উৎসব সংখ্যা অনুবাদ: গ্র্যাভিটি । এটগার কেরেট । ফারহানা আনন্দময়ী
ভূমিকা– এটগার কেরেট ইজরায়েলি লেখক। ১৯৬৭ সালে ২০ আগস্টে জন্ম। হিব্রু ভাষাতেই লেখালিখি করেন। মূলতঃ গল্প, উপন্যাস আর চিত্রনাট্য লেখেন। পশ্চিমা দুনিয়ার সাহিত্য জগতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি এরই মধ্যে। তাঁর কয়েকটি গল্পসমগ্র ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। ২০১৯ এ প্রকাশিত ‘ফ্লাই অলরেডি’ গ্রন্থটিও ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছে। নিজের দেশের বেশ কয়েকটি সাহিত্য পুস্কার তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৯ এর ‘ন্যাশনাল জুউইশ সাহিত্য পুরস্কার’ অন্যতম। লেখালিখিতে ফ্রানৎজ কাফকা, উইলিয়াম ফকনার তাঁর অনুপ্রেরণা। সহজ এবং প্রাত্যহিক কথ্যভাষাতেই তিনি লেখেন। যাদুবাস্তব নয়, তবে বাস্তবজীবনে ঘটার সম্ভাবনা নেই, এধরণের কাহিনি তার গল্পে খুঁজে পান পাঠকেরা। ১৯৯০ এর পরে ইজরাইলের কথাসাহিত্যকে তিনি বিশ্বের দরবারে জনপ্রিয়তার সাথে হাজির করতে পেরেছেন। কেরেট–এর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘দ্য সেভেন গুড ইয়ারস’, ‘সাডেনলি আ নক অন দ্য ডোর’, ‘মিসিং কিসিন্জার’ অন্যতম।
গ্র্যাভিটি গল্পটি দ্য নিউ ইওর্কার–এর ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সংখ্যায় ছাপা হয়েছে।
মাত্র তিনদিন হলো নতুন এই অ্যাপার্টমেন্টে এসেছে ওরা দুজনে। আর এরমধ্যেই ঘটে গেল অঘটনটি! ঠিক ওদের ওপরেরতলার বাসার একজন নারী আটতলার থেকে জানালা দিয়ে নিচে ঝাঁপ দিলো। রোমি কফিশপ থেকে দুটো লটে নিয়ে ফিরছিল– পৌঁছেও গিয়েছিল বাড়ির সামনে!আর সেই মুহূর্তেই ওর পাশে পায়েচলার রাস্তাটাতেই এই অঘটন। ঘটনার আকস্মিকতায় রোমি এতটাই হচকচিয়ে গেল যে, লটের ট্রে–টা হাত থেকে পড়ে ওর সোয়েটপ্যান্টে সবটুকু লটে ছিটকে পড়লো। ওর চোখ আটকে রইলো নিজের কাপড়ের দিকে। এদিকে ধীরেধীরে ওর কানে আসতে লাগলো মানুষের দৌড়াদৌড়ি, চিৎকার, আর্তনাদের আওয়াজ! ওদের অ্যাপার্টমেন্টের ক্লিনার– যেকাজ করছিল, গায়ে–মুখে ঘামে ভেজা…সে–ও ছুটে এলো লবি থেকে। ভিড়ের ভেতর থেকে কে একজন বললো, নারীটার নাম রোনিত বা রিনাত এরকম কিছু। কিছুদিন আগে নাকি তিনি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছিল, “সবকিছুই হচ্ছে এই কোভিডের জন্য।” অ্যাাপার্টমেন্টের ক্লিনারও তখন বলে উঠলো, আজকাল অনেক মানুষ এরকম আত্মহত্যা করছে আর মিডিয়ায় এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে কোভিডকালীন পরিস্থিতিকে।
দূর থেকে ভেসে আসা সাইরেনের শব্দের সাথে ওর ফোনের ভাইব্রেশনটাও কেমন মিলিয়ে যাচ্ছিলো। রোমি ঠিক এই সময়ে ফোনটা ধরতে চাইছে না– ও জানে ড্যানিয়েল ফোন করছে। আর ফোনে এরকম একটা ঘটনা ওর বলতেও ইচ্ছে করলো না। নিজের গালটা ছুঁয়ে বুঝতে চাইলো ও, সে কাঁদছে কিনা! এরপর কোনোরকমে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেল। লবি পেরোতেই পেছন থেকে সেই ক্লিনারটা চেঁচিয়ে উঠলো, বললো, “কোথায় যাচ্ছেন? আপনাকেই এখন সকলে খুঁজবে কারণ একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী তো আপনি”!
