পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে অভির মনটা জংলি হয়ে উঠেছিল। মনের প্রকৃতি ছায়া ফেলছিল মুখে। দিন রাতের হিসাব নেই। অভি ঘুরে চলেছে পাহাড় থেকে পাহাড়ে। জঙ্গল থেকে জঙ্গলে।কালো পিচের রাস্তা ধরে নয়। সে চলেছে জঙ্গলের ভেতর। এই পথ মসৃণ নয়। এবড়োখেবড়ো, পাহাড়ি লতায় জড়ানো। এ পথে অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে হাঁটতে হয়। একবার অসতর্ক হলেই সোজা খাদের অতলে।
তলিয়ে যাওয়ার কষ্ট অভির অজানা নয়। সে চলেছে উদ্দেশ্যহীন। গালে অনেক দিনের দাড়ি। মাথায় অযত্নলালিত ঝোপঝাড়। পিঠে ন্যাপস্যাক। ন্যাপস্যাকে স্থানীয় বাজার চলতি মদ।
কলকাতায় বিলাতি চলত। এখানে ওসব মেলে না। প্রথম প্রথম অসুবিধা হত। মুখের ভেতর স্বাদকোরকগুলো যেন গুটিয়ে থাকত। তারপর আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেল। রাতের লাস্যময়ী কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের গ্রাম্য পাহাড়ি পথ। শহুরে উত্তরাধুনিক স্ত্রী থেকে বহুভোগ্যা মঙ্গোলয়েড নারীদের নোংরা বিছানা। সবই মিলে মিশে একাকার।
থাক সে কথা। লোকালয় থেকে তখন অনেক দূরে। হঠাৎ এক দিন চাপা কান্নার আওয়াজ। অভি কান খাড়া করে শোনে। কিশোরী কন্ঠ। এগিয়ে যায় সে। চারধারে অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। বাড়ি-ঘর নয়, যেদিকে চোখ যায় শুধু-ই পাইনের জঙ্গল। আর তার কান্ড পাতা থেকে ঝুলে থাকা কুয়াশা।
খুঁজতে থাকে অভি। একটা বড় পাথর। পাথরে বসা মেয়ে। বালিকা থেকে রজস্বলা হয়ে ওঠা। পরনে দুধ সাদা স্কুল ড্রেস। দেখলেই বোঝা যায় স্থানীয় নয়। সুদূর কোন সমতল থেকে আসা। পাহাড়ে বোর্ডিং স্কুলের সংখ্যা অনেক। সেগুলোরই কোন একটা হবে।
সে যাইহোক, অবাক হয় অভি। একা মেয়ে, এরকম নির্জন জায়গা। বাঘ ভল্লুক না থাকলেও বিষাক্ত পোকা, সরীসৃপ আক্রমণ করতে পারে যে কোন সময়। তাছাড়া বর্ষা ঢুকে গেছে। পাইথনদের জেগে ওঠাও অস্বাভাবিক নয়। উদ্বিঘ্ন সে জিগ্যেস করে, কে তুমি! এখানে বসে কাঁদছ কেন! মেয়েটা তাকায়। টানা টানা দু’টো দিঘল চোখ, উপচে পড়ে জলে। অভি আবার জিগ্যেস করে, কে তুমি! কাঁদছ কেন! মেয়েটা বলে, ‘আমি কৃষ্ণকলি। আমি হারিয়ে গেছি তাই কাঁদছি।’
অভি চোখ বোলায়। ডা্র্ক কম্পলেক্সন, শহুরে শৌখিনতা। উদ্ধত দু’টো বুক।
এরকম মেয়ে সে অনেক দিন পর দেখল। শেষ দেখেছিল শ্রেয়াকে। শ্রেয়া, অভির বউ। না, একটু ভুল হল। তখন সে অভি নয়, আভি, সেক্টর ফাইভের এক নামজাদা বহুজাতিকের তরুণ তুর্কী। স্যুট, টাই ঠান্ডা গাড়ি। ফিরতে ফিরতে সেই মাঝ রাত। তার ওপর আজ সিংগাপুর কাল হংকং।
যাক সে কথা। ওসব এখন তার পিটুইটারিতে বিষাক্ত সুচ হয়ে ফোটে। মনটা হয়ে ওঠে প্রতিহিংসাপরায়ণ।
কোন স্কুলের মেয়ে তুমি? এদিকে কোথায় এসেছিলে? সে আবার জানতে চায়। মেয়েটা তার ব্যাজ দেখায়। খ্রিস্টান মিশনারি। এতক্ষণে তার বুকের ভাঁজে লুকোনো ক্রসটাও চোখে পড়ে অভির। বেড়াতে এসেছিলাম, রাস্তা চিনতে পারছি না, মেয়েটা উত্তর দেয়। অভি আশ্চর্য হয়। এই ঘন জঙ্গলে একা বেড়াতে! কেন পারি না! একা মেয়ে বলে! চোখ মোছে সে।
হোঁচট খায় অভি। কথার সেই একই গোলক ধাঁধা। এক সময় এসব সে অনেক দেখেছে। অফিস, কাছারি, ঘরে, বাইরে। সে বলে, যারা একা একা জঙ্গলে বেড়াতে পারে তাদের কান্নাকাটি মানায় না। কথা শেষ করে হাঁটতে থাকে সে। মেয়েটা পেছন থেকে বলে, ‘আচ্ছা লোক তো মশাই, ইয়ার্কিও বোঝেন না। এই ঘন জঙ্গলে একা একটা মেয়েকে ফেলে যাচ্ছেন। যদি বাঘে খায়!’ অভি থামে না। চলতে চলতেই বলে, এ বনে বাঘ নেই, সারা রাত বসে থাকতে পার।
তারপর খানিক নীরবতা। পাহাড়ের ঢালে একটু যেতেই হঠাৎ টান পরে অভির হাতে। ফিরে তাকায় সে। দেখে মেয়েটা হাসছে। কালো গোলাকার যে মুখটা এতক্ষণ অভির স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল সেটা মুহূর্তে দুমড়ে মুচড়ে মাংস পিন্ডে পরিণত হয়েছে। চোখ বন্ধ করে সে। ভেসে ওঠে শ্রেয়া। হাসলে শ্রেয়ার মুখের রেখাগুলোও এরকম দেখাত। মাথা ঘোরে তার। চোখে বিদ্যুতের ঝলক তুলে মেয়েটা বলে, ‘সত্যি-ই নেই! তাহলে তুমি এলে কেন! আর এসেই যখন পড়লে তখন ফেলে যাচ্ছ কেন!’
অভি কি বলবে বুঝতে পারে না। মেয়েটা মায়াবী হয়ে উঠছে। চোখে অলৌকিক আলো। সেই আলোয় যেন পৃথিবীর সমস্ত পাপ মুছে যাবে। অভি উপলব্ধি করে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ঠিক মদের নেশা নয়। কষ্ট মেশানো অন্য আর এক রকমের কিছু। খুব সূক্ষ্ম অথচ তীক্ষ্ণ। ন্যাপস্যাক থেকে বোতল বার করে সে। খানিকটা ঢেলে দেয় গলায়।
তারপর হাঁটতে আরম্ভ করে। দলে দলে মেঘ এসে ঘিরে ধরে আশপাশের পাহাড়গুলোকে। পাকদন্ডীগুলো অনেক রহস্য ছড়িয়ে হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে যায় বাঁক ঘুরে। মেয়েটা চোখ রাখে অভির চোখে। বলে, আমায় কলি বলে ডেক। ভালো লাগবে। অভির ঝটকা লাগে। ‘ভাল-লাগা’, ‘ভাল-বাসা’ কথাগুলো বড় সন্দেহজনক। মানুষ মানুষকে ঠকাতে চাইলে এই সব বলে।
এসবের সঙ্গে অভির পরিচয় অনেকদিনের। বিয়ের ঠিক পর থেকেই। শ্রেয়া উঠতে বসতে বলত। খেতে শুতে ঘুমুতে। প্রথম প্রথম সে ভাবত কথাগুলোর একটা শক্তি আছে। বেশ ছেঁদে-বেঁধে রাখে। কাজের টেনসনেও ফুরফুরে থাকা যায় দিব্যি।
কিন্তু যেদিন সে শপিংমলে আবিষ্কার করল সেই বিষাক্ত পোকাটাকে, নিজেরই বউয়ের সঙ্গে। শ্রেয়া যাকে পরম আদরে গাল টিপে দিচ্ছিল। একমনে খেলা করছিল এসক্যালেটরে দাঁড়িয়ে। সেদিনই অভি প্রথম অনুভব করেছিল সব-ই আসলে কথার কথা। বলতে হয় তাই বলা।
ওরা নামছিল। হঠাৎ এক ঝাঁক সাদা বৃষ্টির ফোঁটা। কাঁপুনি ধরানো ঠান্ডা বাতাস। অভি তাকায়, মেয়েটা চেপে ধরে তার হাত। টেনে নিয়ে চলে পাইনের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। অভির মনে হয় এ তল্লাটের প্রতিটা গাছ মেয়েটির চেনা। জঙ্গলের ভেতর চলে যাওয়া পথগুলো সবই ওর আপন।
কিছুটা দৌড়ে তারা একটা পরিত্যক্ত ঘরে এসে ওঠে। কাঠের, জানালা দরজা নেই। দুজনেই ভিজে হাপুস। কাঁপুনি লাগে। অভি আধখালি বোতলটা উপুড় করে দেয় মুখের মধ্যে। মেয়েটা পাশে দাঁড়িয়ে। ভিজে স্কুলড্রেসটা কামড়ে ধরেছে তার নরম শরীরটাকে।
চোখ সরায় অভি। এদিক সেদিক দেখে। হঠাৎই তার খেয়াল হয়। মেঝেয় ভিজে ইউনিফর্ম আর ছেড়ে রাখা অন্তর্বাস। সম্পুর্ণ নগ্ন কৃষ্ণকলি। দুপায়ের ফাঁকে কালো কুঞ্চিত কেশদাম।
অভির মাথায় তখন তরল আগুন। শরীরের সমস্ত রক্ত এসে জড়ো হয়েছে কানের দু’টো পাতায়। কৃষ্ণকলি জড়িয়ে ধরে তাকে। বলে, আমায় উঞ্চতা দাও। তার গলায় তীব্র আকুতি। সম্মোহিত হয় অভি।
সেদিন রাতভর ঘুম নেই। অভি সারা রাত ছোবল মারে কৃষ্ণকলির নগ্ন দেহে। কৃষ্ণকলি তীব্র শীৎকারে ভরিয়ে তোলে আকাশ বাতাস। শেষ রাতে অভি ঘুমিয়ে যায় ক্লান্ত শরীরে।
সেই ঘুম যখন ভাঙে, চারদিক ফরসা। রোদ না উঠলেও, বৃষ্টি থেমেছে। চোখ মেলে অভি দেখে ঘরে সে একা। কৃষ্ণকলির চিহ্নমাত্র নেই। ছড়িয়ে থাকা ইউনিফর্ম, অন্তর্বাস চোখে পড়ে না কিছুই। সে উঠে বাইরে আসে। তার সমস্ত শরীর পাথরের মতো ভারি, নিস্তেজ হয়ে রয়েছে।
বৃষ্টিতে আবছা দেখাচ্ছিল, এখন সেটাই একটা ছবির মতো গ্রাম। ছোট ছোট একচালা ঘর, টিনের ছাউনি। সারারাতের বৃষ্টিতে ধস নেমেছে। জল নামার রাস্তাগুলো রাতারাতি পরিণত হয়েছে ঝরনায়।
অভি ঘোরে গ্রামখানা। জনপ্রানী নেই। গা ছমছমে স্তব্ধতা, অশনি যেন চলতে চলতে থমকে দাঁড়িয়েছে। এই জনশূন্য গ্রামে মেয়েটা গেল কোথায়! ভেবে পায় না সে। হয়রান হয়ে খোঁজে। ঘন্টার পর ঘন্টা। দিনের পর দিন। পৌঁছে যায় তার স্কুল পর্যন্ত। দারোয়ান বলে, ও নাম ভুলে যান বাবু। ও বড়ি খতরনাক লড়কি থি। অভি জিগ্যেস করে, কিঁউ?
-ইসকে আগে মুঝসে মাত পুঁছো, বাতানে মে শরম আতা হ্যায়।
অভি কথা বাড়ায় না। ফিরে চলে। একটা ছায়া সর্বক্ষণ তাকে যেন অনুসরণ করে। হাত বাড়িয়ে গলা টিপতে চায়। থমকে দাঁড়ায় অভি। দেখা যায় না, শুধু মনে হয়। সে নেমে আসে ম্যালে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি হোটেল আর একটানা মার্কেট।
অভি খুঁটিয়ে দেখে চলমান মেয়েদের মুখ। ভিড়ের মাঝে এক পাগল বুড়ো কানের কাছে মুখ এনে বলে, সব ভুল, সব মিথ্যে। তারপর হেসে ওঠে হো হো করে। হাসি থামিয়ে আবার বলে, তাকে খুঁজতে যেও না, সে কোথাও নেই। ওই টুকু বলেই যেন মিলিয়ে যায় লোকারণ্যে। অবাক হয় অভি। তার সিক্সথ সেন্স বলে পাহাড় ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু সে পারে না। একটা অদৃশ্য বাধা যেন টেনে ধরছে তাকে। তার কেবলই মনে হয় কৃষ্ণকলি মিথ্যে নয়। সে আছে। তার দেখা সে পাবেই।
কিছুদিন এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে উদ্ভ্রান্ত অভি ফিরে আসে সেই কাঠের ঘরটাতে। জানালায় তখন আনমনা এক নারী। বিষ্মিত হয় অভি। শ্রেয়া!
শ্রেয়া বলে, হ্যাঁ আমি।
-তুমি! এখানে!
-কেন! আসতে পারি না? আমার সন্তানের পিতৃপরিচয়……
অভি আকাশ থেকে পড়ে।
-সন্তান! ইমপসিবল।
এ ফসল তোমার, উত্তর দেয় শ্রেয়া। অভির রক্ত গাঢ় হয়।
-আমার ফসল! প্রমাণ কি!
শ্রেয়া হাসে, প্রমাণ আমি। সন্তানের পিতৃ পরিচয় জানে এক মাত্র তার মা। দীর্ঘদিন ধরে অভির মনে বন্দি ক্রুদ্ধ জন্তুটা বেরিয়ে আসতে চায় শ্রেয়ার কথা শুনে। সে চেপে ধরে শ্রেয়ার গলা। শ্রেয়া ছটফট করতে থাকে। করতে করতে এক সময় শান্ত হয়ে যায়।
শান্ত হয় অভিও। পরম নিশ্চিন্তে সে বেরিয়ে আসে কাঠের ওই ঘর ছেড়ে। কিছুদূর এসে আবার ফিরেও চলে। শ্রেয়ার মুখটা একবার দেখা দরকার। মেয়েদের মুখ বিকৃত হলেই সুন্দর লাগে।
কিন্তু ফিরে এসেই ভয় পায় সে। মেঝেয় পড়ে শুধু সেই স্কুল ড্রেস, ছেড়ে রাখা অন্তর্বাস। অভির কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। সে এদিক সেদিক তোলপাড় করে। ঘরের নিচে, পিছনের হাড়গিলে নদীখাতে। কিন্তু না কোথাও কোনও চিহ্ন নেই। দূরের উপত্যকা থেকে উঠে আসে কিছু সাদা ধোঁয়া।
ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ধাক্কা লাগে বুকে। অভি দেখে কৃষ্ণকলি। জড়ানো গলায় সে বলে, কলি তুমি এসেছ? কৃষ্ণকলি বাঁকা হাসে। ভারি হয়ে নেমে আসা চোখের পাতার ফাঁক দিয়ে অভি দেখে কৃষ্ণকলির মুখটা আবার হয়ে উঠছে মাংসের দলা। তা থেকে আসছে পচা গন্ধ। এই মুখ, এই গন্ধ তার বড় চেনা। কিন্তু সে ঠিক মতো মনে করতে পারে না। মাথার ভেতর অসহ্য যন্ত্রণা। আবছা আবছা ভেসে ওঠে শ্রেয়া।
কৃষ্ণকলি টিপে ধরে অভির শ্বাসনালি। বাড়াতে থাকে চাপ। অভির ফুসফুসে কমে আসে অক্সিজেন। সে মিনতি করে।
-আমায় মেরো না প্লিজ, আমি বাঁচতে চাই।
কৃষ্ণকলি বলে, আমিও বাঁচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি! চমকে ওঠে অভি।
-আমি তোমায় মারিনি, শ্রেয়াকে মেরেছি। ও আমায় ঠকিয়েছে। অন্যের বাচ্চা আমার ঘাড়ে চাপাতে এসেছিল।
কৃষ্ণকলি মাথা নাড়ে।
-ওকে তুমি হত্যা করলে কেন অভি! ও তো তোমারই ছিল, তোমার নিজের রক্ত।
অভি কিছু বলতে পারে না। তার মুখ ক্রমশ সাদা হয়ে আসে। কৃষ্ণকলি তার হাতটা টেনে নেয় নিজের তল পেটে।
-দেখ কত বছর পেরিয়ে গেল, তবুও ও ভূমিষ্ঠ হতে পারল না। পৃথিবীর আলো দেখতে চাইলেই তোমরা ওকে শ্বাস রোধ করে মারো। ও আজও কাঁদে। বলে, মা আমি আলো দেখতে চাই। আমি পারি না, প্রতিবার তোমরা গলা টিপে ধর। ঠিক এইভাবে।
তারপরই সে শেষ চাপ দেয়। অক্সিজেনের শেষ বিন্দুটা টানতে টানতে অভি দেখে ম্যালের সেই পাগলা বুড়ো। সে এসে দাঁড়িয়েছে কলির পাশে। পরম স্নেহে সে হাত রাখে কলির মাথায়। কলি বলে, বাবা একদিন আমি ওকে জন্ম দেবই। বুড়োটা গায়ে মাথায় হাত বোলায় কলির। বলে, নিশ্চয় দিবি মা, তবে চারপাশটাকে আগে তার বাস যোগ্য করে তোল।
ওরা বেরিয়ে যায়। অভি পরে থাকে পরিত্যক্ত কাঠের ঘরে, বিষাক্ত পোকামাকড়ের খাদ্য হয়ে।
জন্ম ১৯৮০সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার পান্ডুয়া গ্রামে।পেশায় তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপতরের আধিকারিক।মূলত ছোটগল্পকার।কোলকাতার প্রায় সমস্ত প্রথম সারির বাণিজ্যিক পত্রপত্রিকাতেই লিখে থাকেন।প্রকাশিত গল্পের বই ‘বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে’ কোলকাতার ‘সোপান’ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।লেখালেখি ছাড়াও ভালোবাসেন বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে।লং ড্রাইভিং করতে খুব পছন্দ করেন।