Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,roberto-bolano

ছোটগল্প লেখার শৈল্পিকতার ব্যাপারে উপদেশ । রোবার্তো বোলানিও

Reading Time: 2 minutes
 
এখন যেহেতু আমার বয়স চুয়াল্লিশে এসে ঠেকেছে, আমি ছোটগল্প লেখার শৈল্পিকতার ব্যাপারে কিছু উপদেশ পেশ করতে চাই।
১. কখনোই একটার পর একটা গল্প লেখা যাবে না, তেমন করলে তোমার মৃত্যুর দিন অব্দি একই গল্প লিখে যেতে হবে।
২. সবচেয়ে ভালো হয় যদি তিনটি বা পাঁচটি গল্প একত্রে লেখা যায়, যদি উদ্যম থাকে তবে একসাথে নয়টি বা পনেরোটি গল্প লেখা যেতে পারে।
৩. সতর্কতাঃ জোড়ায় লেখার আকর্ষণ ততটাই বিপদজনক যতটা একের পর এক গল্প লেখা- জোড়া আয়না যেমন বিষন্ন প্রতিবিম্বের সৃষ্টি করে, জোড়া লেখা সেভাবেই গল্পের গুণাগুণ চাপা দিয়ে দেয়।
 
৪. কিরোগাকে অবশ্যই পড়তে হবে, ফেলিসবার্তো হার্নান্দেজকে অবশ্যই পড়তে হবে, বোর্হেসকে অবশ্যই পড়তে হবে। রুলফো, মনতেরেসো এদেরকেও অবশ্যই পড়তে হবে। একজন ছোটগল্পকারের যদি নিজের কাজের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা থেকে থাকে, তাহলে কোনো অবস্থাতেই সে সেলা বা উমব্রলের লেখা পড়বে না। সে কোর্তাজার বা বুওয় কাসারেজ পড়তে পারে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সেলা বা উমব্রল নয়।
৫. যদি কোনো কারণে স্পষ্ট না হয় সেক্ষেত্রে আমি আবারও বলছি, সেলা এবং উমব্রালকে প্লেগের মতই উপেক্ষা করতে হবে।
 
৬. একজন ছোটগল্প লেখককে অনেকটাই সাহসী হতে হবে, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি।
৭. ছোটগল্প লেখকদের অনেকসময় পেট্রস বোরেল পড়া থাকায় তারা বেশ আত্মশ্লাঘা অনুভব করেন। বলা যায়, ছোটগল্প লেখকেরা পেট্রস বোরেলের অন্ধ অনুকারক। বিরাট ভুলঃ তাদের পেট্রস বোরেলের পোশাক অনুকরণ করা উচিত! কিন্তু সত্য এই যে তারা পেট্রস বোরেলের ব্যাপারে প্রায় কিছুই জানেনা। একই ব্যাপার গট্যিয়ার এবং নার্ভালের ক্ষেত্রেও।
 
৮. একটা সমাধানে আসা যাক! আমরা পেট্রস বোরেল পড়ব, পেট্রস বোরেলের মত জামাকাপড়ও পরব, কিন্তু আমরা জুলস রেনার্ড এবং মার্সেল শৌভকেও পড়ব। বিশেষ করে মার্সেল শৌভ, এবং তারপরে আলফানসো রেইস, আর তারপর বোর্হেস।
৯. সবচেয়ে সত্যি কথাটি হচ্ছে যদি আমরা এডগার এলান পো পড়ি, সেটুকুই যথেষ্ট হবে।
 
১০. নয় নম্বর কথাটি বিবেচনা করো, বারবার বিবেচনা করো আর প্রতিফলন ঘটাও। এখনও খুব বেশি দেরী হয়নি। নয় নম্বর কথাটি বিবেচনা করতেই হবেঃ যদি তুমি তোমার ধ্বংসের কাছাকাছিও অবস্থান করো, সম্ভব হলে তবেও।
১১. সবচেয়ে উপযোগী বই এবং লেখকঃ অন দা সাবলাইম, লঞ্জাইনাস কতৃক লিখিত ; দ্যা সনেটস অফ ব্রেভ, ইল ফেটেড ফিলিপ সিডনি, যার আত্মজৈবনিক ছিলো লর্ড ব্রুক ; দ্যা স্পুন রিভার এনথোলজি, লেখক এডগার লি মাস্টার্স ; সুইসাইডাস এজেমপেলারস (এক্সামপেলারি সুইসাইডস), লিখেছেন এনরিক ভিয়া মাতাস ; এবং হোয়াইল দ্যা উম্যান আর স্লিপিং, লিখেছেন জেভিয়ার মরিয়াস।
১২. এই বইগুলো পড়ো আর তার সাথে চেখভ এবং রেমন্ড কারভার। এই দুইজনের এক একজন এই শতাব্দীতে আমাদের পাওয়া শ্রেষ্ঠ গল্পকার।
(নাতাশা উইমারের ইংরেজি অনুবাদ থেকে)

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>