এই যে ভূগোল, অতিসুন্দর! ক্লাশের পেছন থেকে দেখতে
বিবাহিত শিক্ষয়িত্রীর গলায় দ’মগ্ন, বর্ণমালা একী!
নেই কোনো প্রসাধন যার বাহিরে, ভেতরে একরোখা আলো
হ্যাঁ, ভূগোল ক্লাশে থাকে রহস্য টিলা, দুটি অক্ষরের কোমলভারা দুঃখ
ঊরুসন্ধির বারান্দায় আমি ফেল করা ছাত্র এক, আর
বন্ধুরা লুকিয়ে তাকিয়ে থেকে থেকে আলোতে গেছে মারা,
পালিত লাশের উজ্জ্বলতায় অন্ধ কে তবে ভাসি, সে আমিই
খ.
কীভাবে শরৎ চলে যায় দূর দেশ, এই কাশবন বেশ আনাড়ি
ক্লাশের ভেতর উড়ে কাশ, কামনায় ঘোর-শাড়ি ব্রীড়াবনত বুকে
মন তো বহুদিন ফিরে না বাড়ি, বলি, ‘কেমন আছেন আপি?
রুমালে তুলে রেখেছি ময়শ্চারাইজার আপনারই’
গ.
ও’আপি, এক দুরন্ত গল্প বর্ণমালায় দেখেছি, আর
ইশ্কুলের পেছনে এই যে বনানী তার হাতছানি, কাউকে বলিনি’
নির্ঘুম রাত গেছে গুপ্ত-নদীতে মিশে, নগ্নসোতলিপি
অথবা ভেতরের ঘনপাঠ চিহ্ন-ইমেজগুলি পকেটে রেখেছি
ঘ.
প্রতিবার পড়ি মোহন ভূগোল, দুটি মহাদেশের আলোভারা এক ভুল,
বুকে বিঁধে অনশ্বর শূন্যতা, এই অসুখ বুঝি শিল্পফুল
ঙ.
নিজেই নিজেকে করি পাঠ, শেষ বেঞ্চিতে বসে দিই শিস;
ইশ্কুল যে আমার বাড়ির পাশেই, আলোতে লিখি ঢালো নিচু ক্লাশেই;
বর্ণ-শব্দ-অক্ষর-বাক্যের সিগনিফিয়ার কাম ও আসক্তি
চ.
আপি, রোজ আপনার দুটি গোপন-ভূগোল খুলে পড়ি