| 20 এপ্রিল 2024
Categories
ইরাবতীর বর্ষবরণ ১৪২৮

প্রবন্ধ: বর্ষ শুরুর প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা । যতীন সরকার

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

কলের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও।

তারি রথ নিতাই উধাও

জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয় স্পন্দন,

চত্রে-পিষ্ট আাঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।

কালের কণ্ঠে তার যাত্রার ধ্বনি না শুনে আমাদের কোনো উপায় নেই। শুনতেই হবে। কান দিয়ে শোনা নয় কেবল, সমগ্র চেতনা জুড়েই সে-ধ্বনির অনুরণন প্রতিনিয়ত প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের দেহে-মনে পরিবেশ-পরিপার্শ্বে আকাশে-বাতাসে বৃক্ষে-লতায় ফলে-পুষ্পে সর্বত্র সর্বদা কালের যাত্রার ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েই চলছে। চলবেই অনন্তকাল ধরে।

অনন্তকাল কিংবা মহাকালের ধাবমানতার ধারণা আমরা চৈতন্যে ধারণ করি অবশ্যই। তবু নিকট-অতীত ও নিকট-ভবিষ্যৎ নিয়েই আমাদের বর্ষ গণনা। আমরা, অর্থাৎ বাংলাদেশের অধিবাসীবৃন্দ, বর্ষ গণনা করি বৈশাখ মাস থেকে। বৈশাখ আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই-বলা চলে সারা চৈত্র মাসজুড়েই-বৈশাখের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকি।

আবার ‘এসো হে বৈশাখ’ বলার দিনটি থেকেই অন্তর-গভীরে ডাক এস যায় পঁচিশে বৈশাখের। সারা বৈশাখজুড়েই রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ নিজেই তো পঁচিশে বৈশাখকে নিয়ে এসেছিলেন পয়লা বৈশাখে। পঁচিশে বৈশাখ দিনটি গ্রীষ্মের ছুটির ভেতর পড়ে যায় বলে শান্তিনিকেতনে ১৩৪৩ সন থেকে পয়লা বৈশাখেই রবীন্দ্র-জন্মোৎসব পালনের রীতি চালু হয়ে যায়। শান্তিনিকেতন আশ্রমে বর্ষবরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কবির বক্তব্য ছিল-

“আমাদের যে-সংকল্প ব্যবহারের দ্বারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, আমাদের যে-বিশ্বাসের ধারা কর্মকে বেগ জোগায় তা যখন দৈনিক অন্ধ অভ্যাসের বাধায় স্রোত হারিয়ে ফেলে, তখন এই সকল জরার তামসিকতা সরিয়ে দিয়ে সত্যের প্রধানতম নবীনতার সঙ্গে নূতন পরিচয়ের প্রয়োজন হয়, নইলে জীবনের উপর কেবলি ম্লানতার স্তর বিস্তীর্ণ হতে থাকে। আমাদের কর্মসাধনার অর্ন্তনীহিত সত্যের বুলিমুক্ত উজ্জ্বল রূপ দেখবার জন্যে আমরা বৎসরে এই আশ্রমে নববর্ষের উৎসব করে থাকি। যে-উৎসাহের উৎস আমাদের উদ্যমের মূলে তার গতিপথে কালের আবর্জনা যা-কিছু জমে ওঠে এই উপলক্ষে তাকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করি।”

‘কালের আবর্জনা’ সরিয়ে দেয়ার ঐকান্তিক প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলে যদি নববর্ষের উৎসবে সম্মিলিত হই, তবে ‘আমাদের কর্মসাধনার অন্তনির্হিত সত্যের ধূলিমুক্ত উজ্জ্বল রূপ দেখবার’ দুর্লভ সুযোগ লাভ করে আমরাও ধন্য হয়ে যাব। ধূলিমুক্ত উজ্জ্বলতা দেখার আকাঙ্ক্ষাই তো রবীন্দ্রনাথের গানের ভাষায় হয়েছে- ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’

