Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,puja 2021 bangla golpo priyanjoli debnath

উৎসব সংখ্যা গল্প: আনলক পর্বের একটি রাত । প্রিয়াঞ্জলি দেবনাথ

Reading Time: 6 minutes
সময় বলছে সিক্স পি.এম.। কম্পিউটার স্ক্রিনটা ঝুপ করে বন্ধ হয়ে গেল। পরীক্ষা শেষ। তনুজা ডেক্স থেকে জলের বোতল ও স্যানিটাইজারটা চটপট গুছিয়ে উঠে আসতে যাবে। পরীক্ষার হলের গার্ড মেয়েটি চিৎকার করে বলে উঠল –
-‘সবাই জায়গায় বসুন। এখন কেউ বেরোবেন না।’
তনুজা উশখুশ করতে করতে কোনোক্রমে দাঁড়িয়েই রইল। চোখেমুখে তার একপাহাড় চিন্তার ছাপ। একেই কোভিড পরিস্থিতি। তার ওপর বাইরে অন্ধকার নেমে এসেছে। লকডাউন পর্ব থেকে ট্রেন এখনো বন্ধ। বাসও খুব সীমিত। তনুজাকে ফিরতে হবে পরীক্ষা সেন্টার থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম হেমন্তপুরে।
পরীক্ষা সেন্টার থেকে বেরোতে প্রায় সাড়ে ছটা বেজে গেল। দূরত্ব বজায় রেখে এক এক করে বাইতে আসতে তো এটুকু সময় লাগবেই। এতে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। কিন্তু সমস্যাটা হল অন্য জায়গায়। তনুজা যখন হুড়মুড়িয়ে বাইয়ে এসে পৌঁছালো তখন ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় তার লাস্ট বাসের সময় প্রায় অতিক্রম হতে চলেছে। একটা অটো ধরে বাসস্টপের দিকে ছুটল তনুজা। নভেম্বরের সন্ধে। হালকা কুয়াশা ও ঠাণ্ডা হাওয়ায় চারিদিক যেন মোহগ্রস্থ। গাছপালায় ঢাকা পিচরাস্তা। ল্যাম্পপোস্টের মিটিমিটি আলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিচ্ছুরিত হচ্ছে। এরমধ্যেও মেঘেঢাকা আকাশের একফালি বাঁকা চাঁদ স্পষ্টই অনুভব করা যায়। কবির আবেগঘন মন এই মায়াময় আলোছায়া ও শীতল বাতাস বুক ভরে একবার টেনে নিতে পারলে, নিশ্চিত দু’লাইন কবিতা বেরিয়ে আসত। কিন্তু তনুজার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে।
অটো যখন বাসস্টপে এসে পৌঁছলো, তখন ছটা পঞ্চাশ। দূরে অন্ধকারের কুয়াশা ভেদ করে দুটো হলুদ আলো যেন ঘোলাটে হয়ে সামনের দিকে মিলিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেল। তনুজা দ্রুত অটোর ভাড়া মিটায়ে বাসস্টপে এসে দাঁড়ায়। চারিদিকে জনমানবহীন নিস্তব্ধতা। লোকজন এ চত্তরে একটু কমই। দু’একটা গাড়ি সোঁ সোঁ শব্দ করে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। তনুজা একা একটি গুমটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। এদিকটাই তেইশ নম্বরের রুট। তনুজাকে এই রুট ধরেই ফিরতে হবে অনেকটা রাস্তা।
চায়ের দোকানের বয়স্ক ভদ্রলোকটি স্টোভে আগুন দিয়ে কেটলি চাপিয়ে রেখেছে। স্টোভের টিমটিমে আগুনে ঢিমেতালে চা ফুটছে কেটলিতে। ধোঁয়া উঠছে অনবরত। তার মধ্যে থেকেই দু’জন মধ্যবয়সী কানাকানি করে দেখছে তনুজাকে। কী যেন ফিসফিসিয়ে বলছেও। তনুজার বড্ড অস্বস্তি হতে শুরু করল। কিছুটা ভয়ও। যদিও ভীতু সে একেবারেই নয়।
-‘দিদি যাবেন কোথায়?’
একটি অটোঅলা চলতি অটো থেকে হেঁকে কিছুটা এগিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল অটো নিয়ে। তনুজা তার সমস্ত সংশয় মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখে খুব সাবলীল ভাবেই উত্তর দিল,
-‘তেইশ নম্বর ধরব।’
-‘সে কী…! সে বাস তো এখন আর নেই। শেষ বাস বেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আপনি যাবেন কোথায়?’
তনুজা এই ভয়টাই করছিল। সে আমতা আমতা করে কিছুই ঠিক করে বলতে পারল না।
-‘বেরিয়ে গেছে মানে…!’
-‘হ্যাঁ এই লকডাউনের জন্য বাস তো খুব কম। তাও আপনি যদি বাসস্ট্যান্ডে যান, হয়ত কিছু পেতে পারেন।’
তনুজা কয়েক সেকেন্ড আপন মনে কিছু যেন ভেবে নিল। তারপর সময় নষ্ট না করেই উঠে পড়ল অটোয়। তার দু’জন সহযাত্রীকে দেখে কিছুটা আশ্বস্তও হল সে। এরাও সম্ভবত তার সহপরীক্ষার্থীই। অর্থাৎ তনুজা একা নয়, আরো অনেকেরই তার মতোই অবস্থা। অনেকেই হয়ত বাড়ি ফিরতে পারছে না, বা পারবে না। এসব ভাবতে ভাবতে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যায় তারা। এদিকটা বেশ জনবহুল জমজমাট। অটো, টোটো বাসের হর্ণ। মানুষজনের কোলাহল। কিছুটা খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল বাস একটা আছে। কিছুক্ষণ পর ছাড়বে। আশ্বস্ত হয় তনুজা।
‘নাহ্, এবার বাড়িতে একটা ফোন করা উচিত। সবাই হয়ত চিন্তা করছে।’ যেমন ভাবা তেমনি কাজ। ফোনটা ব্যাগ থেকে বার করে অন করতেই দেখল বেশ কয়েকটি মিসকল। কয়েকটি বাড়ি থেকে, আর কয়েকটি বন্ধু-বান্ধবদের। বন্ধুদের ফোনে একটু বিস্মিতই হয় তনুজা। ‘এরা কেন ফোন করেছিল তাকে! ওরা তো সব গাড়ি করে পরীক্ষা সেন্টারে এসেছিল। তনুজার বাবার অত টাকা নেই যে সে গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে আসবে। এমনকি গার্জেন সাথে করে নিয়ে আসাও তার অপছন্দ। সে নিজে সাবলম্বি। কেউ তাকে সাহায্য করবে একথা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। তবে এরা কি ওকে দয়া দেখানোর জন্যই ফোন করেছিল! ভেবেই গাটা রি রি করে ওঠে তনুজার। সে কারো কাছ থেকে দয়া নিতে যেমন নারাজ তেমন করতেও। ঈশ্বর মানুষকে চার হাত-পা দিয়েছেন। বুদ্ধি খাটানোর জন্য মাথা দিয়েছেন। চোখ-কান-নাক সবই দিয়েছেন। এসবকি অন্যকে দান করার জন্য…! কখনোই নয়। অন্তত তনুজা তা মনে করে না।
তেইশ নম্বর বাসটা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢিমেতালে বেরিয়ে আসছে। তার ম্রিয়মান আলোর সামনে গিয়ে হাত নেড়ে দাঁড়ায় তনুজা। কিন্তু বাসটির ধীর গতি তাকে ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে যায়। তেইশ নম্বর ফাঁকা বাসটি যেমন ভাবে ধীর গতিতে এগিয়ে আসছিল, তেমন ভাবেই তনুজার সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। শুধু চলতি বাস থেকে কনডাক্টর হেঁকে গেল,
-‘এ বাস আজ আর যাবে না দিদি।’
‘সর্বনাশ…! এবার কী হবে!’ আকাশ ভেঙে পড়ল তনুজার মাথায়। ‘তবে কি রাতটা এখানেই কাটাতে হবে! যদি অন্য কিছুতেও যাওয়া যেত…!’ কিন্তু সেটাই বা কী করে সম্ভব! এতটা রাস্তা কীসেই বা যাবে সে! তনুজার খুব করে মনে পড়তে লাগল তার রাতের অন্ধকার পথটাকে। পথটা এঁকেবেঁকে দু’দিকের খোলা মাঠ ও গাছ-গাছালি পেড়িয়ে থামবে একটা টিনের সাইকেল গ্যারেজের সামনে। সেখান থেকে সাইকেলে আরো প্রায় দু’কিলোমিটার তনুজার বাড়ি হেমন্তপুর। সে জনশূন্য রাস্তাটাও তো খুব একটা নিরাপদ নয় তনুজার জন্য। তবু বাবা হয়ত নিতে আসত তাকে। হঠাৎ করে বড্ড মন কেমন করতে লাগল তনুজার তার অন্ধকার রাস্তাটার জন্য। হেমন্তপুরের জন্য। বাবা-মা সবার জন্য। এসব ভাবতে ভাবতে কয়েকটি কুকুরের চিৎকারে সম্বিত ফিরে পায় সে। এখানের পরিবেশও কি তার জন্য খুব একটা নিরাপদ! রাত বাড়ছে। ঘড়ির কাঁটা ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। মানুষের কোলাহল এখন সীমিত। তনুজা এখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। শীতের হিম শিশির আর তার গায়ে বিঁধছে না। বিঁধছে শুধু কিছু মানুষের কটু চাহনি ও অশ্লীল ভাষা। বছর পাঁচেক আগে মধ্যরাতের ট্রেন ধরে ইউনিভার্সিটি যাওয়া তনুজা যথেষ্ট সাহসি হলেও, আজ যেন তার সারা শরীর-মন এক অচেনা আতঙ্কে ভরে উঠল। একটা মাতাল বার কয়েক তার গায়ের কাছে এসে কিছু অঙ্গভঙ্গি করে গেছে। আবারো আসবে হয়ত। আরো কত বিপদ ও আশঙ্কা তনুজাকে আষ্টেপৃষ্ঠে চারিদিক থেকে জাপটে ধরতে থাকে।
-‘মা, তুমি যাবে কোথায়? এত রাতে তুমি এখানে একা দাঁড়িয়ে আছো কেন? তোমার সাথে কেউ আছে?’
আচমকা “মা” ডাকে চমকে ওঠে তনুজা। এইরকম জায়গায় তাকে এত আন্তরিকতার সাথে কেউ ডাকতে পারে, এটা তার আশাতীত ছিল।
-‘না, আমার সাথে কেউ নেই। আমি একাই। আমার শেষ বাস চলে গেছে। আমাকে ফিরতে হবে অনেক দূর।’
এই কটি কথা মনে ভীতি নিয়ে বলে ফেলে তনুজা। তারপর চুপ করে থাকে। বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া পান-বিড়ির দোকানের এই মধ্যবয়সী লোকটিকে দেখে খারাপ মনে হয় না তার। এমনকি তার কথায় লোকটির কপালেও ভাঁজ পড়ে। তারপর লোকটি বলে ওঠেন,
-‘এই পাশেই দেখ পুলিশস্টেশন। তুমি বরং রাতটা ওখানেই আশ্রয় নাও। তারপর ভোরের বাসে বেরিয়ে যেও।’
ভদ্রলোকের কথায় একটু যেন থই খুঁজে পায় তনুজা। ‘তাইতো, পুলিশস্টেশনেই তো আশ্রয় নেওয়া যায়। ওটাই হয়ত নিরাপদ হবে।’ কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে ম্রিয়মান হয়ে তনুজা ভাবে, ‘সেখানেও কী খুব একটা নিরাপদ তার মতো মেয়েদের জন্য…!’
ভাবতে ভাবতে কী করবে কিছুই ভেবে পায় না তনুজা। যে বন্ধুরা তাকে ফোন করেছিল তাদেরও এতক্ষণে পৌঁছে যাওয়ার কথা। ‘তবে কী সে ভুলই করল তাদের সাহায্য না নিয়ে…!’ এসব ভেবে আর লাভ কী…! ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে ন’টা থেকে দশটার ঘরে। চারিদিকের পরিবেশ আরো কিছুটা নিঝুম। পুলিশ স্টেশন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই ভেবে তনুজা যখন পা বাড়ায় রাস্তার দিকে, ঠিক সেই সময় ফোনটা বেজে ওঠে তার। বাড়ি থেকে ফোন। দুশ্চিন্তায় তাদেরও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য অবস্থা। ফোনের ওপার থেকে ভেসে এল মায়ের উৎকণ্ঠিত কণ্ঠস্বর,
-‘কী রে, কিছু ব্যবস্থা হল? কিছু পেলি?’
যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নিজের কণ্ঠস্বর স্থির রেখে তনুজা বলল,
-‘টেনশন কোরো না। আমি ঠিক আছি। পাশেই পুলিশস্টেশন। ওখানে নিরাপদে থাকব।’
এরপর ফোনের দু’প্রান্তই চুপ। কারো মুখেই কোনো বাক্য সরে না। হঠাৎ মা চিন্তিত স্বরে আবার বলে উঠল,
-‘আচ্ছা তনু, তোর এক বান্ধবীর বাড়ি বলেছিলি না ওখানেই। কী যেন নাম মেয়েটির…! হ্যাঁ, অরিত্রী। দেখ না ওর সাথে কোনোভাবে যোগাগোগ করা যায় কিনা…!’
মায়ের মুখে হঠাৎ অরিত্রীর কথা শুনেই এক ধাক্কায় তনুজার মনে পড়ে যায় পাঁচবছর আগের ইউনিভার্সিটির একঝাঁক স্মৃতি। সেই অরিত্রী। সেই পাঁচবছর আগের হস্টেলের অরিত্রী।
-‘ হ্যাঁ, ওর বাড়ি শুনেছিলাম এই চত্তরেই। তবে ওকে কি একবার ফোন করে দেখব…!’
অস্ফুটে এই কয়েকটি কথা বলেই চুপ হয়ে যায় তনুজা। মাকে আস্বস্ত করে ফোনটা কেটে দেয় সে। মনে পড়ে ইউনিভার্সিটির লাস্ট ইয়ারে কত খারাপ ব্যবহার করেছিল তনুজা অরিত্রীর সাথে। কাছের বন্ধু অরিত্রীকে সামান্য ক্লাসনোট দিতে না চেয়ে সবার সামনে কত অপনার করেছিল তাকে তনুজা। আবার মিথ্যে দোষারোপও কম করেনি। তারপর থেকে অরিত্রী আর কখনো কথা বলেনি তনুজার সাথে। সেই অরিত্রীকে তনুজা কী করে আজ এই বিপদের দিনে আবার ফোন করে! কনট্যাক্ট লিস্টটা অফ করে ফোনটা নামিয়ে রাখে তনুজা। তারপর আবার ভাবে, কী করবে সে! পুরনো কথা ভুলে অরিত্রীকে কী একবার ফোন করবে…! অরিত্রী তো আর তার মতো নয়। ও হয়ত সব ভুলে গেছে…
অরিত্রীর কনট্যাক্ট নম্বরটা ডায়াল করতে গিয়েও বারবার তনুজা ভাবছে কী করবে। ফোনটা করবে কী করবে না… এমন সময় আকস্মিক ফোনটা বেজে উঠল। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল একটা আননোন নম্বর। ‘এত রাতে আননোন নম্বর!’ সচরাচর আননোন কল রিসিভ করে না তনুজা। তবু এই বিপদের সময় ফোনটা কি ধরে নেওয়াই শ্রেয় হবে…! এসব ভেবে কাঁপা হাতে ফোনটা রিসিভ করে তনুজা। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসল একটি পরিচিত কণ্ঠস্বর।
-‘হ্যালো, আমি অরিত্রী বলছি। চিনতে পারছিস তনুজা?’ হতবাক তনুজা বিস্ময়ে লজ্জায় তব্ধ হয়ে যায়। ‘অরিত্রী তাকে ফোন করেছে! এই সময়! কেন…!’ বেশ কিছুক্ষণ নির্বাক থেকে একবার অস্ফুট স্বরে বলল,
-‘তুই…!?’
-‘হ্যাঁ রে তোর আজ পরীক্ষা ছিল এখানে?’
-“হ্যাঁ’ আর কিছুই বলতে পারল না তনুজা। অরিত্রী আবার বলল,
-‘আমি শুনলাম সুমিতের কাছে। ওরা নাকি অনেকবার ফোনে ট্রাই করেছে তোকে। তুই ঠিক ভাবে বাড়ি পৌঁছেছিস?’
-‘না রে আমি বাড়ি ফিরতে পারিনি। বাস পাইনি।’
-‘সে কী! তুই এখন কোথায়?’
-‘এখনো বাসস্ট‍্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে। পুলিশস্টেশন যাব ভাবছি।’ ওপার থেকে জোর গলায় ভেসে আসে,
-‘কী বলছিস তুই…! আমাকে কি একবার ফোন করা যেত না…! তুই ওখানেই দাঁড়া। আমি পাঁচমিনিটের মধ্যে স্কুটি নিয়ে আসছি।’ তনুজার গলা তখন কান্নায় ভেঙে এসেছে। আর কোনো উত্তর সে দিতে পারছে না। ফোনের ওপার থেকে অরিত্রীর দরদ ভরা গলা হ্যালো হ্যালো করতে করতে আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>