আজ ০১ সেপ্টেম্বর কবি তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
সঙ্গীতজ্ঞ
মুখের উপর উপুড় করা বই
আর বইয়ের পাতা থেকে নেমে যাচ্ছে
নিষিদ্ধ ইশারা।
বুকের বাঁ দিকে ক্রমাগত নেচে চলেছে একটা ময়ূর
যার দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে
কতদিন খিদের সঙ্গে দেখা হয়নি।
অনভ্যাসে ডুবে গেলে মানুষের এরকমই হয়!
বাউল, অন্ধ বাউল,
একতারা রাখো আমার দু’চোখে!
ঘুম নয়,
এখন ওই ময়ূরের থেকে নিষ্কৃতি চাই…
লিবিডো
বারান্দাকে আজকাল প্রাচীন প্রেমিক মনে হয়!
চাঁদ ওঠার আগে,
সব রঙিন খেলা ভেস্তে দেয় করুণ আঙুল!
আঙুলের সঙ্গে তর্ক হয়!
এইভাবে না, ওইভাবে –
আরেকটু গভীরে গেলে নক্ষত্রখচিত অন্তর্বাসের সঙ্গে দেখা হবে!
স্রোতের উল্টোদিকে দৌড়াতে দৌড়াতে যে অন্তর্বাস ভুলে গিয়েছিল যুবতীর বুক।
বারান্দা, আজকাল অবাধ্য প্রেমিক এবং নিশাচর পেঁচা।
ভ্যান গগ ও আমি
রাস্তাটি কখনো মরে যাবে না।
আহ্বানে আকাশের দিকে তাকালাম।
পায়ের নিচে পৃথিবী
বলি পর্বের শেষ ঘোড়ার মতো ছটফট করছে।
বন্ধু ভ্যান গগ তৎক্ষনাৎ তাঁর তুলি দিয়ে
দু’টো তারা আর কী অসম্ভব রাত্রি
ঘোড়াটির দিকে ছুঁড়ে,
আমাকে নিয়ে ঢুকে গেলেন
ডানাহীন ক্যানভাসের ভেতর।
খিদে
প্রতিদিন মানুষের ভুল ঝাঁকায় ভরে
ফেরিওয়ালা ঈশ্বর হেঁটে যান স্বর্গের দিকে।
যাওয়ার পথে পড়ে
আলোমাখা এক সরাইখানা।
ঈশ্বর থামেন!
তাঁর বন্ধু আল্লা
এখানেই ভাত আগলে বসে থাকেন—
একসঙ্গে খাবে বলে!
অন্বেষণে মেঘ জমে ওঠে
বিনুনির শাসন ডিঙিয়ে
প্রিয় পুরুষ,
কখনো আসে না দেওয়ালের দিকে—
যে দেওয়াল পিঠের গল্প জানে।
নারীটিও আসে না হ্রদের কাছে,
অথচ স্তন তার দীর্ঘ হ্রদের মতো চঞ্চল…
মধ্যাহ্ন আদরের পর তারা কেবল
পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে
খুঁজে চলে দাগ!
জন্ম- ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬। গত বছর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০১৫ থেকে সক্রিয়ভাবে লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নানা ছোটোপত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৮ তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম বই ‘ঘুম দাও ঈশ্বর’, পেয়েছেন ‘সোনাঝুরি কবি সম্মান-২০১৯’।