| 24 এপ্রিল 2024
Categories
উৎসব সংখ্যা’২০২১

ইরাবতী উৎসব সংখ্যা: পাঁচটি কবিতা । আশির ব্রত চৌধুরী

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
১.
 
দলছুট পাখিকে রাস্তা দেখানোর দায়িত্ব কে নিয়েছে তা আমি
জানি না। আসলে নূপুরেরও নিজস্ব অভিমান থাকতে পারে।
শুধুশুধু রচয়িতার মিথ্যে নাম নিয়ে অন্য গ্রহে ছায়া ফেলতে আমি
আর ইচ্ছুক নই।
অলিন্দ থেকে দূরদৃষ্টি কল্পনা করা, এক প্রাচীন রীতি। ক্রমাগত
ঢালুর দিকে বয়ে যাওয়া জলকে কেউ তো আর অনুসরণ
শেখায়নি। জানালা বাঁচিয়ে রোদকে আর কত ডাকা যায়!!
প্রতিনিধিত্বে সওয়ারি হওয়ার জন্যে, বল্লম মোটেই আবশ্যক নয়।
তবে তাবুতে মশাল জ্বালানোর কারণ, জোনাকিরা অবশ্যই জানে।
 
 
 
 
 
 
 
২.
 
আক্ষেপের ক্ষেত্রফল বেশি হলে পরাজিত মানুষ
ভিন্নতর সংজ্ঞা খুঁজে।
বিদায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করে সবাই তো আর
অতীতবিবৃতি স্মরণ করে না।
শ্যামল হওয়ার জন্যে আহবান এক ঈশ্বরকণা।
নিবৃত্তিতে আগুন দিও না কুঠার। জলাশয় স্থাপন করেই
অবলোকন সম্পন্ন করবো।
ব্যপ্তির গায়ে রশি লাগিয়ে দিয়েছি।
যা তে সে উড়তে না পারে।
পরাজিত সৈনিকের মৃতদেহ কেউ সংরক্ষণ করেনি।
 
 
 
 
 
 
 
৩.
 
স্পন্দন চিরকালই নিভৃতচারী। তবুও নিখুঁত হওয়ার জন্যে
চন্দ্রমল্লিকারা আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। অভিশাপ দিও না
কালোরাত। প্রত্যাশার পরিনতির অপেক্ষায় আজও নিষিদ্ধ দরজা
পাহারা দিয়ে যাচ্ছি।
ঋতুবতী হওয়ার আগে নদীও তার ক্ষেত্রফল বাড়িয়ে নিতে পারে।
তাই, উন্মুক্ত জলাশয়ে কোনো প্রহরী রেখে লাভ নেই। যোজনা
ব্যর্থ হলে ভিন্ন তীরন্দাজের খোঁজে সমগ্র দণ্ডকারণ্য খোঁজা
আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়।
শূন্যতা নিয়ামক হলে কান্নাকে বয়ে নিয়ে যাবার জন্যে অন্য
মাধ্যম খুঁজতে হবে। আগুনকে যারা প্রশ্রয় দিয়ে এখানে
এনেছে ; ছাই ওড়ানোর দায়িত্বও তাদেরকেই নিতে হবে।
 
 
 
 
 
 
 
৪.
 
অভিযোগে ভেঙে পড়ে তামার নগরী
বিভাজন হয়ে গেছে
যৌথ সরণি।
ধর্ণা দিই, স্বপ্নবিলাসী প্রত্যয়ের কাছে।
স্নেহআলো মুছে দিয়ে পাঠ করি নীরব কথিকা।
প্রণয়কে জৌলুশ দাও।
রূপান্তর এক নীরব প্রক্রিয়া।
প্রয়োজনে নতুন অভিযোজন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
 
 
 
 
৫.
 
শেষ রাতের গান অন্য একটি ভোরের প্রত্যাশা করে মাত্র।
আমরা জানি, দুঃখকেও যত্ন নিতে হয়। ইচ্ছে করে কেউ তো আর
গোলাপের বাগানে আতর ছিটিয়ে রাখবে না।
ফেরারি হওয়ার আগে তছনছ করে দিয়ে এসেছি কেয়াঝোপ।
কারণ, কা কে দিয়ে যাবো কলঙ্ক মোচনের দায়? ডিঙির বহর
একে একে অতিক্রম করে গেছে পুরোনো বন্দর। বুঝাতে পারিনি
সুরেলা হওয়ার জন্যে বাঁশিকেও সিক্ত হতে হয়। প্রতিশব্দ তৈরি
করা একক ভাবে আয়নার দায়িত্ব ছিলো না।
নিভিয়ে দেয়ার আগে পিদিমের সম্মতিকে আমরা গাহ্য করিনি।
তবে নূপুর কেনো রাজদরবার প্রত্যাশা করে, সে জিজ্ঞাসা
আপাতত উহ্য থাক। নিঃস্ব ডাকঘরও একটি ফেরত চিঠির
অপেক্ষায় থাকে।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত