Categories
ইরাবতী উৎসব সংখ্যা সিরিজ কবিতা: ক্লিক । নীলাদ্রি দেব
আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
এক.
পাতার ভেতর এত রন্ধ্র, এত জাল… হারাই-হারাই
মূলপথ, শাখা-উপ
কখনও কার্নিশে পৌঁছই, নাভিমূলে
পিঠপ্রস্থে বিন্দু গড়িয়ে পাতা থেকে পাতা হেঁটে যাই
দুই.
কোথায় পরাগ সংযোগ, মৌমাছির ডানা
ভাঙতে ভাঙতে মেঘ
সিঁড়ি বেয়ে নিচে, ক্রমে কপাল স্পর্শ করে
গানের গল্প নিয়ে কথা… থাক আপাতত
এলোমেলো ফুটস্টেপ জুড়ে
আপাত নিরীহ ঐকিক অঙ্ক মিলে যায়
তিন.
মৃৎশিল্পের দেশে আকার বানাই
মাটি ঘেঁটে মাটির ভেতর ঘুরে আসি
এত যাতায়াত, এত চিৎকার শেষে
এখনও তো প্রাণ আছে শ্যাওলার বুকে
মুঠোর ভেতর যতটা আলো,
ক্ষয় ও ক্ষত লেগে আছে
মার্জিনে ফড়িংএর ডানা
প্রকট হয়ে ওঠে দাবিহীন হাত
হালকা বিছিয়ে দিই অ্যালোভেরা জেল
চার.
ফুলদান থেকে ফুল তুলে রাখি
শুকনো, সতেজ পাতা; সরু বাঁশ রাখি
কিছু ছায়া নিজেদের টুকরো করে
মেঝের গভীরে রক্ত উঠে আসে
ছায়া দেখি, ছায়া মাপি
সাবধানে পেরোতেও চেষ্টা করি
এরপরও তীক্ষ্ণ কোনও আলোয়
ছায়ার গভীর থেকে ছায়া নড়ে ওঠে
পাঁচ.
নিয়মের শিরদাঁড়া বেয়ে ঘাম গড়িয়ে নামে
অস্তমিত সূর্যের কৌণিক মাপ জেনে নিলে
জ্যোতিষ গুলিয়ে ফেলে গ্রহের বিচার
তুমি আমি ফুল পাখি চাঁদ
কবিতার শ্বাসবায়ু ওঠে, নামে… চুপ
নীরবতা ভেঙে কখনও তো কেঁপে ওঠে
শেয়াল, শকুন