নদীর দুঃখ
নদীতীরে হাঁটতে থাকলে নদীকে আপন মনে হয়
নদীর দুঃখ এসে হাত ছুঁয়ে দেয়, চোখ ছুঁয়ে দেয়
মানুষকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে
নদী আর নদী থাকে না, মানুষ হয়ে যায়!
যাদের কোনো দুঃখ নেই
যাদের কোনো নদী নেই
তাদের অসোয়াস্তি হবে, মানুষ খুন করবে
নদী তীরে জন্ম যাদের, তাদের পায়ে জল
ঘুঙুর হয়ে বাজে
ঢেউ এসে, বৃষ্টির ফোটা এসে মেঘের গল্প করে
চর্যার গল্প করে
কখনও কখনও কালিদাস এসে চিঠি পাঠায় দূরদেশে, করিমের গান হয়ে, বসন্ত বাতাস হয়ে
আমি দূর থেকে বৃষ্টির ছাটে বিনয়ের গায়ত্রীকে উড়ে যেতে দেখি নরম পালক হয়ে
পাণ্ডুলিপি এখন আর অন্ধকারের আয়োজন করে না, বরং অন্ধকারই দুঃখ সেলাই করে করে
কুড়ি কুড়ি বছর পর জীবন বাবুকে পৌঁছে দিয়ে আসে!
এক সময় মানুষ খুব এক্সট্রোভার্ট ছিল, এখন মারাত্মক রকমের ইনট্রোভার্ট
তাই
নদীকে নিয়ে নিয়েছি সাথে, বুকে করে
একা একা কথা বলব বলে
তার দুঃখকে সামনন্ততন্ত্র থেকে আলাদা করব বলে
কেননা
মানুষ একা হয়ে গেলে নদীর দুঃখ গভীরতর হয়ে যায়…