কিন্তু তাঁর সেই আকাঙ্ক্ষা যে বাস্তব রূপ পরিগ্রহ করছে না, তেমনটি অনুভব করে জীবনের ‘অপরাহ্নে পারের খেয়াঘাটে’ বসে ১৩৪৩ সনের নববর্ষের দিনেই- শান্তিনিকেতন আশ্রমে বসেই- তিনি লিখলেন,-

মৃত্যুর গ্রন্থি থেকে ছিনিয়ে ছিনিয়ে

যে উদ্ধার করে জীবনকে

সেই রুদ্রমানবের আত্মপরিচয়ে বঞ্চিত

ক্ষীণ পাণ্ডুর আমি

অপরিস্ফুটতার অসম্মান নিয়ে যাচ্ছি চলে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদ্যোগ পর্বে-১৩৪৫ সনের নববর্ষ উপলক্ষে-একান্ত ব্যথাহত চিত্তে অমিয় চক্রবর্তীকে কবি লিখলেন-

“আমরা জীবনের শেষ পর্বে মানুষের ইতিহাসে এ কী মহামারীর বিভীষিকা দেখতে দেখতে প্রবল দ্রুতগতিতে সংক্রামিত হয়ে চলেছে, দেখে মন বীভৎসতায় অভিভূত হল। এক দিকে কী অমানুষিক স্পর্ধা, আর এক দিকে কী অমানুষিক কাপুরুষতা। মনুষ্যত্বের দোহাই দেবার কোনো বড়ো আদালত কোথাও দেখতে পাই নে।… পৃথিবীর তিন মহাদেশে-এই বিশ্বব্যাপী আশঙ্কার মধ্যে আমরা আছি ক্লীব নিষ্ক্রিয়ভাবে দৈবের দিকে তাকিয়ে-এমন অপমান আর কিছু হতে পারে না…মনুষ্যত্বের এই দারুণ ধিক্কারের মধ্যে আমি পড়লুম আজ ৭৮ বছরের জন্মবৎসরে।”

বহু বহু যুগ ধরে তিল তিল করে সৃষ্ট মানব-সভ্যতা যে অচিন্তনীয় সংকটের মুখে পড়ে গেছে, তেমন দুরবস্থা প্রত্যক্ষ করে কবির চিত্ত হাহাকারে দীর্ণ হয়ে ওঠে। তাই ১৩৪৮ সনের নববর্ষে অশীতিবর্ষপূর্তি উৎসবে প্রদত্ত কবির জীবনের শেষ ভাষণটির শিরোনাম হয় ‘সভ্যতার সংকট’। কবির উপস্থিতিতেই নববর্ষের সায়াহ্নলগ্নে শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ-প্রাঙ্গণে আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ভাষণটি পাঠ করেছিলেন।

সে-সময়ে ইউরোপে ও পৃথিবীর স্থানে স্থানে যুদ্ধের যে মরণতাণ্ডব চলছিল, তারই হেতু-নির্ণয় ও সেই তাণ্ডব নিরসনের পন্থানুসন্ধান-প্রয়াসই এই ভাষণটিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে। পাশ্চাত্য দেশের অষ্টাদশ শতকের আদর্শবাদে-এবং বিশেষ করে ইংরেজিসাহিত্যের সৌন্দর্যে-ভারতবাসীদের মুগ্ধতার কথাও সেদিন তিনি স্মরণ করেছিলেন। কিন্তু জীবনের গোধূলিলগ্নে এসে কবি দেখলেন-“মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার মজ্জার ভিতর থেকে আজ মানবাত্মার অপমানে দিগন্ত থেকে দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কলুষিত করে দিয়েছে।” তাই বিক্ষুব্ধ চিত্তে বলতে বাধা হলেন-“জীবনের প্রথম আরম্ভে সমস্ত মন থেকে বিশ্বাস করেছিলুম য়ুরোপের অন্তরের সম্পদ এই সভ্যতার দানকে। আর আজ আমার বিদায়ের দিনে সে-বিশ্বাস একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেল।” তবু, প্রত্যয়দীপ্ত কবিগুরু মহাসংকটের মুখেও যে নৈরাশ্যকে প্রশ্রয় দেন না তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ দিয়ে শেষ করলেন ভাষণটি-

“মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে-বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাঞ্চলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে। আর একদিন অপরাজিত মানুষ নিজের জয়যাত্রার অভিযানে সকল বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে তার মহৎ মর্যাদা ফিরে পাবার পথে। মনুষ্যত্বের অন্তহীন প্রতিকারহীন পরাভবকে চরম বলে বিশ্বাস করাকে আমি অপরাধ মনে করি।

এই কথা আজ বলে যাব, প্রবলপ্রতাপশালীরও ক্ষমতামদমত্ততা আত্মম্ভরিকা যে নিরাপদ নয় তারই প্রমাণ হবার দিন আজ সম্মুখে উপস্থিত হয়েছে; নিশ্চিত এ-সত্য প্রমাণিত হবে যে-

অধমেণৈধতে তাবৎ ততো ভদ্রাণি পশ্যতি।

ততঃ সপত্নান্ জয়তি সমূলস্তু বিনশ্যতি।”

[শ্লোকটির বঙ্গানুবাদ-অধর্মের দ্বারা মানুষ বাড়িয়া উঠে, অধর্ম হইতে সে আপন কল্যাণ দেখে, অধর্মের দ্বারা সে শত্রুদিগকেও জয় করে, কিন্তু একেবারে মূল হইতে বিনাশ পায়।]

ভাষণের সঙ্গেই সংযুক্ত ‘এই মহামানব আসে’ গানটির প্রসঙ্গসূত্রেই রবীন্দ্রজীবনীর প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন- “এই মহামানব কী? এ তো কোনো ব্যক্তি যাঁহাকে আমরা মহাপুরুষ বলি তাঁহার আবাহন নহে। এই আবাহন কবির MAN কে-যে মানব আইডিয়া রূপে, শাশ্বত ঐক্যরূপে চিরন্তর, যে মানব ভাবীকালের অভ্যুদয়ের প্রতীক্ষায় রহিয়াছে। সেই দিক হইতে গানটি বিশেষভাবে প্রাণিধানযোগ্য।”

গভীর ঈশ্বর বিশ্বাসী পরম আস্তিক রবীন্দ্রনাথ সারাজীবন মানুষের ভেতরই ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছেন। জীবনের শেষ নববর্ষে ঈশ্বর প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ অনুক্ত রেখেমানুষের প্রতি বিশ্বাসকেই তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছিলেন। একালে আমরা যে-পদ্ধতিতে বঙ্গীয় নববর্ষ উদযাপন করি, সে পদ্ধতিটিও তো রবীন্দ্রনাথেরই উদ্ভাবিত। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই এবারওআমরা বর্ষ বরণ করব।

তবে, সেই সঙ্গেই স্মরণে না-রাখলে চলবে না যে, ‘মানব-অভ্যুদয়’-এর পথকে কন্টকমুক্ত রাখার প্রয়োজনেই দানবের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্যও সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সে-রকম না-থেকে নববর্ষের উৎসব উদযাপন হবে কেবলই অনুষ্ঠান সর্বস্ব। বর্ষশুরুতে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানোর পাপ থেকে মুক্ত থাকার প্রতিঙ্গা আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব, কিন্তু সে-প্রতিঙ্গা যাতে আনুষ্ঠানিকতার চোরাবালিতে আটকে না-পড়ে- সেদিকেও আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রবল প্রতাপশালীর ক্ষমতা সম্পর্কেও অসতর্ক থাকলে চলবে না। মনে রাখতে হবে যে এ-যুগেও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেনি কবিগুরু সেদিনের সেই আহ্বান-

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ভ্যর্থ পরিহাস-

বিদায় নেবার আগে তাই

ডাক দিয়ে যাই

দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে

প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে।

একালের নাগিনীদের নিশ্বাস আগেকার নাগিনীদের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত, এরা অনেক বেশি ধূর্ত ও কপট। ধর্মের আবরণে ধূর্ততা ও কপটতাকে ঢেকে রাখে বলেই এরা অতি সহজে ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে পারে। একালের দানবেরা মানবের সঙ্গে এমনভাবে মিশে থাকে যে এদের আসল রূপটি চিনে নেয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে, তাই এদের সাথে সংগ্রাম করাও অনেক বেশি কঠিন। সেই কাঠিন্য সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন থেকে এই দানবদের খুঁজে বের করার প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েই উদযাপন করতে হবে এখনকার বর্ষবরণের উৎসব। ‘বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে কেহ রও, ক্ষমা করো আজিকার মতো, পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত’- বর্ষ শুরুতে এমন আহ্বান আমরা জানাব নিশ্চয়ই। কিন্তু ভুলে যাব না যে সে-আহ্বান মানবের প্রতি, মানবরূপী দানবদের প্রতি নয়। দানব মাত্রই মানবের শত্রু, কোনো দানবই কখনো মানব-বন্ধু হতে পারে না। চিরশত্রু দানবদের কাছে ক্ষমাও চাইব না, সেই দানবদেরও ক্ষমা করব না। ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করার বদলে কবিগুরুর শিখিয়ে-দেয়া মন্ত্রেই আমরা প্রার্থনা করব-

ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা

হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা

তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম

সত্যবাক্য ঝলি উঠে খঢ়খড়গ সম

তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তার মান

তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।

‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ – লালন ফকিরের গানের এই কলিটির মূল মর্ম অন্তরে ধারণ করেই চলবে আমাদের এবারের নববর্ষের মঙ্গল-শোভাযাত্রা। লালনের গানে শুধু নয়, আবহমান বাংলার সমগ্র লৌকিক ঐতিহ্যই তো ‘মানুষ ভজনা’র ধারক। বিশ শতকের নেত্রকোনার প্রখ্যাত বাউল কবি জালাল খাঁ-ও কম্বুকন্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন,-

”মানুষ খুইয়া খোদা ভজ-এ-মন্ত্রণা কে দিয়াছে?

মানুষ ভজ, কোরান খোঁজ, পাতায় পাতায় সাক্ষী আছে।”

’সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’-কবি চন্ডীদাসের এই, অমর বাণীর মর্ম ধারণ করেই তো বাংলার সকল কবির ‘মানুষ-ভজনা’। কবি পুরুষোত্তম রবিন্দ্রনাথের মানবপ্রীতিও এর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।

কবি চন্ডীদাসের আরেকটি অবিস্মরণীয় বাণী-

”মরম না জানে ধরম বাথানে

এমন আছনে যারা।

কাজ নাই সখী তাদের কথায়

বাহিরে রহুন তারা।”

এ-বাণীর মর্মসত্যও বাঙালির ঐতিহ্যে অবিচ্ছেদ্য সূত্রে গ্রথিত হয়ে আছে। কেবল বাঙালিরই নয়, এটি নসগ্রভাবে বিশ্বমানবতারই ঐতিহ্যের অন্তর্গত। সেই মানবিক ঐতিহ্য থেকে আমাদের যারা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চায়, ধর্মের নাম করে মানুষকে অধর্মের পস্ককুন্ডে নিমজ্জিত করে রাখাই যাদের উদ্দেশ্য, তারাই তো দানব। মানবশত্রু দানবদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রস্ততি গ্রহণ করার তাগিদ নিয়েই আসে আমাদের পহেলা বৈশাখ। সে-তাগিদে সাড়া দিতেই হবে আমাদের। সে-তাগিদে সাড়া দেয়া মানেই অন্তরের গভীরে কতগুলো বলিষ্ঠ প্রত্যয়কে ধারণ করা, এবং সেই প্রত্যয়সমূহকে বাস্তবে রুপদানের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা।

বর্ষ শুরুতে ধারণীয় প্রত্যয়কে সূত্রবদ্ধ করলে পাই : ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’ এবং ‘মানবের তরে মাটির পৃথিবী দানবের তরে নয়’। সেই প্রত্যয়কে বাস্তব করে তোলার  জন্যই গ্রহণীয় প্রতিজ্ঞা হলো : প্রচন্ড সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দানবদের ঝাড়েবংশে উৎখাত করে এ- বিশ্বকে মানবের বাসযোগ্য করে তুলবো।

প্রবন্ধটি যতীন সরকারের ‘প্রত্যয় প্রতিজ্ঞা প্রতিভা’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত