভ অ্যান্ড্ অ্যা লিটল ম্যালিস্’ হইতে উৎকলিত। বইটা বাংলায় বাইর হয়েছে দেখছি ঢাকাস্থ ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে, ২০০২ ইসায়িতে, ৩৯৯ পৃষ্ঠার বিরাটবপু বইটা পড়তে শুরু করলে পেটমোটা ব্যাপারটা আর মনেই থাকে না। ‘আত্মজীবনী লিখার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা’ চ্যাপ্টার দিয়া আরম্ভ হয়েছে বই, বিকাশ ও পড়াশোনা ইত্যাদি নিয়া আরও গোটা-চার চ্যাপ্টার, সমস্তই দীর্ঘ কলেবর এবং উপভোগ্য ঘটনা আর বর্ণনার বিভূতিতে ভরা। ‘লাহোর, দেশ-বিভাগ এবং স্বাধীনতা’ নামে একটা চ্যাপ্টার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বয়ানের অংশ, রয়েছে যেমন ‘শিখ ধর্ম ও ইতিহাস’ শীর্ষক একটা পার্ট, রয়েছে ‘গান্ধী ও আনন্দ্ পরিবারের সঙ্গে’ চ্যাপ্টারটাও। গোটা আশির দশকে সিং সম্পাদক হিশেবে ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পত্রিকাগুলোর কয়েকটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন একে একে। সেই সময়ের উত্তাল হাওয়া পাওয়া যায় ‘বোম্বে, দি ইলাস্ট্রেটেড উইক্লি অফ ইন্ডিয়া এবং অতঃপর’ নামের রচনাভাগে। যেমন আছে আরও ‘১৯৮০-৮৬, পার্লামেন্ট এবং হিন্দুস্তান টাইমস’ পর্ব। রয়েছে ‘পাকিস্তান’ শীর্ষনামে একটা আস্ত রচনা। সিংজির জন্ম অবিভক্ত পাঞ্জাবে, যেই অংশটা পাকিস্তানের ভাগে যায়। পরিণত বয়সে সিংজি গিয়েছিলেন জন্মভিটায় এবং উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে ফিরেছেন তার জন্মদেশের মানুষের, এসবের বিবরণ আমরা দৈনিক পত্রিকায় নিউজ হিশেবে পড়েছি সচিত্র, বইয়ের ভিতরেও খুশবন্তজির স্বভাবজাত আবেগময় বিবরণ ধরা আছে।

অ্যানিওয়ে। আমরা ফার্স্ট প্রিন্ট হাতে নিয়া আলাপ চালিয়েছি এতক্ষণ। দুই-দশক আগের বই এখনও পাওয়া যায় কি না, নাকি নিউ সংস্করণ কিছু হয়েছে, জানা নাই। কিন্তু পয়লা প্রকাশের বইটা গাত্রমূল্যে তিনশআশি টাকা ধার্য দেখতে পাচ্ছি। ইদানীং কোনো এডিশন/রিপ্রিন্ট বাজারে অ্যাভেইলেবল থাকলে সেইটা দামদস্তুরে আগের চেয়ে ঢের মেহেঙ্গা হবে, সস্তে যে হবে না তা তো চোখবন্ধ বলেই দেয়া যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত