আজ ১ আগষ্ট কবি, সম্পাদক প্রদীপ গুপ্তের জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
স্মৃতি
জানি কিছু থাকবে না আর —
হাসি, গান, কলতান, নূপুরের ধ্বনি
আর যত কিছু জীবনখেলার,
যত দূরে যাই
মনে তার কোনো চিহ্ন নাই
সকালবেলার —
সেও ক্রমে সরে গেছে দূরে
অলস দুপুর ঘুরে
সন্ধ্যা নামে তমালের বনে,
জ্বলেছে সাঁঝের আলো —
যদি কিছুমাত্র চিহ্ন থেকে যায়
পরমের ঘরে, সেটুকুই ভালো।
তোমায় পাওয়া
কাল সারারাত শিউলির মতো ঝরেছে সময়।
আর তোমার পাঠানো মান্না দের গান।
মাঝরাতে চুপিসারে এসেছে মেঘ,
আর বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা।
মেঘমালার বুকে —
সন্ধ্যা সবিতার আবীরগোলা রঙ ছোঁয়ালে নাকি
তুমি এসে বোসো, তুমি বলেছিলে একদিন।
তাহলে কি আনমনে কালও
তোমার বীণায় সুর তুলেছিলাম!
নইলে কাল সারারাত, মাথায় কে হাত বোলালো!
মান্নার গানে তন্ময় আমি
বুঝতে পারিনি কেন?
এভাবেই, তোমায় পেয়েও কেন হারাই বারেবার —
— সুরঞ্জনা —!
আঁধারের অন্ধকারে চলো —
যেখানে বাতাসের বুকে নেই কোনো বিষ
শিস দিয়ে ভোর আনে ছোট্ট চন্দনা —
— সুরঞ্জনা,
সেইখানে কাটাবো চলো বাকি ক’টা দিন।
ঋণ জমে আছে বহু ভালবাসার পাঁজরের ভীড়ে,
উজ্জ্বল নীল আকাশ, তারা — যেটা ধ্রুব,
সূর্য, চাঁদ,
সাদা মেঘ, নদীটির গান, সবুজ ঘাসের বুকে
সুখে ফুটে থাকা গোলগোলি ফুল, অন্ধকার,
আঁধারের বুকে , অমাবস্যার ঘন কালো চুল, আরও — আরও
কতোজনের কাছে, ভালোবাসা ভুল হয়ে জমা পড়ে আছে —
সম্ভবত।
কতো আর ভালো বাসবে আমায় –!!
যদিও এ মন চায় আরও ভালোবাসা —
কোলের ভেতর মাথা রেখে শুয়ে থাকি আরও কিছুদিন —
সুরঞ্জনা — জানি আমি,
তোমার হৃদয় জুড়ে জমে আছে ঋণ
এ অভাগা কবির।
কবিতায় যা হবে না কো শোধ
এক অপরাধ বোধ, তাই কুঁড়ে কুড়ে খায় কীটের মতন,
রাত্রিদিন।
সুরঞ্জনা —
নাও ফেলে কোথায় যে, চলে যায় মাঝি —
এ এক গভীর ষড়যন্ত্রে সে ফেলেছে আমায় —
দিন যায় — দেখো — ওই বুঝি দিন চলে যায়।
তুমি কি জানো –?
আঁধারেও কী ভালোবাসা যায়?