আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
ভায়োলিন ও ভায়োলেন্স
ভাঙা দালানের পাখি আমাকে অভিশাপ দেয়
বাসা খুঁজে পাচ্ছে না পিঁপড়েরা।
সমস্ত জীবন ধরে আমি খুঁজবো
তোমাকে
গোপনে নাচ দেখি।
ভায়োলিন ও ভায়োলেন্স দিয়ে ভরে ওঠা
সেমিনার
সম্প্রতি খুব কমা ব্যবহার করছি।
সুপুরির হাটে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সেই ডানকান
সাহেব
টিলা থেকে গড়িয়ে নামা গান
বন্যায় ভেসে যাওয়া চিঠিগুলি
মশালের আলোর নিচে সার সার দাঁড়িয়ে পড়েন
শিকারিরা
এই পরনিন্দার দেশ
এই পতিনিন্দার দেশ
আর মধু ও রুটির খোঁজে
ব্যাপারীরা।
পুঁথি
একদিন কফি খেতে চলে যাবো ডায়নার
জঙ্গলে
এগারো লক্ষ পাখির ছায়ায় ঢাকা পড়বে
আমাদের খেত ও মাঠ
এই দশ নদী বিশ ফরেষ্টের পরিধিতে একটু
আদর রেখে এসো
পাহাড়ে উঠে যাচ্ছে হাঁসেরা।
অপরূপ হ্যারিকেনের পাশে পুঁথি পড়ছে
কেউ
সাদা কালো ছবি
সাদা কালো ছবিগুলি ফিরে আসছে
হলুদ রঙের বাড়ি।
সিঁড়িতে জোড়া খড়মের
নষ্টালজিয়া
অপমান মনে রাখতে নেই।
তুমি হারিয়ে যাবার পর সতেরো মাস কেটে
গেল
নৌকোর মাঝিকে এখন তোমার গল্প শোনাই
তোমার বাদামী চুলে ছায়া
খুঁজেছিলাম
তোমার আঙুলের উপর পেতে রেখেছিলাম
রেললাইন
গাছের কোটরে পাখি।
এ জীবন সাজঘর।আর পুতুলের ঠোঁটে
শিস।
জন্ম ১৯৭০, ০৩ জানুয়ারি. নয়ের দশকে লিখতে আসা এ কবি উত্তরের লোকজীবনের সাথে জড়িয়ে আছেন তীব্র ভাবে. ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে কবিতা, গদ্য সহ বিভিন্ন ধারায় অনায়াস যাতায়াত করেছেন. বাংলা ভাষার প্রায় সব কাগজে নিয়মিত লেখালিখি করেছেন, করছেন. ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতাবই প্রকাশিত হয় কবিতা পাক্ষিক থেকে. গুরুত্বপূর্ণ কবিতা ও গদ্যের বইগুলো- ধানবাড়ি গানবাড়ি, মাহুত বন্ধু রে, নির্বাচিত কবিতা, বিবাহ বাজনা, নাচঘর, উত্তরজনপদবৃত্তান্ত, মাতব্বর বৃত্তান্ত, ভাঙা সেতুর গান. পেশায় শিক্ষক এ কবি ভালোবাসেন রবিশস্যের খামার বাড়ি, সাদা ঘোড়া আর যৌথ যাপনে চাঁদের আলোয় কবিতা আড্ডা, লোকগানের আমেজ।