আজ ২৫ জুন কবি, গদ্যকার ও সম্পাদক পারমিতা চক্রবর্তীর শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ডেসটিনেশন ও কবিতার সংলাপ
বিচ্ছিন্নতা থেকে আত্মহত্যাকারী
বিশ্লেষণ করে কল্পনা
চোখের পরিশ্রুতে পানীয় উপাদেয়
হয়
আমার কবিতা বৃষ্টির প্রভাব
কাটিয়ে
জাহাজে’র সাথে চলে ক্রমশ
যেভাবে আকাশ শারীরিক ভাবে
প্রতিবন্ধী হয়
গাংচিল খুলে দেয় ব্লাউজের হুক
অপাক্তেয় বিকেলবেলায় দুরু দুরু
বুকে সে
গর্ভবতী হয়
এভাবে দৃশ্যের নিকট চলে আসে এ্যারোগেন্ট তুলি
যার গন্তব্য ঠিক হয়নি
সৃষ্টি’র মধ্যবর্তী পর্যায়ে দাঁড়িয়ে দেখা
যায়
সব চরিএ কাল্পনিক…
স্কিজোফ্রেনিক অ্যাপ
মাংসল চিতায় যুদ্ধ হয় অজস্র ক্ষত’র
মাঝি জাল থেকে একটু একটু করে
আলাদা করে নীরবতা
যাকে মোবাইলে তুলে রাখি রিংটোন
ভেবে
একদিন জল জমে ভেঙে
যাওয়া ঘুমে’র ছিদ্রে
গুটিগুটি পায়ে হেঁটে যাওয়া মশা ম্যালেরিয়া সংরক্ষিত করে
কৌটোর মধ্যে
তবুও
স্কিজোফ্রেনিক অ্যাপ ডাউনলোড
করতেই ডিলিট হয় চিত্রকল্প
যাকে মাউন্টব্যাটেন’র ক্যামেরায়
পাওয়া …
দেওয়াল
অলিগলিতে রিক্সাস্টান্ড …
– সময়! এক মুহূর্ত কেন ?
ধূপের একদিকে লক্ষ্মীপট অপরে বেশ্যার
অন্তর্বাস৷
– অবাক হচ্ছো?
– উপদ্রব বাড়ছে ৷ সাক্ষী খুন হচ্ছে পুলিশের হাতে ৷
– মঞ্চের আড়ালে যা নিষিদ্ধ, আমৃত্যু গোচরে রাখি ৷
– কি!
– আবর্তিত হব ৷ হোমকুন্ডে যাকে দেখ তার কোন ডাক্তার নেই ৷
– দিনপ্রতি ডেটল, ফিনাইলের প্রলেপ জড়ায়…
উপদ্রুত এলাকা৷ ওষুধ প্রয়োজন!
কেন পারছনা চেনা প্রতিবাদে
সামিল হতে।
এই তো প্রতিবাদের পুরানো অবয়ব,
তবুও তুমি কাঁদছ মেয়ে!
কবিরা লিখছেন,
শিল্পীর ছবিতে রক্তের আচঁড়
শতছিন্ন যোনি….
অগনিত সাধারন মানুষ মিছিলে পা মেলাচ্ছেন….কম তো নয়
তবুও চেনামুখ বিশ্বাস হারাচ্ছে
মূর্খ মানবী গোপনে শিউরে উঠছে বারবার।
কি চেয়েছিলে মেয়ে
কি প্রত্যাশা ছিল তোমার
অন্নজল ত্যাগ অথবা মহাপ্রলয়!
কালোমুখে ছেয়ে গেছে বিনোদন
তাই বা কম কি!!