| 25 এপ্রিল 2024
Categories
উৎসব সংখ্যা’২০২১

ইরাবতী উৎসব সংখ্যা গল্প: ককপিট  । মানসী গাঙ্গুলী

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
 
 শ্রীচরনেষু বাবা, 
        
                   আজ বড় লিখতে ইচ্ছে করল তোমায় কিছু, কিন্তু কোথা থেকে যে শুরু করব ভেবে উঠতে পারছি না। আমি আজ ভীষণ উত্তেজিত বাবা। আজ আমার স্বপ্ন সফল হল, যে স্বপ্ন পূরণ করতে তুমি কিভাবে আমার পাশে ছিলে সে শুধু আমি কেন আত্মীয়-স্বজন সবাই জানে। সবাই তোমায় কত বারণ করেছিল কিন্তু তুমি আমার স্বপ্ন ভেঙে দিতে চাওনি আর তাই নিজের সমস্ত সম্বল মায় বসতবাড়িটুকুও বন্ধক দিয়েছিলে আমার পাইলট হবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আজ আমি প্রথম ফ্লাইট নিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি এলাম বাবা। ঘরে এসেই  তোমায় লিখতে বসেছি। বড় ইচ্ছে করছে তোমায় আমার প্রথম ককপিটে বসার অভিজ্ঞতার কথা সব জানাই। জানো বাবা, ককপিটে বসে বুকের ভেতর যেন হাতুড়ি পিটছিল, হাতটাও যেন কাঁপছিল। তখনই মনে পড়ল বেরোনোর সময় তোমায় যখন প্রণাম করি তুমি বলেছিলে, “সফল হও, আমাদের আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে রইল”, আর মনে মনে কি যে শক্তি পেলাম। কিন্তু জানো তো বাবা, তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতায়, ভালোবাসায় বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল, আবার নিজেকে সংযত করি এই ভেবে, ‘আমার বাবা আমায় কতটা ভরসা করেছেন, তাই তাঁর সর্বস্ব বাজি রেখেছেন আমার জন্য। হারলে আমার চলবে না। বাড়িটাকে বন্ধকমুক্ত করতে হবে, আরও দুটো বোন রয়েছে, সবই তো আমার পিছনে ঢেলেছ, এখন আমার দায়িত্ব ওদের এগিয়ে নিয়ে যাবার’। তোমায় এসব নিয়ে আর ভাবতে হবে না বাবা, তোমার ভাবনাদের আমি ছুটি দিলাম। এখন থেকে সব ভাবনা আমার। এখন আর একটা স্বপ্ন আছে বুকের মাঝে, ‘আমি নিজে বিমান চালিয়ে তোমাদের কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাব’। শুরু যখন আজ হলো সেদিন তো আসবেই, বল বাবা।
       
