আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
তমালবনে দুপুর
তমালবনে ফুটে উঠেছে দুপুর
তোমার কপালে একটা লাল বা কালো টিপের মতো সেই দুপুরের নিনাদ
কোলাহল থেমে গিয়ে হয়ে গেছে মৃদু গুঞ্জন।
চেয়ে আছি নিঃশব্দে— পাতার নৌকো বানিয়েছি; রাজহাঁসের পিঠে চড়িয়ে ছেড়ে দিলাম বৃষ্টির প্লাবনে।
তোমার পথে ধূলো জমে আছে— চুপিচুপি পা ফেলো, তোমার পায়ের তলায় ঘুমিয়ে আছে একটি নিঃশব্দ শিশু দুপুর।
ভেসে গেছে লোকালয়
শহরের গলিপথ, ঢালু রাস্তা— হয়ে গেছে মহাসমুদ্র, যেন নূহ নবীর প্লাবন।
বৃষ্টির হিতসাধনে ভেসে গেছে শ’ কিলোমিটার লোকালয়। বিপন্মুক্ত হাহাকার; যেন আরও ফুসলে উঠেছে জল৷
মানুষের বেঁচে থাকার দায় নেই— একবেলা খেতে পারাটা আকাশ ছুঁই ছুঁই।
নির্ভাবনার দিন— গুমোট আকাশে চেয়ে আছি বৃষ্টির অপেক্ষায়; চলো বৃষ্টির প্লাবনে ভেসে যাই লোকালয়ের মতো।
নিমপাতার ছায়া
আমি তোমাকে কিছু মুহূর্ত উপঢৌকন দিয়েছি— রাতের নৈঃশব্দ্যে চেয়ে আছি পরস্পরের চোখ।
একটা নিমপাতার ছায়া বিস্তারিত হয়ে আছে আমার জানলায়— অদৃশ্য তাড়না খুঁজে পেয়েছি।
তুমি বর্ষার বিমর্ষ চাঁদ হয়ে শূন্যের কোল ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়ছো বিপুল ছলনায়।
নিমপাতার ছায়া হয়ে গেছো আমার চোখে— সমস্ত আনীত সময় কেড়ে নিতে চেয়েছি আজ; চলে যাচ্ছো অপার বিস্ময়ে।
ডিমলাইটের পেলব আলো ছুঁয়ে ফুটে আছে ক্যাকটাস—
সম্পাদক ও গদ্যকার
জন্ম: ১৯৯৮, ৮ ই অক্টোবর
পড়াশোনা করছেন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
ঢাকা সাভারে পৈতৃক ভিটা এবং বেড়ে ওঠা।
প্রথম বই: এখানে আরেকটু রোদ (মুক্তগদ্য)
সম্পাদিত লিটলম্যাগ: বেয়ারিং
আতিক ফারুক মূলত গদ্য লিখেন— লেখক ক্রমে কবিতার দিকে অগ্রসর হতে চাইছেন৷