“না, না, কিচ্ছু দেখিনি আমি!”
“বললেই হলো কিচ্ছু দেখিনি? আপনার সবচেয়ে কাছে ও লাফ দিয়ে পড়েছে। আর দেখছেন না, আপনার সারা গায়ে, কাপড়ে রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে!”
“না। এ তো কফি! আমার হাত থেকে পড়ে সব লেগে গেছে।”
“হতে পারে কফি। কিন্তু আমার চোখে রক্তের মতোই দেখাচ্ছে। পুলিশ আসা পর্যন্ত আপনাকে এখানে থাকতে হবে। ওরাই ভালো বুঝবে, কফি, নাকি রক্তের ছিটে।”
রোমির একমুহূর্তও আর দাঁড়াতে মন চাইছিল না। সামনের দিকে হাঁটা দিলো ও। ওদিকে ফোনটাও বাজছে আবার। ক্লিনারটা “এই যে, এই যে শুনছেন?” ব’লে ডেকেই চলেছে। হঠাৎ পেছন থেকে একটা পুরুষকণ্ঠ ভেসে এলো, “এই! ওকে আর বিরক্ত কোরো না। ওকে একা থাকতে দাও!”
গাড়ির দরজা খুলে দ্রুতই বেরিয়ে এলো ড্যানিয়েল। “কী হলো, ফোন ধরো না কেন তুমি?” এটা বলতে বলতেই ওর চোখ গেল রোমির কাপড়ে ছিটকে লেগে থাকা কালচে দাগগুলোর দিকে। রোমি আকস্মিক ঘটে যাওয়া এইসব ঘটনাগুলো আর ওই মাতব্বরি দেখাতে আসা ক্লিনারের কথাগুলো বলতে চেয়েও কিছুতেই বলতে পারলো না। কেমন গুমরে উঠলো ও। ড্যানিয়েল খানিকটা বুঝতে পারলো ওর মনের অবস্থাটা, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত রোমিকে জড়িয়ে ধরলো আলতো করে। ওকে আশ্বস্ত করার স্বরে বললো, “শান্ত হও তুমি। কী হয়েছে, বলো আমাকে”।
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে রোমি পুরো ঘটনাটা ওকে বললো। আত্মহননে যাওয়া নারীটার প্রতি পূর্ণ সমবেদনা রেখেই সে কথাগুলো বললো, কিন্তু কোথাও যেন একটা চাপা ক্ষোভ রোমির স্বরে! ওর কেবলই মনে হচ্ছিল, সাড়ে নয় কোটি টাকা খরচ করে ওরা এই অ্যাাপার্টমেন্টটা নিলো মাত্র সেদিন। ড্যানিয়েলের মা অবশ্য প্রায় চার কোটি টাকা দিয়েছে ওদেরকে। কিন্তু ২৩ বছরের মর্টগেজে ঘরটা কিনলো ওরা। এটা শোধ করতে লেগে যাবে দীর্ঘ ২৩টা বছর! আচ্ছা, এরমধ্যে যদি ও সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে! এরকম একটা ট্রমার মধ্যে সঙ্গম, সন্তান! আর সেই সন্তান একদিন বড়ো হবে, স্কুলে যাবে, এরপরে কলেজ, হয়তো এরপর সেনাবাহিনীতে নাম লেখাবে, যুদ্ধাহত হয়ে ঘরে ফিরবে! এতকিছু করে, এত সময় পেরিয়ে ওদের সন্তান এই ঘরটাতেই ফিরবে, যার নিচেই আজকে রোনিত বা রিনাত নামের একজন নারী আটতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে শেষ করে দিলো!
ওরা যখন এই অ্যাাপার্টমেন্টটা কিনবে বলে মনস্থির করলো, বিক্রেতারা এই কথা বলে প্রচার চালিয়েছিল যে, সেইসব তরুণ পেশাজীবিদের জন্যই এটা তৈরী করেছি, যারা নিজেদের শ্রম, ঘামের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজেদেরকে আরেকটু উন্নত, সুখি যাপনে নিজেদেরকে রাখতে পারবে। তো কী হলো? এই বুঝি সুখি জীবন আর যাপনের নমুনা! একজন নারী মানসিক অবসাদের ভারে এতটাই নুয়ে পড়লো যে, তাকে নিজ বাড়ির আটতলার ব্যালকনি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে নিজের প্রাণ নিতে হলো! সে যদি একান্তই জীবনের ভার আর বইতে না চাইতো, সে তো পারতোই বাথরুমে কিংবা নিজের শোবার ঘরে আত্মহত্যা করতে! কেন ওকে আমাদেরই ঘাড়ের ওপরে থেকে লাফিয়ে পড়তে হলো? কেন?
