আজ ১৮ আগষ্ট কবি ও ফ্যাশন ডিজাইনার প্রগতি বৈরাগী একতারা’র জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
প্রেম বলতে মায়া বোঝো? প্রাণ বলতে মারের আলাপ ?
নিরাপদ কম্পাসে অক্ষপথে খুঁজে নাও, অজুহাত মিলনরহিত ?ধ্যানে বসবার আগে , হে প্রিয় পীতাভ শ্রমণ,
নির্ভুল বলে দাও, কতটা উন্মুক্ত হলে
আমিও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যাব চালচিত্র যেন
অক্লেশে অতিক্রম ঠিক ততখানি সংক্রমণযাতে, ক্রমশ বিস্মৃত হও
মানময়ী যোনিপদ্ম, নিবিড়তা, জপমুদ্রাক্ষর
অভীষ্ট মুক্তি না মেলে,
গহীন
সা থেকে নি তে পৌঁছনোর গৃহকৌটো ভার হয়ে আসে এইসব গোপনীয়তায়। সহজ নিয়ম ঘেঁষে সমে ফেরা যায় না তখন। কিন্তু এই যে উপচে পড়া জীবন, পিচ আর মোরাম ভেঙে তুলে আনছে নরম, তাকে না বলার মত আত্মহত্যাই বা কই! আলতো হাতে রোপণ করে নিজেকে, আমার গভীরে। বর্ষা, কুয়াশা, কামরাঙা বিষাদ আর থইথই আহ্লাদ খেয়ে বাঁচে। যুবক পাইনের মত ধারালো তার বিস্ফোরণ নগ্নতা জানায়। রেণু রেণু উড়ে যাই। অস্তিত্বে উলটো দিকে ঘনিয়ে আসা সন্ধে, ধূপকাঠির শেষ। আসলে দুপুর, জানালার অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ এসে পড়ছে তার চোখে। মুখ চেপে ছুঁতে চাই, ফোঁটা ফোঁটা তুলে দিই তাকে। আঙুলে খোলস সাড়া দেয়।
মিহিন ফুলকথা
আমাদের ঘরবাড়িরা হাত ধরাধরি করে লালিত হোক আপনকথায়,…তার গেটের মাথায় ঝামরে পড়েছে বোগনভিলিয়া, পাঁচিল ঘেঁষে সমত্থ ছাতিম,জারুল, ভাঙা টাইলস বসানো পথের দুপাশে পুরু মসের বিছানা আর জানালা বেয়ে জড়িয়ে আছে কুমড়ো ফুল আর আলোকলতা … থাক, পুকুরপাড়ে পা ছড়িয়ে বসে আছি। পা ঘিরে নতুন বউয়ের মত হলুদ শাড়ির লাল পাড়। বৃষ্টি আসব আসব করছে। সে খিড়কির দরজার সামনে থেকে ডাকছে। আর আমি ভাবছি, এমন দিনে কেউ ঘরে যায়?
…ঘর নেই। পুকুরঘাটের পুরোনো সিঁড়ি আছে, পাশের দিকে ভাঙা, শ্যাওলা ধরা।
পুকুরপাড়ের বকুল গাছটা বুড়ো হয়েছে, তবু জোলো হাওয়ায় দু-একটি ফুল ঝরে পড়লো মাথায়, হলুদ খড়কে ডুরের আঁচলে…হাতের মুঠোয় আলতো তুলে রাখছি তাদের… পুকুরের জলে বৃষ্টি ফোঁটা মিশে যাচ্ছে শান্ত, ঘাড় না ফিরিয়েই মোরাম বিছানো ঘাটের রাস্তায় শুনতে পাচ্ছি তার পায়ের আওয়াজ, পাশে এসে বসলে ফুলগুলো রেখে দেবো ওর পকেটে, আর রাতে দুইবালিশের মাঝে…