ব্রিটেনের রানির সারাদিনের আহার

Reading Time: 2 minutes

ব্রিটিশ রাজপরিবারে জীবনযাপনের সবকিছুতে স্বাভাবিকভাবেই থাকে রাজকীয় ছোঁয়া। আর রানি এলিজাবেথ বলে কথা! সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমনো আগে পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে তাঁর সারাটা দিন কেটে যাওয়ারই কথা। কিন্তু এমনটাই সত্যি ভাবলে ভুল করবেন।
খাওয়াদাওয়ার বিষয়টাই ধরা যাক। খাবার পরিবেশনে পরিপাটি ভাব থাকলেও বাড়াবাড়ি থাকে না। রানির তিন বেলার খাওয়া নাকি খুবই সাধারণ। রাজপরিবারের হেঁশেলের সাবেক রাঁধুনি ফেরেন ম্যাকগ্রাডি বলেছিলেন, রানি খান বাঁচার জন্য। তিনি একেবারেই ভোজনরসিক নন। বরং প্রিন্স ফিলিপ খেতে খুব পছন্দ করেন। তিনি সারাদিন ধরে খাবার নিয়ে কথা বলে যেতে পারবেন। কিন্তু খাওয়ার ব্যাপারে রানি এলিজাবেথ বেশ নিয়ম নীতি মেনে চলেন। রানির খাবারে কোনওরকম শর্করা বা স্টার্চ থাকতে পারবে না। আলু, পাস্তা, ভাত ইত্যাদি তাই এড়িয়ে চলেন তিনি।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ-এর সরবরাহ করা তথ্য অনুসারে রাজবাড়ির প্রধান পাচক মার্ক ফ্লানাগনি জানান, সপ্তাহে দু’দিন তিনি রানিকে খাবারের তালিকা পাঠান। তারপর রানি তাতে টিক চিহ্ন দিয়ে দেন পছন্দের খাবারগুলোতে। যেগুলো খান না, সেগুলো পড়ে যায় কাটা চিহ্নের ভেতর।
রানির দিন শুরু হয় বোন চায়নার কাপে আর্ল গ্রে চায়ে চুমুক দিয়ে। সঙ্গে থাকে বিস্কুট। সকালের জলখাবারে থাকে সিরিয়াল ও ফল। কেলগসের স্পেশাল কে, কোয়েকার ওটস ও উইটাবিক্স আছে পছন্দের তালিকায়। রানি টাপারওয়ারের ডিব্বা থেকেই সিরিয়াল নিয়ে খেতে পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যে স্বাদ বদলাতে টোস্ট আর মারমালেড তুলে নেন পাতে। রাজপরিবারের খাওয়ার এই জেলি আসে উইকিন অ্যান্ড সন্স থেকে। কোনও বিশেষ দিনে হয়তো বেছে নেন স্ক্র্যামবলড স্টাইলে করা ডিম বা ব্রাউন এগ। সঙ্গে থাকে স্মোকড স্যামন ও ট্রুফুল।
দুপুরের খাবারের আগে জিন ও ডাবোনেট মেশানো পানীয়তে একটি লেবুর টুকরো দিয়ে পান করেন। দুপুরের খাবার হয় খুবই সাধারণ। মাছের সঙ্গে সবজি, তবে সাধারণ মুরগির গ্রিলের সঙ্গে স্যালাডও রানির পছন্দ। প্রতিদিনের খাবরের তালিকায় বিকেলে এক কাপ চা আবশ্যক। সেটাতে কিছুটা রাজকীয় ব্যাপার থাকে। শসা, স্মোকড স্যামন, ডিম, মেয়োনেজ দিয়ে তৈরি ফিংগার স্যান্ডউইচ বৈকালিক চা’কে সঙ্গ দেয়। এছাড়া কয়েনের আকারে করা র‌্যাস্পবেরি জ্যাম স্যান্ডউইচও বেশ পছন্দ রানির। ম্যাকভিটিশ রিচ টি বিস্কুট, স্কোনস ছাড়াও রানির পছন্দের বিভিন্ন স্বাদের কেক পরিবেশন করা হয়।
বিফ ফিলে, ফেসেন্ট, ভেনসান অথবা স্যামন মাছের পদ থাকে রাতের খাবারে। সেসবের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় স্টেক। এর বাইরে মাঝেমধ্যে তিনি বেছে নেন ওয়েল ডান সানডে রোস্ট।
চকোলেট মুস, চকোলেট গানাশ স্পঞ্জ কেক, স্ট্রবেরি, ভালো মানের চকোলেট, পিচ রেখে দেন মিষ্টান্নের তালিকায়। দিন শেষ করেন ভালো মানের এক গ্লাস শ্যাম্পেন দিয়ে।
সূত্রঃ টেলিগ্রাফ

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>