“না, না। ড্যানিয়েল, আর একমুহূর্তও নয়। এখানে আমি থাকতে পারবো না। এত চাপ নিয়ে থাকাও সম্ভব নয়” বললো রোমি।
“এভাবে ভেবো না তুমি। এটা এই বাড়ির সমস্যা নয়। কিংবা ওই দুঃখী নারীটারও কোনো দোষ নেই এখানে। এই বাড়িতে আমাদের থাকাথাকির সাথে এসবের কোনো সংযোগ নেই। দেখো, সব ঠিক হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যে”।
“না। কিছুতেই না। এখানে আর নয়। হ্যাঁ, আমি বুঝতে পারছি, সমস্যাটা ওদের নয়। এ আমার সমস্যা। কিন্তু কী বলো তো, তোমার মা তার সারাজীবনের পেনশনের টাকা আমাদেরকে দিলেন বাকি জীবন এই আতঙ্ক আর চাপ বয়ে বেড়াবার জন্য নয় নিশ্চয়ই। আমরা এমন একটা পরিবেশে কী করে থাকি বলো, যেখানে, একজন প্রতিবেশীরও নাম জানি না আমরা, চিনি না! অথচ প্রতি মুহূর্তে একটা আতঙ্কে থাকতে হবে, কে কখন আবার মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে আর আমাদের ঘাড়ের পাশ দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে?”
পরদিন অর্থাৎ ওর অন্তিমক্রিয়ার দিনে নিশ্চিত হওয়া গেল ওই নারীর নাম সারিত। ড্যানিয়েল এর একটা শেষ চাইছিল। ও খুব আকুতি দিয়ে রোমিকে জোর করলো সেই অন্তিমক্রিয়া অনুষ্ঠানে যাবার জন্য। রোমির মন কিছুতেই চাইছিল না যেতে। তখন ড্যানিয়েল বাধ্য হয়ে ওকে বললো, তাহলে বরং তোমাকে একজন থেরাপিস্টের কাছে নিয়ে যাই। থেরাপি! রোমির মনে হলো থেরাপির চাইতে ওই শোক–আয়োজনে যাওয়াটা বরং সহজ ওর জন্য। ড্যানিয়েল ওয়েজে খুঁজে খুঁজে অনুষ্ঠানের স্থানটা বের করলো– তবে যাবার সময়ে পুরো পথটায় দুজনের মধ্যে একটা কথা বিনিময়–ও হলো না। পৌঁছে একটা ফুলের তোড়া কিনলো ড্যানিয়েল, ধীরে ধীরে এগুলো দুজনেই। শোকে সমাহিত পুরো পরিবেশ। হঠাতই সেই ক্লিনারটি কোথা থেকে যেন দৌঁড়ে এলো। এসেই বলতে শুরু করলো, “না, না, কাল আপনাদের ওভাবে চলে যাওয়া ঠিক হয়নি পুলিশ আসবার আগেই”। আরো কিছু বলতে চাইছিল, কিন্তু ড্যানিয়েল ওকে একটু ঠেলে দূরে সরিয়ে দিল। ও চাইছিল না, রোমি আবার বিরক্ত হোক। আচ্ছা, আচ্ছা, ঠিক আছে বলে ক্লিনারটা চলে গেল বটে কিন্তু ঠিক দু’মিনিট পরেই বৃদ্ধ এক দম্পতিকে নিয়ে ফিরে এলো সেখানে।
“ওই যে আপনাদেরকে বলেছিলাম, এর নাম রোমি। ঠিক এর গায়ের পাশেই কাল আপনাদের মেয়ে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে”।
“আমরা সারিতের বাবা–মা। আমি আইজ্যাক আর ও সোশানা।“ বলেই বৃদ্ধ লোকটি ড্যানিয়েলের হাতটা ধরতে চাইলো। এই কোভিডের মধ্যে ড্যানিয়েল কিছুতেই আগ্রহ দেখালো না করমর্দনে। বরং রোমিকে টেনে নিয়ে আরেকটু দূরে সরে গিয়ে মাথা ঝাকাতে লাগলো। ততক্ষণে সারিতের মা কাঁদতে শুরু করেছে। আইজাক আবার এগিয়ে এসে রোমিকে জিজ্ঞেস করলো, “শেষমুহূর্তে তুমি কি আমার মেয়েকে দেখেছিলে? লাফিয়ে পড়ার পরমুহূর্তে কেমন ছিল ওর মুখটা?” রোমি এবার সত্যিই এক্কেবারে গুটিয়ে গেল নিজের মধ্যে। ও আশা করেছিল, ড্যানিয়েল হয়তো পরিস্থিতিটা সামলে নেবে। কিন্তু ড্যানিয়েলও কেমন চুপচাপ, অসাড় দাঁড়িয়ে রইলো ওদের সামনে। আর সারিতের মা কেঁদেই চলেছে, কেঁদেই চলেছে…!
সে রাতটায় কিছুতেই আর ঘুম আসছিল না রোমির চোখে। এপাশ, ওপাশ করছে। ওদিকে ড্যানিয়েল অভ্যাসমতো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। কিছুক্ষণ খাটে গড়াগড়ি করে রোমি উঠে পড়লো। সিগারেটে মারিজুয়ানা ভরতে ভরতে এসে দাঁড়ালো ব্যালকনিতে। ড্যানিয়েলের এক বন্ধু ওদের কাছে এটা বিক্রি করেছিল, খুব তেজি নেশা– ওর গা থেকে কুকিজের মতো একটা গন্ধ বেরোয়। ব্যালকনির রেলিং–এ ভর দিয়ে একটু ঝুঁকে নিচে রাস্তায় তাকালো রোমি। ঠিক সেইখানটায় ও গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো, যেখানে কাল সারিত নামের বিষাদী নারীটা লাফিয়ে পড়েছিল। ক্লিনারটা আজ বিকেলে ওই শোক–অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেছিল, ওই জায়গাটায় নাকি চাপচাপ রক্তে জমাট বেধে ছিল মাটি–ঘাস। কই! আজ, এখন তো কোনো রক্ত নেই সেখানে। কী সজীব সবুজ ঘাস! আর তারই পাশে দাঁড়িয়ে একজোড়া তরুণ–তরুণী কী গভীর ভালোবাসার আলিঙ্গনে নিজেদেরকে বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক ওইখানটাতেই!
রোমির তখুনি মনে পড়লো, ও ড্যানিয়েলকে খুব রেগে গিয়ে বলেছিল, “মেয়েটা আর সময় পেল না উপর থেকে লাফ দেবার? আমি যখুনি লটের দুটো কাপ ট্রেতে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ফিরছি, ঠিক তখুনি কেন ওকে আমার সামনেই লাফ দিতে হলো?” ড্যানিয়েল ওকে বুঝিয়েছিল, পৃথিবীর অন্য কোনো বিষয়েই তখন নারীটার আগ্রহ ছিল না। সে তখন এক্কেবারে নিজের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু আজ, এই রাত্রে, ব্যালকনি থেকে দেখতে পাওয়া ওই আনন্দিত যুগলকে দেখে ওর ধারণা মুহূর্তে বদলে গেল। ওর কেবলই মনে হতে লাগলো, সেদিন বিকেলে লটের দুটো মগ হাতে আমাকে দেখে সারিত নামের বিষাদী নারীটা নিশ্চয়ই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছিল। নারীটা অনুভব করেছিল, দুটো মগ মানেই রোমি ওর প্রিয়তম সঙ্গীর জন্য এত যত্নে আরেকটা লটে নিয়ে যাচ্ছে। ওর সুখি মুখটা সারিতের সকল অবসাদকে মুহূর্তে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর নিজেকে শেষ করে দেবার সাথে সাথে রোমির সুখকেও শেষ করে দিতে চেয়েছিল।
হ্যাঁ, রোমিরও এই মুহূর্তে একটা ইচ্ছে তীব্র থেকে তীব্রতর হ’তে লাগলো। সাততলার ওই ব্যালকনি থেকে নিচের রাস্তায় ভালোবাসারত যুগলের মধ্যেখানে লাফ দিয়ে পড়ার মরণ–ইচ্ছা জাগ্রত হলো তীব্রভাবে। ওর হাহাকারের আগুনে নিমেষেই পুড়িয়ে খাক্ করে দিল ওদের আনন্দকে।
কবি, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক