| 18 এপ্রিল 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

একমুঠো গীতা চট্টোপাধ্যায়

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

 

চিঠি, ১৩৩৭

 

বাবা আমার গানের খাতা হারিয়ে গেছে সারা জীবন
সেই যে তুমি উথাল গঙ্গা পারাপারে শিখিয়েছিলে
‘অমল ধবল’ বাবা আমার এস্রাজে ছড় হারিয়ে গেছে।

মাকে আমার কিচ্ছু মনে পড়ে না, মা ছেলেবেলার
গল্পে শুধু রাঙাপাড়ের ঘোমটা টেনে জ্বরের ঘোরে
ভাইকে নিয়ে খাটের থেকে রাত নিশুতি চলে গেল।

সেইখানে তো গল্প শুরু তোমার সঙ্গে বাবা আমার
রাত্তিরে ঘুম ভেঙে গেলেই মুখের দিকে চেয়ে আছ
সেই যে তুমি হাঁটতে শেখার সঙ্গে সঙ্গী করে নিলে
সেই যে তুমি বিশ্বকোষে হাত ধরিয়ে ঘুরিয়েছিলে
সেই যে তুমি দার্জিলিংয়ে ঘোড়ায় চড়তে শিখিয়ে দিলে
উথাল গঙ্গা পারাপারে অমল ধবল বাবা আমার!

কিচ্ছু আমার মিলছে না যে তারই সঙ্গে মিলছে না গো
বেগনি বেনারসির ঘোমটা চারদিকে সব রাত নেমেছে
এরা জানলা খোলে না ভয় ঠাণ্ডা লাগতে পারে ‘খোকার’
তাবিজ কবজ ভারাক্রান্ত ঢুকেছি কোন বন্ধ বাড়ি!

প্রবল দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী একটি পুরুষ আরেক নারী
আমার ভাগ্যবিধাতারও ভাগ্য নিয়ে খেলেন পাশা,
এঁরা পারেন বশীকরণ মন্ত্র-সিঁদুর জটিবড়ি
আমাকে সব কেমন চোখে দেখেন, আমি কী করেছি!

ঠারাঠারি ফিসফিসিয়ে বিষমাখানো নিচু গলায়:
‘আমার যেমন হয়েছে তোর হবে না কি তাই, ভেবেছিস?’—
চারদিকে এই কী সব হাওয়া, শ্বাস নিতে খুব ছটফটিয়ে
বুকের মধ্যে গানের আকাশ হারিয়ে গেল বাবা আমার।

 

 

পিপীলিকা ও তৃণকীট

‘হে ঘাসের পোকা, তুমি সমস্ত শরৎকাল কি করে কাটালে?’

‘আলস্য করিনি আমি অবিশ্রাম গান গেয়ে কাটিয়েছি বেলা !’

‘তাহলে এবার শীত কেবল নৃত্যের তালে কাটালেই পারো …’

বিষয়ী, তোমার ওই উপদেশ মনে থাকে, তবুও থাকে না ।

চারিদিকে শরবন প্যারিসের অপেরার কুহকনিশ্বাস

বাতিগুলি শনশন উচ্ছ্বসিত করতালি রাতভর ওড়ে

নদীর ভিতরে গান অর্কেষ্ট্রার অতি মৃদু চাবি খুলে যায়

বিরাট ব্যাঞ্জোর খাদ পাহাড়ের নির্জনতা গোধুলি গড়ানো

এই শাদা ফেনাময় দেহ নিয়ে শরতের বাতাসের ভেসেছি

অনায়াস ভঙ্গিমায় কী যে শ্রম ছিল এক পাভলোভা জানেন

পদাঙ্গুলি ‘পরে দেহ বিন্যস্ত যৌবনভার নিরালম্ব স্থির !

বসে আছো তুমি সঙ্গী নতজানু, তুলে দুটি অস্পষ্ট অধর,

আমার কোমরবন্ধে শুধু মৃদু কাতরতা স্পর্শের পুলক-

বাকী সব দেহ নিয়ে দেহের আক্ষেপ নিয়ে রাজহংসী নাচে

পাভলোভা জানেন সারা শরতের রৌদ্রদিন আলস্যে রাখিনি ।

পিয়াৎসা ফোয়ারা তবু ঝরে ঝরে একদিন ফুরোবে সময়

করুণ বেহালা ঠেকে নাট্যশেষে আবহের, রাজহংসী শোনে,

বাঁকা ঘাড়ে পড়ে তার নির্সগের শেষ জ্যোৎস্না মায়াবী বিক্ষেপে

জটিল ধ্রুপদী মুদ্রা শীত এসে কেড়ে নেবে সর্বাঙ্গসুন্দর

সঙ্গীর হাতের থেকে ক্ষীন কটি আনন্দের অনিদ্র মুদ্রণ।

মুমুর্ষ হংসীর ডানা একবার প্রসারিত ঝরেছে পালক

বাগানে পপির দৃশ্যে শরতের সমারোহ শেষ বিন্দু শোক ।

বিষয়ী, তোমার ওই উপদেশ তবু মনে থাকে না শিল্পীর,

এই শরতের মধ্যে রাজহংসী নেচে যায়, জাগো শরবন ।

 

 

 

পূর্বমেঘে উত্তরমেঘে

চলো আজ চলে যাই নির্বিন্ধ্যার তরল কল্লোলে

বেত্রবতী কতদূর? বলাকারা উড়ে গেল বুঝি !

কেতকীর লোধ্ররেণু বনিতার ললিত কপোলে,

শিপ্রায় তাদের মুখ পান্ডুচ্ছায় উপবনে খুঁজি ।

বিসকিশলয় মুখে বলাকারা আজ পথ ভোলে,

সানুমান আম্রকূটে প্রেক্ষণীর বপ্রক্রীড়া রুচি,

হরিৎ-কপিশ নীপ পুলকিত পূরবৈঁয়া দোলে,

গ্রামচৈত্যে যুথিজাল-গন্ধবতী পাদরাগে শুচি।

কুটজ কুসুমে আজ মেঘদূত পাঠাবো না তবে,

শুধু দেখে চলে যাবো গোপবেশ বিষ্ণুর ময়ূখ,

রুদ্ধালোক রাজপথে কনক-নিকষা সৌদামিনী ।

ভবন-শিখীর দল জাগাবো না কলহাস্যরবে;

বিদিশায় নিশিক্লান্ত সুপ্ত সব গৃহবলিভুক-

কেশসংস্কার-ধূপে কবেকার স্মৃতি উজ্জয়িনী ।

সরস্বতী হয়ে মুছি ব্রহ্মাবর্ত – বিক্ষত আহবে;

রত্নচ্ছায়-দেবালয়ে সন্ধ্যারাগে মহাকাল-মূখ

দেখে যাবো- গম্ভীরায় জীবনের বিশীর্না তটিনী ;

তখন পড়ে কি মনে দূর অলকার সীমন্তনী ?

 

 

 

কোকিল ও চন্দরা

অষ্টাদশ বসন্তের ছায়াপথে একক কোকিল

জ্যোৎস্না বা তাপের দিনে ডেকে যায় যাদের জীবনে,

তারাজানে সঙ্গিহীন প্রতীক্ষার নিরালা অঙ্গনে

বড়ো আপনার কেউ বসে আছে; অদৃশ্য অনিল

সেখানে ঝিলের জলে মহুয়ার পরাগে সমিল ।

সুন্দর পরায় মালা, বৃথা প্রয়োজনে আভরণে ;

কোকিল বিতৃষ্ণ যদি পৃথিবীর শ্লথ আবরণে,

চন্দরা অন্তরা মেয়ে, ডুব দে রে- নিষণ্ণ নিখিল !

