| 29 মার্চ 2024
Categories
উৎসব সংখ্যা’২০২১

ইরাবতী উৎসব সংখ্যা: তিনটি কবিতা । ফারুক আহমেদ

আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিট
অস্পষ্ট পৃষ্ঠার মতো
অনেকগুলো পা তোমার হাসিকে মাড়িয়ে গেল,
তোমার কথাকে পিষ্ট করে চলে গেল চারটি চাকা
তুমি তোমার সন্তানের জন্য আনতে গেলে খাবার,
নিয়ে এলে অবজ্ঞার তোড়া আর পুঁজির গ্লানি।
 
তোমার জীবনে কোন রূপকথা নাই;
তুমি কখনো রূপকথার ভেতর ঢুকে দেখো নাই
সেখানে কীভাবে প্রেম ময়না পাখি হয়ে উড়ে যায়।
তোমার জীবনে নাই কোন হাসির বাগান;
তোমার জীবনকে পেছন থেকে সময় হর্নের মতো
তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে কতিপয় আশ্বাসের ডেরায়।
তুমি কোথাও  দাঁড়াতে পারছো না, তুমি একটি করুন,
তুমি দালালগণের আঙুলেন ফাঁক দিয়ে পড়ে যাচ্ছো শুধু।
 
তোমার ক্রোধগুলো বেওয়ারিশ কুকুরের মতো
ফুটপাত থেকে ফুটপাতে লাফিয়ে বেড়ায়।
তুমি ক্রোধগুলো কোথাও ঢুকিয়ে দিতো পারোনা;
পারোনা একটা সুর বানিয়ে জীবনকে গিঁথে নিতে।
এভাবে তুমি পুঁজির ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে
একটি অস্পষ্ট পৃষ্ঠার মতো বেঁচে থাকো।
 
 
 
 
প্রেম এক অ্যাডভেঞ্চার
ফুটপাতে আবর্জনার মতো পড়ে আছে তোমার কথা,
দাঁড়িয়ে পরস্পর যেগুলো বিনিময় করেছিলে।
হাতধরার পর যে স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠতো
তা এখন একটি বেদনাহত মাছি, ভন ভন
করে স্মুতির পুঁজে বসেই উড়ে যাচ্ছে।
চুম্বন আর হেঁটে আসছেনা ঠোঁটের দিকে,
কোথাও রচিত হচ্ছেনা গোপন ঘরবাড়ি।
একটি শরৎ সন্ধ্যা দেয়ালে সেটে দিয়েছে
অতীতের অতিলোকিক এক অচেনা আয়না।
 
প্রেমকথার ফ্রেম, চোখে পড়ে থাকতে হয়,
রেখে দিলেই তাকে আর দেখা যায় না;
দেখা যায় অন্য মুখ।
ফলে তোমারপুস্পক রথ হয়ে যাবে শরবিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস
তুমি সর্বস্ব খুইয়ে হবে একটি কপর্দকশূন্য প্রেমপাত্র;
একাকিত্বের চাদর জড়িয়ে হুহু করে কাঁপতে থাকবে চৌরাস্তায়।
 
আমাদের দেখা হওয়ার কথা পাহাড়ের ভাঁজে
যেখানে মুখ কথা বলবে না,
কথা বলবে, চোখ, গ্রীবা, আঙুল এবং নিঃশ্বাস;
কুয়াশার ভেতর আমাদের দেখা হওয়ার কথা
তাই না প্রেম?
 
প্রেম এক অ্যাডভেঞ্চার;
প্রেম জীবনের দিকে যাওয়ার একটি সাঁকো
প্রেম আসলে পৃথিবীকে বুঝতে পারার একটি সুত্র।
 
 
 
উপমা বুলেট
 
কবি বানালেন একটি উপমা বুলেট
যার আঘাতে প্রেমিকার মুখ হলো রক্তাক্ত;
কবির ক্রোধরূপ পেল একটি আকল্পনার
তাতে তোমাকে ভাগ করে দেয়া হলো
পাঁচটি ঋতুতে, তুমি শরতে ঢুকতে পারলেনা।
তোমাকে এভাবে শ্রেণীকরণ করে
প্রজাপতি না করে করা হলো মথ;
তুমি যোসিফিনের বাগানে ঢুকলে কাটা হয়ে,
প্রেমিকা না থেকে হলে নির্দয় হরণকারী।
 
অস্পষ্ট পৃষ্ঠার মতো
অনেকগুলো পা তোমার হাসিকে মাড়িয়ে গেল,
তোমার কথাকে পিষ্ট করে চলে গেল চারটি চাকা
তুমি তোমার সন্তানের জন্য আনতে গেলে খাবার,
নিয়ে এলে অবজ্ঞার তোড়া আর পুঁজির গ্লানি।
 
তোমার জীবনে কোন রূপকথা নাই;
তুমি কখনো রূপকথার ভেতর ঢুকে দেখো নাই
সেখানে কীভাবে প্রেম ময়না পাখি হয়ে উড়ে যায়।
তোমার জীবনে নাই কোন হাসির বাগান;
তোমার জীবনকে পেছন থেকে সময় হর্নের মতো
তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে কতিপয় আশ্বাসের ডেরায়।
তুমি কোথাও  দাঁড়াতে পারছো না, তুমি একটি করুন,
তুমি দালালগণের আঙুলেন ফাঁক দিয়ে পড়ে যাচ্ছো শুধু।
 
তোমার ক্রোধগুলো বেওয়ারিশ কুকুরের মতো
ফুটপাত থেকে ফুটপাতে লাফিয়ে বেড়ায়।
তুমি ক্রোধগুলো কোথাও ঢুকিয়ে দিতো পারোনা;
পারোনা একটা সুর বানিয়ে জীবনকে গিঁথে নিতে।
এভাবে তুমি পুঁজির ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে
একটি অস্পষ্ট পৃষ্ঠার মতো বেঁচে থাকো।
 
 
 
প্রেম এক অ্যাডভেঞ্চার
ফুটপাতে আবর্জনার মতো পড়ে আছে তোমার কথা,
দাঁড়িয়ে পরস্পর যেগুলো বিনিময় করেছিলে।
হাতধরার পর যে স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠতো
তা এখন একটি বেদনাহত মাছি, ভন ভন
করে স্মুতির পুঁজে বসেই উড়ে যাচ্ছে।
চুম্বন আর হেঁটে আসছেনা ঠোঁটের দিকে,
কোথাও রচিত হচ্ছেনা গোপন ঘরবাড়ি।
একটি শরৎ সন্ধ্যা দেয়ালে সেটে দিয়েছে
অতীতের অতিলোকিক এক অচেনা আয়না।
 
প্রেমকথার ফ্রেম, চোখে পড়ে থাকতে হয়,
রেখে দিলেই তাকে আর দেখা যায় না;
দেখা যায় অন্য মুখ।
ফলে তোমারপুস্পক রথ হয়ে যাবে শরবিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস
তুমি সর্বস্ব খুইয়ে হবে একটি কপর্দকশূন্য প্রেমপাত্র;
একাকিত্বের চাদর জড়িয়ে হুহু করে কাঁপতে থাকবে চৌরাস্তায়।
 
আমাদের দেখা হওয়ার কথা পাহাড়ের ভাঁজে
যেখানে মুখ কথা বলবে না,
কথা বলবে, চোখ, গ্রীবা, আঙুল এবং নিঃশ্বাস;
কুয়াশার ভেতর আমাদের দেখা হওয়ার কথা
তাই না প্রেম?
 
প্রেম এক অ্যাডভেঞ্চার;
প্রেম জীবনের দিকে যাওয়ার একটি সাঁকো
প্রেম আসলে পৃথিবীকে বুঝতে পারার একটি সুত্র।
 
উপমা বুলেট
কবি বানালেন একটি উপমা বুলেট
যার আঘাতে প্রেমিকার মুখ হলো রক্তাক্ত;
কবির ক্রোধরূপ পেল একটি আকল্পনার
তাতে তোমাকে ভাগ করে দেয়া হলো
পাঁচটি ঋতুতে, তুমি শরতে ঢুকতে পারলেনা।
তোমাকে এভাবে শ্রেণীকরণ করে
প্রজাপতি না করে করা হলো মথ;
তুমি যোসিফিনের বাগানে ঢুকলে কাটা হয়ে,
প্রেমিকা না থেকে হলে নির্দয় হরণকারী।
 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত