প্রমিতা ভৌমিকের গুচ্ছ কবিতা
আজ ২৬ অক্টোবর কবি প্রমিতা ভৌমিকের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
তোমার উড়িয়ে দেওয়া চুম্বন
তোমার উড়িয়ে দেওয়া চুম্বন
পলাতক পাখির মতো খুঁজেছে আমায়
আর আমি ছড়িয়ে দিয়েছি সোনালি অসুখ
যন্ত্রণার পাশে এতো প্রলোভন
সন্ধের পাশে নিঃসঙ্গ নগর-
তোমার সন্ধে মানে ককটেল পার্টি,
তোমার সন্ধে মানে অলিপাব,
রেড ওয়াইন,মাংস-মাংস মাতাল শরীর
অন্ধকার লুট করছো আজ
আর তোমার ব্যস্ত বাইপাসের পাশে
নদী হয়ে বয়ে যাচ্ছি আমি
অলীক,তুমি জানবে না-
নদীর মতো নারীরও পা ছোঁয়া যায়।
নারীজন্ম
ঈশ্বর আর তুমি খেলছো প্রশ্ন-উত্তরে –
খাদ্য-খাদক পিরামিড আঁকছো দুজনে মিলে,
তোমার মেদ-মজ্জা-মাংস ছিঁড়ে
শুষে নিচ্ছে এক পলাতক পুরুষ –
তার আপাদমস্তক লাম্পট্য তোমার চেনা
#
তুমি আর ঈশ্বর শুঁকে দেখছো মৃত মানুষের ঘ্রাণ –
চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে পোড়া লোভ
আর তোমার শরীর ছেনে মূর্তি গড়ছে পলাতক
#
শেষবারের মতো তুমি অভিশাপ লিখে দিচ্ছো তাকে।
পাহাড়িয়া
বছর পেরিয়ে ফিরে আসা
পাহাড়ি প্রদেশে – আলো-অন্ধকার
হেলে পড়ছে পথরেখা ধরে,
হাতের ওপর হিম সন্ধ্যা,
সাদা পাতায় অক্ষর সেজে ওঠে
পানশালায় লেখা হচ্ছে দীর্ঘকবিতা
ইচ্ছেগুলো ভেঙে-চুরে নীল হয়ে আসে,
মাত্রাবৃত্তে দুলে ওঠে চড়াই-উৎরাই –
ভয়,নেশা,পুরনো বিরহ ফেলে
দূরত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে শীতের হাওয়া
এদিকে কাঁপা হাতে আমি
উৎসর্গপত্রে লিখে রাখছি
অপ্রেম, মধ্যরাত, নিরাপদ ঘুম।
তিন পঙক্তির কবিতা
৬
হয়তো এভাবেও বেঁচে ওঠা যায়
চেনা মেঘ আর অচেনা আলোর দিকে চেয়ে,
তুমি তাকে আনমনে ফেরা বলে ডেকো
৭
দূরত্বের গায়ে জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো
এক টুকরো অপেক্ষা লেগে আছে —
বৃষ্টি নামার আগে তাকে ছুঁয়েছি একবার
৮
দিনটা সেদিন অন্য রকম ছিল —
কিছুটা মেঘ, কিছুটা আলো
আর তোমাকে ভুলে থাকা…