আজ কেন দ্বারে এসে ডেকে গেল কোকিলের স্বর,

মধ্যাহ্ন অলস চূড়ে চূর্ণ হলো মদির মলয়,

গৌরীচাঁপা নদী আর চন্দরার চকিত নূপূর

নিষন্ন নিখিলে যেন কার শব্দে হয়েছে মূখর ।

ও পোড়া পরাণ, তুই ধিকি ধিকি সূর্যের বলয়,

কোথায় ঢাকি যে তোকে মধ্যরোদে অসহ্য ত্রিচূড় !

ও নষ্ট কোকিল, তোর এখানে কি খুইয়ে স্বঘর?

কাঁচের আকাশের ঝিলে বাঁধালি রে কী খন্ড প্রলয় !

অষ্টাদশ বসন্তের খরতাপে কোকিলের সুর

বড়ই নিদয়া কার কথা দিয়ে ভরেছে দুপুর ।

 

 

 

গুহালিপি

গুহার দুধারে সাদা হরিণের স্বদেশ স্বরাজ ;

দেবদারু ছায়াসিক্ত গিরিপথে মৃদু শিলাজতু,

এখানে যজ্ঞের ভাগ ফেলে গেছে তৃপ্ত শতক্রতু –

উদ্বৃত্ত স্বর্ণের ভারে আনমিত শস্যের সমাজ ।

গুহার ভিতরে যজ্ঞ গন্ধর্বের সূক্ষ কারুকাজ ;

সুতনুকা দেবদাসী, বারাণসী জনপদবধূ,

একাদশতনু আর অত নুর ধনুর বেপথু,

প্রকোষ্ঠের রন্ধ্রপথে কিশোর, কিন্নর,নটরাজ ।

পর্বতে এখনো আলো, বনে বনে ঘন অন্ধকার,

গুহাচিত্র স্পর্শ করে নক্ষত্রমালিনী নিশীথিনী –

বাসনা বিজয় আর বৈরাগ্যের সমাধিভবন ।

কন্দর্পদীপকে ম্লান মদনের নব-উজ্জীবন ,

চারুলোভী দানবের শিবিরে ইন্দ্রের অনীকিনী ,

একাকী পিনাকী তাঁর বুকে বিণ্ণ অনাদি ওঙ্কার !

প্রতিহত মহাদ্রুমে সারসের নিশীথ ক্রেংকার,

মৃগের বিহারভূমি পরিপ্লুত মূল প্রসবিনী ।

হৃদয়ের গুহালিপি সিক্ত করে সজল পবন –

নটরাজ নৃত্য করে, অস্তধূমে অনাথ গগন !

 

 

 

লোডশেডিং

কোথায় যে বেজে যায়  ওই এক ফোন অন্ধকারে

এ টেবিল থেকে আরো টেবিলে, টেবিল ঘুরে ফিরে

এই কাছে ওই দূরে আরো দূরে দূরে কতক্ষণ

অন্ধকার ঘরে একা বেজে চলে সেই এক ফোন ।

পাশ ঘেঁষে উড়ে যায় পর্দার দূরন্ত নীল পাল

নক্ষত্রের মতো ওড়ে বইয়ের অজস্র ঝোড়ো পাতা

ফুলে ফেঁপে পাটাতনে  মশারির তরঙ্গ তুফান

কোথায় ভেড়াবে বলো এ-ক্লান্ত নাবিক পোতযান ।

ফুলদানি থেকে ফুল ঝরে গেছে, দ্বীপের সবুজ,

রেডিয়াম ডায়ালের সঙ্গে খসে পড়েছে কম্পাস

কোথাও জীবন নেই আলবাট্রস পাখির মতন ,

চিহ্নহারা অন্ধকারে নিশীথে তোমার ওই ফোন ।

 

 

 

কর্তার ঘোড়া দেখে রাসসুন্দরী

উঠোনে ধানের রাশি খেয়ে যায় মহিমায় ঘোড়া

কর্তার ঘোড়ার সামনে কী করে বা যেতে পারে নারী

যদি দেখে ফেলে সেই ঘোড়ার ভিতরে অধিকারী

অবাধ আলোয় দেহ এক-উঠোন ধানের সন্তোষে ?

আমি যে দেখি নি তাঁকে কখনো রৌদ্রের দুঃসাহসে !

স্তিমিত রাত্রির খাটে ঘনবর্ষা পিছল দর্শন –

জোনাকিকাঁটার খোঁপা, শেষ আলো, তাও নির্বাপণ !

ঝিঁঝির অস্পষ্ট দেহ শব্দময় হবে কত আর

কোরা শাড়িটির সুখ আতরের লজ্জায় মরেছে ।

আলপনার গন্ডিটানা সেই এক আড়-অন্ধকার

পালঙ্গে পরম শুয়ে, রুপোর জাঁতিটি রাঙাধুতি

প্রথম দিনের মতো শুধু এক ধূসর আকুতি

ঘোমটার মায়াবী সুতো ধরে যা রেখেছে পোড়াচোখ …

বকুলফুলেরা জানে, দেখনহাসিরা সব জানে,

কখনো দেখি নি তাঁকে হাওয়ার নির্ভীক অকল্যাণে

এমন স্বচ্চন্দ আর অবাধ ঘোমটার পরপারে

নিলাজ নয়নে মেলে এক-উঠোন ধানের সংসারে ।

নষ্ট মধ্যাহ্নের বেলা রাশিরাশি ধানে যায় ভেসে

কর্তার প্রতিভূ ঘোড়া আঙিনার দুয়ার আটকিয়ে

দাঁড়িয়েছে সব ঢেকে তেরশো পাঁচের বাঙলাদেশে ।

 

 

 

ওষধিষু বনস্পতিষু

কি দেবে বৃক্ষ তুমি, তপঃসিদ্ধ আরো কোন আলো ?-

তোমার শিকড়ে ধারা প্রবাহিত নীল সিন্ধুনদ,

শিকারী হর্ষক্ষ মৃগ বৃকোদর শ্বেতাশ্ব দ্বিরদ,

সে স্রোতে এসেছে ভেসে ভিক্ষুক সন্ন্যাসী লোকপালও ।

রঙ্গন, নিবিড়তর রমনীর সংবিৎ রাঙালো

তোমার শোণিত রঙ রাত্রিজলে গাঢ় কোকনদ ;

গাঢ়তর গাত্রবাসে সঙ্ঘবাসী অনাথপিন্ডদ ,

‘আরো কোন আলো দেবে ?’- তপঃসিদ্ধ বৃক্ষকে শুধালো ।

অগ্নিহোমে-দ্যুতিময় সন্ধ্যামেঘে সায়ং-আহ্নিক

উজ্জ্বল ধ্যানের স্পর্শে সমাহিত শাখাগুলি ঋজু,

জ্যোতির্ময় সপ্তর্ষির আলোহিত আলোর আচমন ।

সংজ্ঞা থেকে বোধি থেকে কিছু শস্য করি আহরণ,

মেদমধ্য উপাস্থির অতিগূঢ় উপাদান কিছু,

সংগ্রহ করেছি শেষে পত্রমূলে বিনীত বার্নিক ।

সায়ন্তন বেদনায়- অথচ প্রশান্ত কারুণিক

বলেছেন, নত হও, এখানে নিশ্বাস করো নিচু !

শিল্পীর মুখের দাগে ভাঁজে ভাঁজে আত্মসংবরণ

এবং বৃক্ষের খাঁজে ‘ক্রমশ হওয়া’র উত্তরণ ।

 

 

 

 

অক্ষৌ নৌ মধুসংকাশে অনীকং নৌ সমঞ্জনম

ঝরনায় স্নান সেরে উঠলেন তরুন ঈশ্বর ।

বুকে রৌদ্র ক্ষৌমবাস, রজতাভ্র স্ফুরিতকুন্ডলে,

বামবাহু পুষ্পধারা,সুদক্ষিণ দৃঢ় আখন্ডলে –

অর্জুন ন্যগ্রোধ শালে শোভমান সমুচ্চ ভূধর ।

শিলায় শিলায় শুভ্র উৎসধারা স্ফটিক নির্ঝর

স্খলিত অঞ্জলিপুটে- অকস্মাৎ দেখেন শৈবলে

অঘন পিশুনবস্ত্রে আদিনারী লোহিত উপলে

ধীরন্যাসে উঠে আসে সপ্তসিন্ধু মথিত মকর !

কেশপাশে শীকরিত  সমুদ্রের আদিম মৌক্তিক,

মরকত তারকায় ইতস্তত বিজলী বিচ্যুত,

আগুলফ ব্রীড়ার ভারে নতোন্নত দ্রাক্ষার উদগম ।

আসিক্ত উল্লাসে গূঢ় সঞ্চরণে মায়া-কুরঙ্গম

বনান্ত ছায়ায় যেন বাপীতটে করেছে আপ্লুত

বিপ্রলব্ধ মৃগাজীব, সমরান্ত কাতর কৌন্তিক।

বায়ুলুব্ধ কম্প্রকেশে কৌতুহলে তাই অযৌক্তিক

ঈশ্বর আঘ্রাণ-তৃপ্ত, উল্লসিত পানে অভিযুত ।

সপ্তসিন্ধু আম্রেড়িত, আলোড়িত বাসনা-সংক্রম-

আন্দোলিতা আদিনারী,আমোদিত ডমরুমধ্যম ।

 

 

 

 তস্য ভাষা সর্বমিদং বিভাতি

তাঁর চরণের নীচে বসলাম নতজানু হয়ে ।

অজাতশত্রুর সেই পাদনখে বিনষ্ট অসূয়া ,

অঘমর্ষণের তটে পূত-শীলা গঙ্গাধারা ক্ষয়ে

করেছে দুখানি পদ অপরূপ নিবিড় গেরুয়া ।

শ্রাবণের হংসশ্রেনী মেঘের আবাসে রয়ে রয়ে

যেমন হ্রদের জলে রূপদক্ষ রঙের পটুয়া –

তেমনি রসের স্রোতে তুলিকায় ব্যথা বুকে বয়ে

তাঁর ইচ্ছা রক্তে রাখি নিগূঢ় আনন্দ চারুচুয়া ।

আমি কি শব্দের ঘ্রাণ কস্তুরীমৃগের মতো পাই!

নশ্বর বিশ্বের বুকে আমার বেদনা ধূপছায়া-

তিনি কি জানেন আমি তাঁর প্রেমে এমন বাতুল?

চন্দনদ্বীপের পথে চলে যেতে ভেঙেছে মাস্তুল ,

কালোজলে ফেনায়িত কবেকার কালিয়ের কায়া,

তবু স্থির পরিবেশে বয়ে যায় অন্তরে আত্রাই ।

কোথায় হরিণ নাচে, নিরীহসুন্দর নীলগাই-

শব্দের কিরণে ভাসে মানুষ-মানুষী, পরীমায়া !

পৃথিবী পুষ্পিত হয়, পূর্ণচাঁদ ক্রমশ রাতুল,

তার নামে ফুল্ল প্রেম, প্রেমিকের হৃদয় বকুল ।

 

 

 

নীলকন্ঠ পাখির পালক 

নন্দিনী ।… আমার জানলার সামনে ডালিমের ডালে রোজ নীলকন্ঠ পাখি
এসে বসে। আমি সন্ধে হলেই ধ্রুবতারাকে প্রণাম করে
বলি, ওর ডানার একটি পালক আমার ঘরে এসে যদি উড়ে
পড়ে তো জানবো, আমার রঞ্জন আসবে।- রক্তকরবী

যদি বলি আমি পালক কুড়োবো বলে
কবে যেন সেই যাত্রা করেছি শুরু
তুমি কি সেই কথা বিশ্বাস করবে না
অপরে না হয় তুলেছে তুলুক ভুরু।

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত