ইরাবতী উৎসব সংখ্যা: সম্পাদকীয়
হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে সুমঙ্গল শঙ্খ॥ শত মঙ্গলশিখা করে ভবন আলো, উঠে নির্মল ফুলগন্ধ॥
উৎসব শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে সমারোহ, আমোদ, আড়ম্বর, অনুষ্ঠান, সমাবেশ ইত্যাদি সব জাঁকজমক শব্দ। উৎসব তাই একা হয় না। উৎসবে থাকতে হয় হরেক রকম মানুষ, যারা নেচে-গেয়ে, হইচই করে উৎসবকে করে তোলে প্রাণবন্ত। সেই অর্থে উৎসব সবার। কিন্তু আর্থ সামাজিক অবস্থা ভেদে আমরা খুবই দুঃখজনক ভাবে উৎসবগুলোকে সবার করে তুলতে পারি না। এর মাঝে ব্যতিক্রম হল ধর্মীয় উৎসবগুলো। স্বাভাবিকভাবেই যে দেশে যে ধর্মের মানুষের বেশি বাস, সে দেশে সেই ধর্মের উৎসব হয়ে ওঠে সার্বজনীন।
উৎসবে সাহিত্য একটি অনুষঙ্গ যা বহুকাল ধরে বহমান। দৈনিক ইরাবতী প্রতি বছরের মতো এ বছরও উৎসব সংখ্যার আয়োজন করতে পেরেছে লেখক, পাঠক ও ইরাবতী পরিবারের ভালোবাসায়। উৎসব সংখ্যার অতিথি সম্পাদক ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ও হামির উদ্দিন মিদ্যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতা ছাড়া এই বিশাল সংখ্যা করা সম্ভব হতো না। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সংখ্যাটির সব লেখা একসাথে প্রকাশ করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা হয়ত ক্ষমার অযোগ্যই তবুও এই দায় মাথা পেতেই নিচ্ছি। ইরাবতী পরিবার ও টিম ইরাবতীর সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেও বিশেষ কৃতজ্ঞতা সংগ্রামী লাহিড়ী ও অদিতি ঘোষ দস্তিদারের প্রতি।
সংখ্যাটি পাঠকের ভালো লাগলে আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
সম্পাদক, ইরাবতী
অলকানন্দা রায়