পাশে বসে রবীন্দ্রনাথ

Reading Time: < 1 minute

 

আমার কাছে সব সময়ই মাছেদের বাদ্যকার মনে হয়েছে যার ভিতর স্পষ্ট খেলা করে তরঙ্গ, শুধু এক গোধূলি আমাকে টানে, এক পাশে বসে রবীন্দ্রনাথ যেনো সুরের ওপর সুর বসিয়ে বুঝতে চাচ্ছেন গৃহে আলো-আধারের ভূমিকা, স্বপ্ন ও সুরভিত ফুল খোঁপা ঘুরে নামছে হৃদয়ে কারো! আর এক পাশে, কচুরিপানা নড়ে ওঠে, শোল কি মৃগেলের ঘাই; যে দিন কান্নার পরে অজস্র প্রেম ফিরে পায় গানের আশ্রয়, যে মুখরিত চোখে ঠাঁই পায় কৃপাহীন ঘামের ভিতর হতে ভাসমান শ্রমজীবী, সেখানে ও সেই অন্তরীক্ষতলে জড়ো হলো তিতিরবাক্যের যতি ও যাপন দ্রোহের রোদ!

হয়তো আরেকটু সময় পেলে স্তুতিবাণীর নিচে কালো এক ফণীধর জেগে ওঠে, আরেকটা সাইরেন শেষে কারাগারে শোর ওঠে, মানুষের সইতে হয়েছে গ্লানি, যেটুকু পরিচয় আছে তার বেশি অনুনয় থাকে করুণা সমীপে, ভস্মও বিধুর বদনে ওড়ে দেহগুণ ভুলে গিয়ে শেষে।

আমার কাছে আয়োজন লাগে এই ধ্বনিব্যাঞ্জনা-
কি যে চুরমার করে হাওয়া, নিশিপাওয়া মানুষেরা
হাঁক ছাড়ে, ডাকে, অন্ধকার উহ্য রেখে মাথা তোলে সব ঘাস, গুঞ্জন করে, ছাদের রেলিঙে গিয়ে বসে নিশ্চুপ কপোতাক্ষের রোদ!

২৫শে বৈশাখ, ১৪২৬

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>