জানো বাবা, আকাশে ওড়ার সময় নিজেকে না পাখির মত লাগছিল। আস্তে আস্তে উপরে উঠছি যখন মেঘ ভেসে যাচ্ছে নিচ দিয়ে, আর মেঘের উপরে আমি। মনে হল এরই নাম বোধহয় স্বর্গ। ভোরের উড়ান তাই সূর্যোদয় দেখলাম ওপর থেকে। সারা দিগন্ত জুড়ে যতদূর চোখ যায় যেন এক রেখা বরাবর আবছা লালচে আভা, ক্রমে গাঢ় হয়ে উঠল। সে কি নয়নাভিরাম দৃশ্য! তারপর টুপ করে লাল রেখার ওপর দিনমণি যেন লাফ দিয়ে উঁকি মারলেন। ঠিক যেন আকাশের কপালে লাল টিপ, মায়ের কপালে সিঁদুরের ফোঁটার মত। আকাশের কতরকম রঙ দেখলাম বাবা জীবনের প্রথম উড়ানেই। শুরু করলাম যখন নীচের শহরের ঘুম ভাঙ্গেনি তখনও। আবছা আঁধারে ওপর থেকে শহরের আলোগুলো জোনাকির মত জ্বলতে দেখলাম। আস্তে আস্তে আকাশ পরিষ্কার হতে হতে সূর্যোদয়, তারও পর পরিণত সূর্যের বিভিন্ন সময়ের রঙ-রূপে আমি আপ্লুত, অভিভূত। ককপিটে বসে খুব সুন্দর পরিষ্কার দেখা যায় সামনে থেকে, যেটা সিটে বসে জানলা দিয়ে অত ভাল দেখা যায় না। জীবনের প্রথম উড়ানেই আকাশের কত রূপ দেখলাম আমি কিন্তু লেন্সবন্দী করতে পারলাম না। ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর বৃষ্টিও পেলাম, সেও যেন কি অপরূপ ধারায় ঝরছে। আর জানো বাবা, তারপরই রোদ উঠল আর কি বলব তোমায়, সারা আকাশ জুড়ে বিশাল মাপের রামধনু।  একটা নয় গো বাবা, তার খানিক নিচ দিয়ে আরও একটা রামধনু। এমন কখনও দেখিনি আগে। আমি আজ কী যে খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না গো। অনেকেই উড়ান নিয়ে যাবার সময় ছবি তোলে ককপিটে বসে। আমারও খুব ইচ্ছে করছিল, কিন্তু প্রথমবার তো তাই অতটা সাহস করিনি, সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল আমার নিরাপদে যাত্রীদের দিল্লি পৌঁছে দেবার ব্যাপারে। আমি পেরেছি বাবা, আমার স্বপ্ন সফল আজ। আরও যেন কত কী বলতে ইচ্ছে করছিল, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না উত্তেজনায়। বাড়ি ফিরে বলব সব। তুমি ও মা আমার অনেক প্রনাম নিও, বোনেদের জন্যে রইল অনেক ভালোবাসা। 
                                                            তোমার বড়কি
চিঠি পেয়ে অমৃতার বাবা মৃণালবাবুর দু-চোখ দিয়ে জলের ধারা বইতে লাগল আবেগে। উত্তেজনায় হাতে ধরা চিঠিটা থরথর করে কাঁপতে লাগল। মা সুমিতাদেবী ও দুইবোন আদৃতা ও সাদৃতাও এসে হাজির বাবার সামনে। ছোট সাদৃতা জোরে জোরে চিঠিটা পড়লে সবাই শুনল। সবার চোখে জল তখন, আনন্দাশ্রু।  
        আকাশে ভেসে বেড়াতে খুব ভালোবাসে অমৃতা। এই ভেসে বেড়ানোটা ওর কাছে স্বাধীনতা। নিত্যদিনের জীবনের ঝড়-ঝাপটার হাত থেকে মুক্তি। ভেসে বেড়ানোর সময় মনটা ফুরফুরে থাকে, মনে হয় এই বিশাল আকাশটা যেন ওর হাতের মুঠোয়, ও রাজ করছে সেখানে। কিন্তু আজ ককপিটে বসে  ওর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে বারেবারে। এক এক করে সব ওর মনে পড়ছে। বাবার সমস্ত সম্বল মায় বসত বাড়িটা পর্যন্ত বন্ধক দিতে হয়েছে ওকে পড়ানোর জন্য। আত্মীয়-স্বজন সবাই বারণ করেছে বাবাকে, আরও দুটো মেয়ে রয়েছে তাই একজনের পিছনে সব সম্বল শেষ করতে। কিন্তু ওর বাবা-মার ওর ওপর আস্থা ওকে আজ জীবনে সফল হতে সাহায্য করেছে। আজ ও মায়ের সখ পূরণ করতে নিজে প্লেন চালিয়ে বাবা-মাকে নিয়ে যাচ্ছে মিশর, পিরামিডের দেশে। এই জীবনে সব করেছে ও। আজ এই সাতত্রিশ বছর বয়সে বারেবারে চলে যাচ্ছে ও পিছনপানে। অমৃতার জন্মের ১০ বছর পর পরপর দুই বোনের জন্ম হয়। সেই বয়সে যতটা মনোযোগ পাওয়ার দরকার ছিল পায়নি ও মায়ের কাছে। তবে বাবা ওকে সেইসময় ভীষণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন। মা-ঘেঁসা মেয়ে, মাকে মনের মত করে না পেয়ে শিশুবয়স থেকেই জেদ চেপে যায় ওর, আর সেই জেদের বশবর্তী হয়েই ওর এই উড়ানে আসা। আজ ও ভীষণ ভাবে সফল। চাকরি পেয়ে বাবার বাড়ি বন্ধক-মুক্ত করেছে। মফস্বলের মেয়ে বাবাকে কলকাতায় ভালো জায়গায় ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছে, দামি গাড়ি কিনে দিয়েছে, দুই বোনের পড়াশুনার যাবতীয় দায়িত্ব নিজে নিয়ে বাবাকে চাপমুক্ত রেখেছে। একদিন বাবা ওকে ভরসা করে নিজের সব সম্বল বাজি রেখেছিলেন। আজ তাই তাঁদের নিশ্চিন্ত করার দিন ওর। ও পেরেছে। মেজবোনটি ডাক্তারি পড়তে চেয়েছিল বলে তার প্রস্তুতির জন্য ভালো ভালো টিউশন দিয়ে অমৃতা তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে পেরেছে। তাকে এমডি পর্যন্ত করিয়েছে সে। বাবার মতো সবরকম দায়িত্ব তার পালন করেছে। বর্তমানে সে ডিএম করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ছোটবোনটিও এভিয়েশনে এসেছে। তার যাবতীয় খরচও ওই বহন করেছে। এরই ফাঁকে বাবা-মাকে বহুবার দেশে-বিদেশে যথাসম্ভব ভ্রমণ করিয়েছে। আজ প্রথমবার ও নিজে প্লেন চালিয়ে বাবা-মাকে নিয়ে যাচ্ছে মিশর, পিরামিডের দেশ, মমির দেশে। ও যে সব সামাল দিতে পেরেছে তার জন্য ঈশ্বরের কাছে বারবার প্রণতি জানাচ্ছে। বাবা-মাকে মিশর ঘুরিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবার পর ওর বিয়ে। দিনক্ষণ সব ঠিক হয়ে গেছে। দায়িত্ব সম্পূর্ণ ওর, তবেই বিয়েতে  রাজী হয়েছে ও। বাবা-মা যে ওর ওপর ভরসা করে জীবনের সব সঞ্চয়, সব সম্বল বাজি রেখেছিলেন একদিন, তা তাঁদের বিফলে যায়নি সেটা প্রমাণ করতে পেরে ও খুব খুশি। বাবা-মা লোকের কাছে আজ গর্ব করেন ওকে নিয়ে। সকলে বলে, “এক ছেলেয় যা না করতে পারে, এক মেয়ে তা দেখিয়ে দিল”।
     
পড়াশোনায় বরাবরই খুব ভাল ছিল অমৃতা। মায়ের কঠোর শাসনও ছিল। পড়া তৈরি না করে কোনদিন খাবার পায়নি মায়ের কাছে। মা-ও না খেয়ে সাথে বসে থেকেছেন। তাই তাড়াতাড়ি পড়া তৈরি করে নেবার অভ্যাস জন্মেছিল ওর ছোট থেকেই। জানত নাহলে খেতে দেবে না মা। কিন্তু বোনদুটো পরপর হওয়ায় মা পারতেন না সেভাবে ওর দিকে নজর দিতে। ছোট্ট শিশু, ১০টা তো মাোটে বয়স। মাকে আঁকড়ে বড় হচ্ছিল, হঠাৎ পরপর দুই বোন এসে ওর জায়গা কেড়ে নেওয়ায় মনে মনে খুব কষ্ট হতো আর ভেতরে ভেতরে জেদী হয়ে উঠছিল সেই তখন থেকেই। এতে অবশ্য ক্ষতি ছাড়া লাভই হয়েছে বেশি। মা ছাড়া সবকিছু আগে আগে করে দেখানোর একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছিল ওর। মা তখন ছোট দুটিকে নিয়ে নাজেহাল, বড়মেয়ের মনের খবর রাখা বা তার জন্য তাকে সময় দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিল না।  মনে মনে ভাবতেন, “বড়মেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে বেশ, অথচ এই মেয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় মাকে রোজ দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। একদিন কোনো কারণে দাঁড়িয়ে না থাকার ফলে বাড়ি ঢুকে ড্রইংরুমে ঢুকে খিল দিয়ে বসে ছিল ও। বাড়ির সবার কত চিন্তা, সবাই অস্থির, মা, ঠাকুমা, জ্যাঠা। ছোট্ট মেয়ে কিভাবে দরজায় খিল দিয়ে ফেলেছে, যদি খুলতে না পারে! অবশেষে প্রায় আধঘণ্টা সাধ্যিসাধনা করার পর সে মেয়ে খিল খুলে ঘর থেকে বার হয়। তারপর থেকে মা আর ভুল করেননি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে। সেই মা যখন দ্বিতীয় বোনটি হবার সময় নার্সিংহোম ভর্তি হন, বাচ্চা হবার পর ওকে নিয়ে যান বাবা নার্সিংহোমে। ও বোন দেখে, তারপর মাকে বলে, “মা প্লিজ, আজ বাড়ি চলো, কাল আবার চলে আসবে। কাল আমার ম্যাথ ইউনিট টেস্ট আছে”। বাবা বলেন, “আমি করিয়ে দেবো তোকে”, ও মানতে চায় না। ওর ধারণা বাবা লেখাপড়া জানে না, কারণ বাবা তো কখনও কোনোদিন পড়াননি ওকে। মা-ই পড়াতেন, কাজেই ওর শিশুমনে সেটাই ধারণা ছিল মা পড়াশোনা জানে, বাবা জানে না। এরপর মাকে বাড়ি নিয়ে যেতে না পেরে সে মেয়ের ধুম জ্বর। হয়তো মনোকষ্ট থেকেই হবে কিন্তু বাড়ির সবার বারণ না শুনে সেই ছোট্ট মেয়ে ঐ জ্বর গায়ে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিল। অবশ্য ওর বাবা স্কুলে ওর জন্য ওষুধ দিয়ে সব বলে এসেছিলেন। এদিকে ওই মেয়ে নিয়ে ১০টা বছর সারাদিন কাটত মায়ের, তিনিও নার্সিংহোমে খুব মনোকষ্টে থাকায় তাঁরও জ্বর এসে গেল। ডাক্তার নার্স সবাই ভয় পেয়ে গেল সিজারিয়ানের পর ইনফেকশন হয়ে গেল কিনা ভেবে। মা-ও যে ওই মেয়ে ছাড়া থাকতে পারতেন না। সে মেয়ে মায়ের কাছে  ছাড়া শুতো না। ঠাকুমা কত বলতেন, ” আজ আমার কাছে শোও”। নিজের মাথার বালিশটি বগলে করে ঠাকুমার কাছে গল্প শুনে, “কাল তোমার কাছে শোবো” বলে চলে আসত আবার মায়ের কাছে। এরপর দ্বিতীয় বোনটি বাড়ি এলে দু’জনকে দু’পাশে নিয়ে মা শুতেন। নিজে বোনটিকে কোলে নিত কিন্তু অন্য কাউকে সে কোলে নিতে দিত না। হৈ হৈ করে উঠত, “ও সিজারের বেবি, ওকে ধোরো না, ইনফেকশন হয়ে যাবে ওর”। সবাই হাসত শুনে কিন্তু কোথায় যেন এক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত ছোট্ট অমৃতা। আর এরপর তো আরো একজন এসে দু’বছর পর ওর জায়গা দখল করে নিলে ঠাকুমা কত সাধতেন ওনার কাছে শোবার জন্য কিন্তু না ও ঠাকুমার ঘরে একটি ছোট্ট ডিভানে একা শোয়া শুরু করল। তাও বোধহয় মায়ের ওপর প্রচন্ড অভিমানে। মা যেন দিন দিন দূরে সরিয়ে দিচ্ছে এমনই ছিল তখন ওর মনের মাঝে। বড় হয়ে জেনেছে আর পাঁচজন বাবা-মা’র মত ওর বাবা-মাও একটি ছেলের আশায় আরো দুটি কন্যারত্ন উপহার পেয়েছেন। আজ তাঁরা বুঝেছেন, একটি মেয়েও একটি ছেলের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
         
বাবা-মা ভাবেন জীবনে ৩৭টা বছর পার করে, বাবার সকল দায়দায়িত্ব পালন করে অমৃতা যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে ক’টা ছেলে এভাবে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে এত কিছু করত। জানে অমৃতা এসব, কারণ বাবা-মা তার সামনেই এসব বলেন এখন। আজ বাবা-মাকে নিয়ে তাঁদের সখ মেটাতে পিরামিডের দেশে যাবার সময় ঝাপসা হয়ে আসছে ওর বাবা-মায়ের চোখ। শিশুর মতো কখনও তাঁরা আনন্দে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছেন, কখনও ভাবছেন মেয়ে নিজে প্লেন চালিয়ে তাঁদের সখ পূরণ করতে নিয়ে চলেছে, এ কী কম পাওয়া! ক’টা ছেলে এভাবে বাবা-মায়ের সখ পূরণ করতে পারে? ককপিটে বসে অমৃতার চোখও বারবার ঝাপসা হয়ে আসছে। হঠাৎ দেখে সে আকাশে রঙের খেলা। চোখ মুছে তাড়াতাড়ি ওর পাশে রাখা ক্যামেরায় সূর্যের ভেঙে যাওয়া সাত রঙকে লেন্সবন্দী করে ফেলে ও। এমন অনেক সুন্দর মনোরম ছবি ও ককপিটে বসে তুলেছে আগেও। আকাশে রঙের খেলা দেখে মনটা ওর খুশিতে ভরে ওঠে। আগামী দিনগুলোও হয়তো ওর এমনই রঙে রঙে ভরে উঠবে এই আশায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত