তিন কবির কবিতা



– শিশির ভেজা কলাপাতায় সূর্য ছোঁয়া রঙ এনে দিবি ?
– দিতেই পারি, তবে গরল রঙা নীল সমুদ্রে তাকে ভাসিয়ে নিবি ?
– তোর নীলে কি শুধুই বিষ ? আশমানী রঙ, অপরাজিতা নীল ?
নিদেন পক্ষে অধরা নীলকমল ? পরে না চোখে ?
– বা রে ! এতো সবার চোখেই পড়ে…তোর তুলিতে চাইব কেন তাকে?
– চাই ! চাই ! চাই ! অধিকারে দম বন্ধ ফাঁসির দড়ির শব্দ এরা।
– মুক্তি কি তুই সত্যিই চাস ? আসলে তুই চাস ঘুড়ির মতো উড়তে পারা।
– কথার প্যাঁচে বাঁধবি আমায় ?
– ধুত তাড়ি ছাই ! বাঁধতে তোকে কে চায় ? নে ! এই তো ছাড়লাম আকাশ জুড়ে।
বেড়া উড়ে …আমার হাতে শুধুই লাটাই…
– ফুরোও যদি সুতো ? অথবা কাড়ে যদি কেউ অন্য কোনো পথে ?
– সুতো কোথায়? বিনি সুতোয় টান… শুধু লাটাই আমার হাতে।
– এসব যত ভুল কথারা তোর শব্দেই আসে।
– রঙের কারবারি হে, শুধরে নেওয়া রেখা গুলো সব তোরই ক্যানভাসে।
– তোর শুধুই রঙীন হওয়ার সখ ! তুলির রঙে আসা কি, অতই সহজ কথা ?
– উঁহু! ওই রঙেই তুই আমায় আড়াল করে রাখিস। চিনতে মস্ত ফাঁকি। সাদা পাতা…
– আমায় চিনতে পারিস আদৌ কি তুই ? জানিস কি ? আমার তুলির প্রতিটা রঙের মানে ?
– তোর রোবট হৃদয় ভাঙতে পারে, কেবল তোরই আবেগ ভারে।
এই গোপন কথা রঙের সাথে তোর নিত্য আলাপনে।

